Ajker Patrika

বরকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ‘ঘুষ দাবির’ অডিও ফাঁস

রাঙামাটি প্রতিনিধি
বরকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ‘ঘুষ দাবির’ অডিও ফাঁস

রাঙামাটির বরকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউইও) মো. আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষককে সরিয়ে ৮ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে নতুন দুজনকে নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিও যাচাই করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। 

ইউইওর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার এই অভিযোগ করেন উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের রামুক্যাছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রসিক কুমার চাকমা। ওই অডিও কথোপকথনে দুজনের কণ্ঠ আছে। তার মধ্যে একজন রসিক কুমার চাকমা। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম দাবি করছেন, ওই অডিওতে তাঁর কণ্ঠ নেই। 

মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে রসিক কুমার চাকমা বলেন, ‘আমরা স্থানীয় ৪ জন শিক্ষক মিলে স্কুলটি ধরে রেখেছি। ২০১১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। বর্তমানে ৫০ জনের ওপর ছাত্র-ছাত্রী আছে। আমরা শিক্ষকেরা বিনাবেতনে ছেলে-মেয়েদের পড়াচ্ছি। সরকারি–বেসরকারি কোনো অনুদান নেই আমাদের। আমাদের দুঃখের কথা ভাগাভাগি করতে ও আমাদের ভবিষ্যতের খবর জানতে বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারে ইউইও সালাম স্যারের অফিসে যাই। কথা বলা শেষে বাকি দুজন শিক্ষককে বাইরে পাঠিয়ে আমার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন ইউইও।’ 

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ইউইও তারপর বলেন, আপনাদের পদগুলো ঠিক রাখতে প্রতি জনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা দরকার। এগুলো ওপরে পাঠাতে হবে। এ টাকাগুলো তিন দিনের মধ্যে জোগাড় করে দিতে বলেন। তিন দিনের মাথায় রামুক্যাছড়ি ফেরার পথে সকাল ৭টা ২৪ মিনিটে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে টাকা জোগাড়ের আপডেট খবর জানতে চান। আমরা টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দুজনকে সরিয়ে নতুন দুজন খুঁজে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁকে দেওয়ার পরামর্শ দেন।’ 

ঘুষ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সালাম বলেন, ‘অডিওটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে নিরত নামের বরকলের একজন সাংবাদিক। তারে চিনেন? আমি তারে দেখে ছাড়ব। এর আগে এভাবে একজনকে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে সে নজির আছে। তারে চিনেন? নিরোত এডিট করে এটি করেছে। বিষয়টি আসলে সেটা না। আমি তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করব। লেখা রেডি করেছি। একটু পড়ে দেখবেন? শিগগির মামলা করব। তখন একটু সহযোগিতা করবেন।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘অডিও ক্লিপটি আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি, সত্যতা পেয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত