নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয় (সিআরবি) এলাকায় প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি সরকার। সম্প্রতি চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে সিআরবিতে হাসপাতাল ‘না’ করার অনুরোধ জানানোর পর সরকারের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো। নতুন করে চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকায় হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা মেসার্স ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজকে চিঠি দেবে রেলওয়ে।
পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে সরকার আগ্রহ দেখায়নি। তবে অফিশিয়ালি এখনো কাগজপত্র পাইনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সুজন চৌধুরী বলেন, ‘মেসার্স ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজকে হাসপাতালটি কুমিরায় নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেব। তবে তারা বিষয়টি মেনে নেবে কি-না, সেটি দেখার বিষয়।’
এ বিষয়ে মেসার্স ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক কায়েস খলিল খান (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেলওয়ে কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ না করার বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি।’ কুমিরায় হাসপাতাল নেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখনো সরকার কিছু বলেনি, তাই সিআরবিতেই হাসপাতাল করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
এ নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিআরবিতে হাসপাতাল হচ্ছে না। কুমিরায় হাসপাতাল করার জন্য বাস্তবায়ন সংস্থাকে প্রস্তাব দিয়েছি। এখন দেখার বিষয়, তারা বিষয়টি অ্যাকসেপ্ট করে কি না।’
২০২১ সালের জুন থেকে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনেরা। বিভিন্ন সময় সিআরবিতে মানববন্ধনও করে আসছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষও। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় আন্দোলন করার পর সরকার এমন পদক্ষেপ নিল।
এর আগে গত আগস্টে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর সিআরবিতে হাসপাতাল না করতে চিঠি দেন তাঁরা। চিঠিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামসুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, খাদিজাতুল আনোয়ার সনির স্বাক্ষর রয়েছে।
২০১২ সালের দিকে রেলওয়ে অব্যবহৃত নিজস্ব জমিতে হাসপাতালসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিনিয়োগের চেষ্টা করা হয়। এর পরপরই রেলের জমিতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ সিটের মেডিকেল কলেজ নির্মাণের বেসরকারি অংশীদার নির্বাচনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এর অধীনে ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভায় প্রকল্পটি পিপিপিতে বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলের প্রস্তাবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থেকে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব অ্যা ৫০০ বেড মাল্টি স্পেশিয়ালিটি হসপিটাল অ্যান্ড অ্যা ১০০ সিট মেডিকেল কলেজ অন বাংলাদেশ রেলওয়ে সিট অ্যাট চিটাগং’ শিরোনামে দরপত্র দলিল প্রস্তুত করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ প্রকল্প নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ৩৯৮ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা।
২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর খসড়া চুক্তিপত্র অনুমোদন করে আইন মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই সিসিইএর বৈঠকে পিপিপি প্রকল্পটি পুনরায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি পিপিপি চুক্তিপত্র সিসিইএ কমিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো পাঠানো হয়। এরপর ২৮ জানুয়ারি সিসিইএ কমিটির বৈঠকের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি পিপিপি প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়, যা একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয় (সিআরবি) এলাকায় প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি সরকার। সম্প্রতি চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে সিআরবিতে হাসপাতাল ‘না’ করার অনুরোধ জানানোর পর সরকারের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো। নতুন করে চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকায় হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা মেসার্স ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজকে চিঠি দেবে রেলওয়ে।
পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে সরকার আগ্রহ দেখায়নি। তবে অফিশিয়ালি এখনো কাগজপত্র পাইনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সুজন চৌধুরী বলেন, ‘মেসার্স ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজকে হাসপাতালটি কুমিরায় নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেব। তবে তারা বিষয়টি মেনে নেবে কি-না, সেটি দেখার বিষয়।’
এ বিষয়ে মেসার্স ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক কায়েস খলিল খান (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেলওয়ে কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ না করার বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি।’ কুমিরায় হাসপাতাল নেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখনো সরকার কিছু বলেনি, তাই সিআরবিতেই হাসপাতাল করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
এ নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিআরবিতে হাসপাতাল হচ্ছে না। কুমিরায় হাসপাতাল করার জন্য বাস্তবায়ন সংস্থাকে প্রস্তাব দিয়েছি। এখন দেখার বিষয়, তারা বিষয়টি অ্যাকসেপ্ট করে কি না।’
২০২১ সালের জুন থেকে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনেরা। বিভিন্ন সময় সিআরবিতে মানববন্ধনও করে আসছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষও। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় আন্দোলন করার পর সরকার এমন পদক্ষেপ নিল।
এর আগে গত আগস্টে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর সিআরবিতে হাসপাতাল না করতে চিঠি দেন তাঁরা। চিঠিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামসুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, খাদিজাতুল আনোয়ার সনির স্বাক্ষর রয়েছে।
২০১২ সালের দিকে রেলওয়ে অব্যবহৃত নিজস্ব জমিতে হাসপাতালসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিনিয়োগের চেষ্টা করা হয়। এর পরপরই রেলের জমিতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ সিটের মেডিকেল কলেজ নির্মাণের বেসরকারি অংশীদার নির্বাচনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এর অধীনে ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভায় প্রকল্পটি পিপিপিতে বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলের প্রস্তাবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থেকে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব অ্যা ৫০০ বেড মাল্টি স্পেশিয়ালিটি হসপিটাল অ্যান্ড অ্যা ১০০ সিট মেডিকেল কলেজ অন বাংলাদেশ রেলওয়ে সিট অ্যাট চিটাগং’ শিরোনামে দরপত্র দলিল প্রস্তুত করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ প্রকল্প নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ৩৯৮ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা।
২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর খসড়া চুক্তিপত্র অনুমোদন করে আইন মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই সিসিইএর বৈঠকে পিপিপি প্রকল্পটি পুনরায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি পিপিপি চুক্তিপত্র সিসিইএ কমিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো পাঠানো হয়। এরপর ২৮ জানুয়ারি সিসিইএ কমিটির বৈঠকের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি পিপিপি প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়, যা একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
আরও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
৩ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
৩ ঘণ্টা আগে