আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কোথাও কোথাও দেবে গেছে সড়ক। যান চলাচলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে; সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনাবাহী লরিগুলো যেমন বিপাকে পড়ছে, তেমনি বিপাকে পড়ছে ত্রাণের গাড়ি। এ ছাড়া ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর আঞ্চলিক সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়কেও সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
গত বুধবার রাত থেকে ফেনীর লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকায় খরস্রোতের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর গত রোববার দুপুর থেকে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। তবে এর আগে চার দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই থেকে ফেনী সদরের লালপোল পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটারে শত শত যানবাহন আটকে ছিল। বেশির ভাগই বন্দর থেকে বের হওয়া পণ্যবাহী যানবাহন। সড়কে পানি থাকায় ও বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। ঢাকা, সিলেট, রংপুরগামী বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাসও আটকে ছিল।
বন্যার পানির তীব্র স্রোতে মহাসড়কের লালপোল ও লেমুয়া অংশে ফাটলের কারণে সৃষ্টি হয় একাধিক বিশাল গর্তের। একই সঙ্গে ভেঙে পড়েছিল মহাসড়কের সড়ক বাঁধ। এসব সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোববার পর সন্ধ্যা থেকে উল্টো লেন দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে। তবে মহাসড়কের কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। চলাচলের সময় এসব গর্তে পড়ে অনেক গাড়ি বিকল হয়েছে। কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড থেকে ফেনীর লেমুয়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮৭ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মহাসড়কের যান চলাচলের খবর পেয়ে রোববার রাতে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ তীব্র আকার ধারণ করেছে। কক্সবাজার থেকে রোববার সকাল ১০টায় ছেড়ে আসা বাসের (মারসা পরিবহন) চালক নয়ন মিয়ার সঙ্গে গতকাল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘গত রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়কে যানজটে আটকা পড়ি। এখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। চৌদ্দগ্রামে আটকে আছি। ঢাকায় কখন পৌঁছাব, তা জানি না। যানজটের কারণে কোনো খাবার পাচ্ছি না।’
গতকাল আলমগীর হোসেন নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘সড়কে যান চলাচল শুরুর খবর শুনে গত রাতে গাজীপুর থেকে গার্মেন্টসের পুণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে রওনা হয়েছি। ১৫ ঘণ্টা হয়ে গেছে, এখনো চৌদ্দগ্রাম পার হতে পারিনি।’
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে দেবে যাওয়া স্থান এবং গর্তগুলো মেরামতের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়াও সড়কে নতুন করে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম-ফেনী ৩ দিনের পথ
চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। স্বাভাবিক সময়ে এ দূরত্বে যেতে লাগে দুই ঘণ্টা। কিন্তু বন্যার পর থেকে প্রাইভেট কার বা ট্রাকে করে যাঁরা গেছেন তাঁদের লাগছে ৩ দিন। এ পথের ২৪ কিলোমিটারে তীব্র যানজট ও মহাসড়কের অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সময় বেশি লাগছে। ফলে ওই পথে কোনো দূরপাল্লার বাসও ছাড়ছেন না পরিবহনমালিকেরা। ফেনীর সাংবাদিক ডালিম হাজারী বলেন, ফেনী ট্রাংক রোডে এখনো পানি জমে রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম-ফেনী ও ফেনী-কুমিল্লা হাইওয়েতে যানজট রয়েছে। যানজটের আরেকটি কারণ ত্রাণের সারি সারি গাড়ির লাইন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কোথাও কোথাও দেবে গেছে সড়ক। যান চলাচলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে; সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনাবাহী লরিগুলো যেমন বিপাকে পড়ছে, তেমনি বিপাকে পড়ছে ত্রাণের গাড়ি। এ ছাড়া ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর আঞ্চলিক সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়কেও সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
গত বুধবার রাত থেকে ফেনীর লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকায় খরস্রোতের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর গত রোববার দুপুর থেকে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। তবে এর আগে চার দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই থেকে ফেনী সদরের লালপোল পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটারে শত শত যানবাহন আটকে ছিল। বেশির ভাগই বন্দর থেকে বের হওয়া পণ্যবাহী যানবাহন। সড়কে পানি থাকায় ও বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। ঢাকা, সিলেট, রংপুরগামী বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাসও আটকে ছিল।
বন্যার পানির তীব্র স্রোতে মহাসড়কের লালপোল ও লেমুয়া অংশে ফাটলের কারণে সৃষ্টি হয় একাধিক বিশাল গর্তের। একই সঙ্গে ভেঙে পড়েছিল মহাসড়কের সড়ক বাঁধ। এসব সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোববার পর সন্ধ্যা থেকে উল্টো লেন দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে। তবে মহাসড়কের কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। চলাচলের সময় এসব গর্তে পড়ে অনেক গাড়ি বিকল হয়েছে। কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড থেকে ফেনীর লেমুয়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮৭ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মহাসড়কের যান চলাচলের খবর পেয়ে রোববার রাতে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ তীব্র আকার ধারণ করেছে। কক্সবাজার থেকে রোববার সকাল ১০টায় ছেড়ে আসা বাসের (মারসা পরিবহন) চালক নয়ন মিয়ার সঙ্গে গতকাল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘গত রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়কে যানজটে আটকা পড়ি। এখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। চৌদ্দগ্রামে আটকে আছি। ঢাকায় কখন পৌঁছাব, তা জানি না। যানজটের কারণে কোনো খাবার পাচ্ছি না।’
গতকাল আলমগীর হোসেন নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘সড়কে যান চলাচল শুরুর খবর শুনে গত রাতে গাজীপুর থেকে গার্মেন্টসের পুণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে রওনা হয়েছি। ১৫ ঘণ্টা হয়ে গেছে, এখনো চৌদ্দগ্রাম পার হতে পারিনি।’
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে দেবে যাওয়া স্থান এবং গর্তগুলো মেরামতের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়াও সড়কে নতুন করে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম-ফেনী ৩ দিনের পথ
চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। স্বাভাবিক সময়ে এ দূরত্বে যেতে লাগে দুই ঘণ্টা। কিন্তু বন্যার পর থেকে প্রাইভেট কার বা ট্রাকে করে যাঁরা গেছেন তাঁদের লাগছে ৩ দিন। এ পথের ২৪ কিলোমিটারে তীব্র যানজট ও মহাসড়কের অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সময় বেশি লাগছে। ফলে ওই পথে কোনো দূরপাল্লার বাসও ছাড়ছেন না পরিবহনমালিকেরা। ফেনীর সাংবাদিক ডালিম হাজারী বলেন, ফেনী ট্রাংক রোডে এখনো পানি জমে রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম-ফেনী ও ফেনী-কুমিল্লা হাইওয়েতে যানজট রয়েছে। যানজটের আরেকটি কারণ ত্রাণের সারি সারি গাড়ির লাইন।
ময়মনসিংহে সেপটিক ট্যাংকে নেমে এক নির্মাণশ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ নলুয়াপাড়া এলাকায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকের নাম মামুন মিয়া (১৯)। তিনি সদর উপজেলার আলালপুর নামাপাড়ার কাছু মিয়ার ছেলে।
৩০ মিনিট আগেদলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনা মহানগর মহিলা দলের তিন নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিলটন গতকাল রোববার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে জিয়া মোড় থেকে ইবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে মিছিলটি বের হয়। এটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার তালায় নিখোঁজ এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে কালভার্টের নিচে। পুলিশ আজ সোমবার হরিশ্চন্দ্রকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। মারা যাওয়া নারীর নাম সেলিনা বেগম (৪৫)। তিনি হরিশ্চন্দ্রকাটি গ্রামের মো. রহমত খাঁর স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগে