Ajker Patrika

ত্রিপুরায় গণপিটুনিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, ১৮: ১০
ত্রিপুরায় গণপিটুনিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নিহত এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ঘটনার তিন দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ বলছে, চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজনের গণপিটুনিতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর বাবার অভিযোগ, ত্রিপুরায় এক বাংলাদেশি পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে। 

গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

নিহত যুবক ডালিম মিয়া (২৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সীমান্তবর্তী মাদলা গ্রামের মোহন মিয়ার (৫০) ছেলে।

পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০), কসবার কোল্লাপাথর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে হৃদয় মিয়াসহ (২৬) কয়েকজন গত শুক্রবার রাতে কসবা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন।

আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তের নোম্যানসল্যান্ডে (শূন্য রেখায়) রাজ্যের টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার টাকারজলা থানাধীন গোলাঘাটী গ্রামের একটি বিদ্যালয় থেকে গত শনিবার সকালে এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। এ সময় সেখানকার অধিবাসীরা চোর সন্দেহে তাঁদের ধাওয়া করে ডালিমকে ধরে ফেলে এবং ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় জহিরুল নামে অপর এক বাংলাদেশি যুবক পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্যরা পালিয়ে গেছেন। পরে জহিরুলকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে টাকারজলা থানা-পুলিশ।’ 

তবে ডালিমের বাবা মোহন মিয়া বলছেন, ‘মাদলা গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান শিমুল (৩৫) কয়েক দিন আগে থেকেই ভারতে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিমুলের ভাই জহিরুলসহ অন্যরা ডালিমকে ভারতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’ 

মোহন মিয়া আরও বলেন, ‘শিমুলের স্ত্রীর সঙ্গে ডালিমের পরকীয়া চলছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সম্প্রতি আপস মীমাংসা হলেও পরকীয়ার জের ধরেই শিমুল ও তাঁর লোকজন ডালিমকে হত্যা করেছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্প কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডালিমকে কে বা কারা এবং কেন পিটিয়ে হত্যা করেছে তা জানাতে পারেনি বিএসএফ। তবে ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশের কাছ থেকে আখাউড়া থানা-পুলিশ গতকাল সোমবার রাত ১১টায় ওই মরদেহ গ্রহণ করেছে।’ 

আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু হত্যাকাণ্ড ভারতে ঘটেছে সুতরাং ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে বিচার চাইলে ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত