হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
টানা লকডাউনের কারণে দুই যুগ আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে রাঙামাটির পর্যটন খাত। এরই মধ্যে আগস্ট মাস থেকে খাতের আয় দিয়ে বেতন নিতে পারবে না পর্যটন করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আবার অনেকের চাকরি চলে গেছে এবং অনেকের যাওয়ার পথে।
পর্যটন করপোরেশনের তথ্যমতে, ১৯৯৭ সালের আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকের আগমন ছিল না। পর্যটন ব্যবসাও হতো না। ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি হলে পর্যটন খাতগুলোতে লোকজন আসা শুরু করে। ফলে তখন থেকে জায়গাগুলো পর্যটকদের কাছে প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
পার্বত্য জেলাগুলো হয়ে উঠে দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট। তিন জেলায় স্থাপিত হয় পর্যটন করপোরেশনের কার্যালয়। এ থেকে যে আয় তা দিয়ে করপোরেশনের নিজ স্টাফদের বেতন দেওয়ার পর অবশিষ্টগুলো দিয়ে দেশে অন্যান্য স্টাফদেরও বেতন দেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু টানা লকডাউনে পুরোপুরি বিপর্যস্ত এ পর্যটন খাত। আয় একেবার শূন্য হওয়ায় আগস্ট মাস থেকে ঢাকা অফিসের মাধ্যমে স্টাফদের বেতন নিতে হবে। যা পার্বত্য চুক্তির আগে এমন অবস্থা ছিল। এ ছাড়া লকডাউনের কারণে অনেকের চাকরি চলে গেছে। অনেকের যাওয়ার পথে। চাকরি হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন পর্যটন করপোরেশনের কর্মচারীরা। কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন।
পর্যটনের অস্থায়ী কর্মচারী পিয়ারু বলেন, আমার দায়িত্ব ছিল ঝুলন্ত সেতুটি দেখাশোনা করা। টিকিট বিক্রি করা। কিন্তু গত ৪ মাস আগে আমার চাকরি চলে যায়। আমি এখন কোথাও কাজ করতে পারছি না। কেউ আমাকে কাজ দিচ্ছে না। এমন অবস্থায় কষ্টে আছি।
আবাসিক হোটেল মতি মহলের স্বত্বাধিকারী সাইফুল আজম বলেন, রাঙামাটি পর্যটন শহর হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত। পর্যটকদের ওপর এখানকার সবকিছু নির্ভর করে। কিন্তু পর্যটক না আসায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিগত চার মাস ধরে আমাদের হোটেল বন্ধ আছে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারিভাবে বিশেষ কোন নির্দেশনা নেই। নেই প্রণোদনার ব্যবস্থাও।
পর্যটন করপোরেশনের রাঙামাটি ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, আগামী মাস থেকে আমরা আর নিজস্ব আয় দিয়ে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারব না। প্রধান অফিস থেকে আমাদের বেতন নিতে হবে। আমাদের পরিস্থিতি এখন খুব খারাপ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি বোরহান উদ্দিন মিঠু বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা ১৫০ জন বোট চালককে একবার সরকারি সহায়তা দিতে পেরেছি। এরপর আর হয়নি। পরবর্তীতে তাঁদের জন্য চিন্তা করা হবে। আসলে করোনা শুধু পর্যটনে নয়, সবক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলেছে। আমাদের সবকিছুই দেখতে হচ্ছে। পর্যটনকে স্পেশালভাবে দেখার সুযোগ নেই আমাদের। এটা সরকারি সিদ্ধান্তর ওপর নির্ভর করবে।
এনডিসি আরও বলেন-রাঙামাটি জেলা শহরে দেড় শ, সাজেক দুই শর অধিক আবাসিক হোটেল ও কটেজ আছে। এসব হোটেল প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন হলেও বর্তমানে তা শূন্য। পর্যটনশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া ছাড়া আর কোন পথই দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
টানা লকডাউনের কারণে দুই যুগ আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে রাঙামাটির পর্যটন খাত। এরই মধ্যে আগস্ট মাস থেকে খাতের আয় দিয়ে বেতন নিতে পারবে না পর্যটন করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আবার অনেকের চাকরি চলে গেছে এবং অনেকের যাওয়ার পথে।
পর্যটন করপোরেশনের তথ্যমতে, ১৯৯৭ সালের আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকের আগমন ছিল না। পর্যটন ব্যবসাও হতো না। ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি হলে পর্যটন খাতগুলোতে লোকজন আসা শুরু করে। ফলে তখন থেকে জায়গাগুলো পর্যটকদের কাছে প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
পার্বত্য জেলাগুলো হয়ে উঠে দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট। তিন জেলায় স্থাপিত হয় পর্যটন করপোরেশনের কার্যালয়। এ থেকে যে আয় তা দিয়ে করপোরেশনের নিজ স্টাফদের বেতন দেওয়ার পর অবশিষ্টগুলো দিয়ে দেশে অন্যান্য স্টাফদেরও বেতন দেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু টানা লকডাউনে পুরোপুরি বিপর্যস্ত এ পর্যটন খাত। আয় একেবার শূন্য হওয়ায় আগস্ট মাস থেকে ঢাকা অফিসের মাধ্যমে স্টাফদের বেতন নিতে হবে। যা পার্বত্য চুক্তির আগে এমন অবস্থা ছিল। এ ছাড়া লকডাউনের কারণে অনেকের চাকরি চলে গেছে। অনেকের যাওয়ার পথে। চাকরি হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন পর্যটন করপোরেশনের কর্মচারীরা। কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন।
পর্যটনের অস্থায়ী কর্মচারী পিয়ারু বলেন, আমার দায়িত্ব ছিল ঝুলন্ত সেতুটি দেখাশোনা করা। টিকিট বিক্রি করা। কিন্তু গত ৪ মাস আগে আমার চাকরি চলে যায়। আমি এখন কোথাও কাজ করতে পারছি না। কেউ আমাকে কাজ দিচ্ছে না। এমন অবস্থায় কষ্টে আছি।
আবাসিক হোটেল মতি মহলের স্বত্বাধিকারী সাইফুল আজম বলেন, রাঙামাটি পর্যটন শহর হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত। পর্যটকদের ওপর এখানকার সবকিছু নির্ভর করে। কিন্তু পর্যটক না আসায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিগত চার মাস ধরে আমাদের হোটেল বন্ধ আছে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারিভাবে বিশেষ কোন নির্দেশনা নেই। নেই প্রণোদনার ব্যবস্থাও।
পর্যটন করপোরেশনের রাঙামাটি ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, আগামী মাস থেকে আমরা আর নিজস্ব আয় দিয়ে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারব না। প্রধান অফিস থেকে আমাদের বেতন নিতে হবে। আমাদের পরিস্থিতি এখন খুব খারাপ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি বোরহান উদ্দিন মিঠু বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা ১৫০ জন বোট চালককে একবার সরকারি সহায়তা দিতে পেরেছি। এরপর আর হয়নি। পরবর্তীতে তাঁদের জন্য চিন্তা করা হবে। আসলে করোনা শুধু পর্যটনে নয়, সবক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলেছে। আমাদের সবকিছুই দেখতে হচ্ছে। পর্যটনকে স্পেশালভাবে দেখার সুযোগ নেই আমাদের। এটা সরকারি সিদ্ধান্তর ওপর নির্ভর করবে।
এনডিসি আরও বলেন-রাঙামাটি জেলা শহরে দেড় শ, সাজেক দুই শর অধিক আবাসিক হোটেল ও কটেজ আছে। এসব হোটেল প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন হলেও বর্তমানে তা শূন্য। পর্যটনশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া ছাড়া আর কোন পথই দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গীতে প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমায় ইয়াকুব আলী (৬০) নামের আরেক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াকুব আলী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাধবপুর গ্রামের নওয়াব উল্লাহ ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আদাবরে গত বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে ছিনতাইকারীদের চাপাতির কোপে সুমন শেখ (২৬) নামে এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১ ঘণ্টা আগে