কুবি প্রতিনিধি
ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ ও আরাফ ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষকদের মধ্যে অংশ নেন বাংলা বিভাগের কামরুন নাহার শীলা, নাহিদা বেগম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শামীমা নাসরিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
এ সময় মাগুরায় এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনাটি উল্লেখ করে শিক্ষার্থী জুলফা আক্তার বলেন, ‘এমন অনেক ধর্ষণ হয়, যার খবর আমরা জানি না, আমাদের সামনে আসে না, অনেকে ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে ধর্ষণ বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্ষকদের উপযুক্ত সাজা না হওয়া। ১০ হাজার, ২০ হাজার টাকা দিয়ে, হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা আবার মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ায়। আমরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, প্রকাশ্যে এনে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়; যেন সামনে কোনো ধর্ষক কাউকে ধর্ষণের কথা চিন্তাও না করতে পারে। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলে ধর্ষকদের প্রতিহত করতে হবে।’
আরেক শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জোহরা মীম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় পড়াশোনা সত্ত্বেও এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের মনমানসিকতা অনেক নিচু। তারা নারীদের বিভিন্নভাবে বুলিং করে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা ভেতরে এক এবং বাইরে আরেক। এ ধরনের মানুষকে প্রশাসন চিহ্নিত করুক; যাতে তারা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ধর্ষক হিসেবে না গড়ে ওঠে। প্রশাসন এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুক, যেন নারীদের নিয়ে কটূক্তি করার আগে তাদের কলিজা কেঁপে ওঠে।’
এ সময় সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নাহার শীলা বলেন, ‘গভীর শোক এবং প্রতিবাদের ভাষাকে একত্র করার জন্য আজকে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। কয়েক দিন ধরে আইনশৃঙ্খলার অবনতির করাল গ্রাসের শিকার হচ্ছে নারীরা। আজকে একটা নারী-শিশুও ধর্ষকের হাত থেকে নিরাপদ না। মোরাল পুলিশিংয়ের নামে যে নারী হেনস্তা, তা কোনোভাবেই কাম্য না। আমরা এই রহস্যের সমাপ্তি চাই। সুন্দর সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ চাই।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের নিকটজনের মধ্যেই ধর্ষক লুকিয়ে থাকে। তাই ছোটবেলা থেকে নারীদের ধর্ষকের ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। শেখাতে হবে কোনটা গুড টাচ আর কোনটা ব্যাড টাচ। এখন দেশে ধর্ষণের যে মহাযজ্ঞ চলছে, অনেকেই বলছে নারী বেপর্দার কারণে তা হচ্ছে। পর্দার কথা যদি বলতে হয়, তাহলে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দার বিধান রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকের বিচার নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে ধর্ষকমুক্ত করতে হবে।’
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় মশাল মিছিল আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ ও আরাফ ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষকদের মধ্যে অংশ নেন বাংলা বিভাগের কামরুন নাহার শীলা, নাহিদা বেগম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শামীমা নাসরিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
এ সময় মাগুরায় এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনাটি উল্লেখ করে শিক্ষার্থী জুলফা আক্তার বলেন, ‘এমন অনেক ধর্ষণ হয়, যার খবর আমরা জানি না, আমাদের সামনে আসে না, অনেকে ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে ধর্ষণ বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্ষকদের উপযুক্ত সাজা না হওয়া। ১০ হাজার, ২০ হাজার টাকা দিয়ে, হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা আবার মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ায়। আমরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, প্রকাশ্যে এনে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়; যেন সামনে কোনো ধর্ষক কাউকে ধর্ষণের কথা চিন্তাও না করতে পারে। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলে ধর্ষকদের প্রতিহত করতে হবে।’
আরেক শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জোহরা মীম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় পড়াশোনা সত্ত্বেও এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের মনমানসিকতা অনেক নিচু। তারা নারীদের বিভিন্নভাবে বুলিং করে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা ভেতরে এক এবং বাইরে আরেক। এ ধরনের মানুষকে প্রশাসন চিহ্নিত করুক; যাতে তারা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ধর্ষক হিসেবে না গড়ে ওঠে। প্রশাসন এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুক, যেন নারীদের নিয়ে কটূক্তি করার আগে তাদের কলিজা কেঁপে ওঠে।’
এ সময় সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নাহার শীলা বলেন, ‘গভীর শোক এবং প্রতিবাদের ভাষাকে একত্র করার জন্য আজকে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। কয়েক দিন ধরে আইনশৃঙ্খলার অবনতির করাল গ্রাসের শিকার হচ্ছে নারীরা। আজকে একটা নারী-শিশুও ধর্ষকের হাত থেকে নিরাপদ না। মোরাল পুলিশিংয়ের নামে যে নারী হেনস্তা, তা কোনোভাবেই কাম্য না। আমরা এই রহস্যের সমাপ্তি চাই। সুন্দর সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ চাই।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের নিকটজনের মধ্যেই ধর্ষক লুকিয়ে থাকে। তাই ছোটবেলা থেকে নারীদের ধর্ষকের ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। শেখাতে হবে কোনটা গুড টাচ আর কোনটা ব্যাড টাচ। এখন দেশে ধর্ষণের যে মহাযজ্ঞ চলছে, অনেকেই বলছে নারী বেপর্দার কারণে তা হচ্ছে। পর্দার কথা যদি বলতে হয়, তাহলে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দার বিধান রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকের বিচার নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে ধর্ষকমুক্ত করতে হবে।’
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় মশাল মিছিল আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বগুড়ায় আদালতে সঠিক সাক্ষ্য না দেওয়া, সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়া এবং সরকারি আইন কর্মকর্তাদের দুর্বলতার কারণে গত এক বছরে ৬ শতাধিক মাদক মামলায় প্রায় ১ হাজার আসামি খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২টি মামলায় ৪৪ জন পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। এ কারণে ৪৪ পুলিশ কর্মকর্তার ...
১ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের দুলাল হোসেন পেশায় রংমিস্ত্রি। কাজের সন্ধানে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। জুটেছিল কাজও। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর উত্তরায় মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এখন ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটেন। তবে যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা এসেছিলেন, তা এখন ফিকে...
১ ঘণ্টা আগে২০২০ সালে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন আবুল বাশার সুজন। এর আগে ছিলেন পশুর হাটের ইজারাদার। অল্প সময়ের মধ্যেই ফারুকের ডান হাত হন। কিছুদিন পর তানোর পৌরসভার মেয়র হওয়ারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সুজন। সেখানে বাড়ি করেন...
১ ঘণ্টা আগেদরিদ্র পরিবারের সন্তান নুর আলী (৪৭)। করতেন রাজমিস্ত্রির কাজ। জমিজমা তেমন ছিল না, বাবাও ছিলেন দিনমজুর। বাড়ি বলতে ছিল আধা পাকা টিনের ঘর। অথচ ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ব্যক্তি কোটিপতি বনে গেছেন। শুধু তা-ই নয়। আধা পাকা টিনের ঘরের জায়গায় এখন বিশাল তিনতলা আলিশান বাড়ি। যার মূল্য কোটি টাকা।
২ ঘণ্টা আগে