Ajker Patrika

চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় চিন্ময়কে জেলগেটে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জেলগেটে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলায় আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় আদালত শুনানি শেষে এক দিনের জন্য জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর একটা প্রতিবেদন আগামী ৩ জুনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার মামলাটির শুনানি চলাকালে নিরাপত্তাজনিত কারণে আসামি চিন্ময়কে আদালতে হাজির করা হয়নি।

এর আগে ১৮ মে চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানায় হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ ও আইনজীবী আলিফ হত্যার পৃথক দুই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাফটকে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোট নামের একটি সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটক করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাঁকে চট্টগ্রামের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলে তাঁর অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়।

একপর্যায়ে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হল গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত এই ঘটনার পর ওই বছর ২৭ ও ৩০ নভেম্বর আইনজীবী হত্যা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক পাঁচটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন। ভাঙচুর, জখম ও বিস্ফোরক আইনে হওয়া বাকি চারটির মধ্যে তিনটির বাদী হচ্ছে পুলিশ। একটিতে বাদী নিহত আইনজীবী আলিফের ভাই খানে আলম। এ ছাড়া একই ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় আরও একটি মামলা করেন।

এসব মামলার এজাহারে চিন্ময়ের নাম না থাকলেও পুলিশ এসব মামলায় চিন্ময়কে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে দেখিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।

এর আগে একই বছর ৩১ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া ‘শিবিরের লোক’ আকাশ চৌধুরীকে ধরছে না পুলিশ

প্রফেসর আনোয়ারা আ.লীগের লোক হলে এত অপমান নিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হত না: ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময়

আলিপুরদুয়ার থেকে মোদির ‘মিশন বেঙ্গল’, নজর বাংলাদেশে

বৈষম্যবিরোধীদের মিছিল থেকে জি এম কাদেরের বাড়ি ভাঙচুর, মোটরসাইকেলে আগুন

পরিচালক পদ বাতিল, বিসিবি সভাপতির পদ থেকে ফারুককে অপসারণ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত