পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আজ চট্টগ্রামের পটিয়ার বাহুলী মিত্র পাড়ার গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল আজকের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীরা বাহুলী মিত্র পাড়ায় ঢুকে একদিনেই ১০-১২ জন নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ওই এলাকার বধ্যভূমিটি ছিল অরক্ষিত। সরকারিভাবে কোনো সংস্কার না করায় গ্রামবাসী ও পটিয়া গৌরব সংসদের দাবির প্রেক্ষিতে বধ্যভূমি এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে নির্মাণ করা হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে ২৩ এপ্রিল দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনীরা পটিয়া পৌরসভার বাহুলী মিত্র পাড়ার হিন্দু বাড়িতে নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় নগেন্দ্র মিত্র, কৃষ্ণ মিত্র, অনিল মিত্র, জীবন হরি মিত্র, সাধন দাশ, রুক্মিণী মিত্র, সুনীল দাশ, সারদা চরণ মিত্র, ক্ষেমন হরি মিত্র, নিরঞ্জন দাশ, কাঞ্চন মিয়াসহ নাম না জানা অন্তত ১০-১২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা মাস্টার দা সূর্য সেনের ব্যক্তিগত ড্রাইভার সারদা চরণ মিত্র যুদ্ধের কয়েক বছর পর মারা যান। পাকিস্তানিরা ওই সময় বাহুলী মিত্র পাড়া এলাকায় শতাধিক বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষের সম্পদ লুটপাটও করে।
ওই সময় পটিয়া গৌরব সংসদের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট হরিসাধন দেবব্রহ্মন পটিয়া পৌর সদর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেসব বধ্যভূমি রয়েছে তা সংরক্ষণ করতে ও নিহতের নামের তালিকা সংগ্রহ করতে কাজ শুরু করেন। পটিয়া গৌরব সংসদ বাহুলী মিত্র পাড়ার বধ্যভূমি শনাক্ত এবং প্রতি বছর গণহত্যা দিবস পালন করে।
বাহুলী মিত্রপাড়ায় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলাল বলেন, পাকিস্তানি সেনারা দিনদুপুরে আমাদের এলাকার হিন্দু পাড়ায় ঢুকে নির্মমভাবে গণহত্যা চালায়। যা দেশ স্বাধীনের ৫১ বছর পরও শহীদদের নামের তালিকা সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি বধ্যভূমিটি এত দিন সংরক্ষণ পর্যন্ত করেনি। গৌরব সংসদ ও এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে নিজ অর্থায়নে একটি শহীদ নির্মাণ করে দিয়েছি।
একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে পটিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বধ্যভূমি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন একটি স্মৃতিসৌধও নির্মাণ করা হয়েছে। পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলালের ব্যক্তিগত অর্থায়নে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়।
এ বিষয়ে পটিয়া গৌরব সংসদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কবি শেখর নাথ পিন্টু বলেন, এ বছর দিবসটির ৫১ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল ৩টায় পটিয়া বাহুলী গ্রামে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
আজ চট্টগ্রামের পটিয়ার বাহুলী মিত্র পাড়ার গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল আজকের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীরা বাহুলী মিত্র পাড়ায় ঢুকে একদিনেই ১০-১২ জন নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ওই এলাকার বধ্যভূমিটি ছিল অরক্ষিত। সরকারিভাবে কোনো সংস্কার না করায় গ্রামবাসী ও পটিয়া গৌরব সংসদের দাবির প্রেক্ষিতে বধ্যভূমি এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে নির্মাণ করা হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে ২৩ এপ্রিল দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনীরা পটিয়া পৌরসভার বাহুলী মিত্র পাড়ার হিন্দু বাড়িতে নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় নগেন্দ্র মিত্র, কৃষ্ণ মিত্র, অনিল মিত্র, জীবন হরি মিত্র, সাধন দাশ, রুক্মিণী মিত্র, সুনীল দাশ, সারদা চরণ মিত্র, ক্ষেমন হরি মিত্র, নিরঞ্জন দাশ, কাঞ্চন মিয়াসহ নাম না জানা অন্তত ১০-১২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা মাস্টার দা সূর্য সেনের ব্যক্তিগত ড্রাইভার সারদা চরণ মিত্র যুদ্ধের কয়েক বছর পর মারা যান। পাকিস্তানিরা ওই সময় বাহুলী মিত্র পাড়া এলাকায় শতাধিক বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষের সম্পদ লুটপাটও করে।
ওই সময় পটিয়া গৌরব সংসদের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট হরিসাধন দেবব্রহ্মন পটিয়া পৌর সদর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেসব বধ্যভূমি রয়েছে তা সংরক্ষণ করতে ও নিহতের নামের তালিকা সংগ্রহ করতে কাজ শুরু করেন। পটিয়া গৌরব সংসদ বাহুলী মিত্র পাড়ার বধ্যভূমি শনাক্ত এবং প্রতি বছর গণহত্যা দিবস পালন করে।
বাহুলী মিত্রপাড়ায় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলাল বলেন, পাকিস্তানি সেনারা দিনদুপুরে আমাদের এলাকার হিন্দু পাড়ায় ঢুকে নির্মমভাবে গণহত্যা চালায়। যা দেশ স্বাধীনের ৫১ বছর পরও শহীদদের নামের তালিকা সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি বধ্যভূমিটি এত দিন সংরক্ষণ পর্যন্ত করেনি। গৌরব সংসদ ও এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে নিজ অর্থায়নে একটি শহীদ নির্মাণ করে দিয়েছি।
একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে পটিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বধ্যভূমি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন একটি স্মৃতিসৌধও নির্মাণ করা হয়েছে। পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলালের ব্যক্তিগত অর্থায়নে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়।
এ বিষয়ে পটিয়া গৌরব সংসদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কবি শেখর নাথ পিন্টু বলেন, এ বছর দিবসটির ৫১ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল ৩টায় পটিয়া বাহুলী গ্রামে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
৬ মিনিট আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেঈদের চার দিন পর মেয়ের বিয়ে, তাই ঈদের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার অটোচালক জানে আলম। করেছেন আত্মীয়–স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনাও। হঠাৎ ঈদের দিন সকালে লাগা আগুন থেকে কোনো রকম প্রাণে বাঁচলেও সংসারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
১১ মিনিট আগেবিকেল পর্যন্ত বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বসে আছেন। কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় তাঁরা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না।
১৩ মিনিট আগে