Ajker Patrika

নোয়াখালীতে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান, প্রতিদিন ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯: ৩৫
নোয়াখালীতে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান, প্রতিদিন ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে নতুন গ্যাসকূপ খনন করা হয়েছিল। বেগমগঞ্জ-৪ নামের এ কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে গ্যাসের সন্ধান। এ কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন এক কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস যোগ হবে বলে আশা করছে বাপেক্স। 

ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটি এ বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে খননের কাজ শুরু করে। গতকাল সোমবার দিনে খনন কাজ শেষ হওয়ার পর ডিএসটি টেস্ট শেষে রাত ৮টা থেকে চলছে সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। উৎপাদন টেস্ট শেষে এখানে গ্যাসের পরিমাণ জানা যাবে। 

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) জানায়, কূপটি ৩ হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৯২১ থেকে ১ হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, ২ হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে ২ হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় এবং ৩ হাজার ৮১ মিটার থেকে ৩ হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। 

বেগমগঞ্জ-৪ নামের কূপটির তিনটি স্তরে মিলেছে গ্যাসের সন্ধানকূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, শুরুতে এ কূপটি থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে আরও ভালো কিছু আশা করা যাবে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত আছে প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী। 

এর আগে ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হলে সেখান থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৮০ লাখ ঘনফুট করে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে, যা জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানেই বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ-৬ কূপ খনন করা হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত