Ajker Patrika

তিন দিন শান্ত থাকার পর আবার বিকট শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩: ০০
তিন দিন শান্ত থাকার পর আবার বিকট শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত তিন দিন শান্ত থাকার পর আবারও গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার হোয়াইক্যং এবং শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তের বাসিন্দারা ওপারের গোলাগুলি ও মর্টারশেলের আওয়াজ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। এতে এপারে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।  

গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তে কোনো ধরনের গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে বিকট শব্দ শোনা যায়নি।   

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজের আগে পর্যন্ত থেমে থেমে খারাংখালী সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এতে সীমান্তঘেঁষা চিংড়ি ঘের ও খেতখামারের লোকজন ভয়ে পালিয়ে এসেছেন। তবে আগের তুলনায় গোলাগুলির তীব্রতা কম।’  
 
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। আজ শুক্রবার দুপুরে খারাংখালী সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনছেন স্থানীয় লোকজন।’
  
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘টেকনাফের দক্ষিণ–পূর্ব সীমান্তের ওপারে  মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকা। তিন দিন আগে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। এরপর তিন দিন শান্ত থাকার পর আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে নাফনদীর পূর্ব পাশের মিয়ানমারের মংডু শহরের নলবন্ন্যা গ্রামে পর পর তিনটি মর্টারশেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে শাহ পরীর দ্বীপ। এখনো আতঙ্কে রয়েছে লোকজন। সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে মংডুর আশপাশের রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশেরের চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

শাহপরীর দ্বীপের জসিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘চার রাত সীমান্তের মানুষ শান্তিতে ঘুমিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সীমান্ত শান্ত ছিল। হঠাৎ করে আবার বিকট শব্দে এপারে কেঁপে উঠেছে। এতে আবারও আতঙ্ক কাজ করছে।’   

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধ চলছে। প্রায় ১৮ দিন তুমুল লড়াইয়ের পর সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে বিদ্রোহীরা বাংলাদেশ সীমান্তের অধিকাংশ সীমান্তচৌকি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় লড়াইয়ের তীব্রতা কমে এসেছে। বিদ্রোহীরা মংডু শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তিন দিন বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তবে শুক্রবার দুপুরে হোয়াইক্যং ও বিকেলে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে বিকট শব্দ শোনা গেছে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসরত লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্তে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

ইটনায় এবার ডিলার নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস

‘ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির’, কারখানার ভেতর আত্মহত্যার আগে শ্রমিকের ফেসবুক পোস্ট

কুষ্টিয়ায় গভীর রাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, দেখে নেওয়ার হুমকি

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনে প্রক্রিয়া মানা হয়নি: ইউনেসকো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত