Ajker Patrika

শঙ্খ নদের ভাঙনে বিলীন বেড়িবাঁধ, হুমকিতে বসতবাড়িসহ ফসলি জমি

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৫৪
Thumbnail image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় শঙ্খ নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বেড়িবাঁধ। হুমকির মুখে বসতবাড়িসহ ফসলি জমি। অব্যাহত ভাঙনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ভাঙন ঠেকাতে টেকসই বেড়িবাঁধ চান তাঁরা। 

এদিকে আজ শুক্রবার দুপুরে জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে শঙ্খের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসও মিজানুল হক, স্থানীয় চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ ইদ্রিছ। এ সময় জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত বাঁধে জিও ব্যাগ বসানো হবে বলেও জানান তাঁরা। 

ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে নদে তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে বসতঘর ও কৃষিজমিতে। দুটি বসতঘর ভেঙে নদে বিলীন হয়ে গেছে। 

স্থানীয়রা জানান, জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শঙ্খ নদ। এর মধ্যে বেড়িবাঁধের সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশে ব্লক বসালেও বাকি অংশ মাটি দিয়ে নির্মিত হয়েছে বাঁধ। সম্প্রতি নদে জোয়ারের পানিতে এই ইউনিয়নের বানুরহাট থেকে গোদারপাড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার, মধ্যম জুঁইদণ্ডী থেকে পূর্ব জুঁইদণ্ডী তিন কিলোমিটার ও হাজি বাজার থেকে রব্বান নিয়াজী বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

পাউবোর জরুরি বরাদ্দে জিও ব্যাগ দিয়ে এসব ভাঙন অংশ সংস্কার করলেও জোয়ারের পানি বাড়লে এসব এলাকায় আবারও ভাঙন সৃষ্টি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার হাজি বাজার থেকে রব্বান নিয়াজী বাড়ির অংশ রাতের আঁধারে তলিয়ে যায় শঙ্খ নদে। এতে একই এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছ (৬০), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৫৯), কামাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ ফরিদের বসতঘর আর কৃষিজমি তলিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। 

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘কিছুদিন পরপরই নদে শুরু হয় ভাঙন। গত কয়েক দিনের তীব্র ভাঙনে আমাদের বসতঘরসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি। এখন পানি ঢুকে চলাচল বন্ধসহ হুমকিতে রয়েছে ২০০ পরিবারের। দ্রুত সংস্কার না হলে নদে তলিয়ে যাবে এ এলাকার ঘরবাড়ি। বেড়িবাঁধ রক্ষায় দ্রুত সংস্কার করে ব্লক বসানোর দাবি জানাচ্ছি।’ 

স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিছ বলেন, ‘ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের প্রচেষ্টায় ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অংশে ব্লক বসানো হয়েছে। বাকি অংশগুলো এখনো অরক্ষিত। এসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ব্লক না বসালে বিশাল অংশ শঙ্খের গর্ভে তলিয়ে যাবে। ২০০ পরিবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রীকে জানানো পর তিনি পুরো অংশে ব্লক বসানোর আশ্বাস দেন।’ 

চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মিজানুল হক বলেন, ‘ভাঙন এলাকা আমরা পরিদর্শন করেছি। এসব এলাকায় ব্লক বসানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এখনো জরুরি বরাদ্দে জিও ব্যাগ বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত