কুমিল্লা প্রতিনিধি
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক মামলায় তিতাস গ্যাসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে প্রায় ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
গতকাল রোববার এই সাজা দেন কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার। তবে মামলার দায় থেকে খালাস পেয়েছেন পিয়ন। রায় ঘোষণার সময় তিন স্ত্রীকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আসফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার কৌঁসুলি (পিপি) জানান, পিয়ন জহিরুল ইসলাম ও তাঁর তিন স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুদক কুমিল্লা কার্যালয় থেকে ৩টি মামলা করা হয়। মামলার রায়ে পিয়নের স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তৃতীয় স্ত্রী আসমা আক্তারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩১ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তবে খালাস পেয়ে যান পিয়ন জহিরুল।
দুদক কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, তিনটি মামলায় স্ত্রীদের সঙ্গে জহিরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। আদালতের রায় অনুযায়ী জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীর অর্থদণ্ডের মোট ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ১৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার রায় দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জহিরুলকে তিনটি মামলা থেকেই খালাস দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিয়ন জহিরুল ইসলাম জহির কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের আবদুল গফুর সর্দারের ছেলে। তাঁর চাকরি শুরু হয় তিতাসে মাস্টার রোলে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ৩৩৬টি ৪ ইঞ্চি পাইপ চুরির দায়ে জহিরকে শাস্তি দেওয়া হয়। পরে তিনি রূপগঞ্জে তিতাসের আঞ্চলিক অফিসে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে ৫ বছর কাজ করেন। সেখানে থেকেই ‘জহির বীথি এন্টারপ্রাইজ’সহ তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা স্ত্রী ও ভাগনের নামে। পরে জহির রূপগঞ্জ তিতাসের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন থেকেই শুরু তাঁর অবৈধ গ্যাসসংযোগের বাণিজ্য, মিটার টেম্পারিংসহ নানা অপকর্ম। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করার সময়ই নথিপত্র চুরিসহ নানা অভিযোগে রূপগঞ্জ তিতাস অফিস থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রধান কার্যালয়ে তিতাস গ্যাস ভান্ডার বিভাগের পিয়ন হিসেবে চাকরি নেন। বর্তমানে সেখানেই কর্মরত। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি নিজের ও তিন স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, জহির অবৈধ গ্যাস সিন্ডিকেটের হোতা ছিলেন। তিতাস কর্তৃপক্ষ কোনো এলাকায় গিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে এলে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জহির ওই জায়গায় অবৈধভাবে সংযোগ দিতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বুড়িচং, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে কয়েকশ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দামি গাড়ি ও বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে।
এসব অভিযোগ থাকার পরও স্ত্রীদের সাজা হলেও দুদকের তিন মামলায় তাঁর অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জহিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি।
মামলার রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আসফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনটি মামলায় পিয়ন জহির আসামি করা হয়েছিল। তিনি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এ বিষয়ে মামলার বাদীপক্ষ (দুদক) উচ্চ আদালতে যাবে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক মামলায় তিতাস গ্যাসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে প্রায় ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
গতকাল রোববার এই সাজা দেন কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার। তবে মামলার দায় থেকে খালাস পেয়েছেন পিয়ন। রায় ঘোষণার সময় তিন স্ত্রীকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আসফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার কৌঁসুলি (পিপি) জানান, পিয়ন জহিরুল ইসলাম ও তাঁর তিন স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুদক কুমিল্লা কার্যালয় থেকে ৩টি মামলা করা হয়। মামলার রায়ে পিয়নের স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তৃতীয় স্ত্রী আসমা আক্তারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩১ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তবে খালাস পেয়ে যান পিয়ন জহিরুল।
দুদক কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, তিনটি মামলায় স্ত্রীদের সঙ্গে জহিরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। আদালতের রায় অনুযায়ী জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীর অর্থদণ্ডের মোট ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ১৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার রায় দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জহিরুলকে তিনটি মামলা থেকেই খালাস দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিয়ন জহিরুল ইসলাম জহির কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের আবদুল গফুর সর্দারের ছেলে। তাঁর চাকরি শুরু হয় তিতাসে মাস্টার রোলে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ৩৩৬টি ৪ ইঞ্চি পাইপ চুরির দায়ে জহিরকে শাস্তি দেওয়া হয়। পরে তিনি রূপগঞ্জে তিতাসের আঞ্চলিক অফিসে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে ৫ বছর কাজ করেন। সেখানে থেকেই ‘জহির বীথি এন্টারপ্রাইজ’সহ তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা স্ত্রী ও ভাগনের নামে। পরে জহির রূপগঞ্জ তিতাসের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন থেকেই শুরু তাঁর অবৈধ গ্যাসসংযোগের বাণিজ্য, মিটার টেম্পারিংসহ নানা অপকর্ম। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করার সময়ই নথিপত্র চুরিসহ নানা অভিযোগে রূপগঞ্জ তিতাস অফিস থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রধান কার্যালয়ে তিতাস গ্যাস ভান্ডার বিভাগের পিয়ন হিসেবে চাকরি নেন। বর্তমানে সেখানেই কর্মরত। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি নিজের ও তিন স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, জহির অবৈধ গ্যাস সিন্ডিকেটের হোতা ছিলেন। তিতাস কর্তৃপক্ষ কোনো এলাকায় গিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে এলে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জহির ওই জায়গায় অবৈধভাবে সংযোগ দিতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বুড়িচং, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে কয়েকশ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দামি গাড়ি ও বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে।
এসব অভিযোগ থাকার পরও স্ত্রীদের সাজা হলেও দুদকের তিন মামলায় তাঁর অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জহিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি।
মামলার রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আসফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনটি মামলায় পিয়ন জহির আসামি করা হয়েছিল। তিনি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এ বিষয়ে মামলার বাদীপক্ষ (দুদক) উচ্চ আদালতে যাবে।
১৯৯৯ সালে এক নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে কুয়েতপ্রবাসী হন। শুরুতেই কুয়েতের ‘সুয়েব’ শহরে মোটর গ্যারেজে চাকরি নেন। এরপর ধীরে ধীরে কর্মচারী থেকে গ্যারেজের মালিক হন। সুয়েব শহরে প্রতিটি বাড়িতে, রাস্তায় প্রায় সবখানে খেজুরগাছ দেখে উদ্বুদ্ধ হন জাকির। সেটা দেখে নিজের দেশে খেজুরবাগান করার পরিকল্পনা করেন...
১৩ মিনিট আগেসিলেটে পৌঁছার পর ঘুম ভাঙলে ওই কিশোরী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার উদ্দেশে সিলেট-নবীগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাসে ওঠে। বাসটি বিভিন্ন স্টপেজ থেকে যাত্রী ওঠানো-নামানোর সময় ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে পড়ে।
১৫ মিনিট আগেযশোরে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, বোমা কিংবা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা আবার ধর্ষণ শেষে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার মতো আলোচিত ঘটনাও রয়েছে। গত ১ মে থেকে চলতি মাসের ১৫ জুন পর্যন্ত দেড় মাসে জেলায় শিশুসহ ১৩ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২৯ মিনিট আগেইউনিয়ন পরিষদের অপারেটর সজীব চাল বিতরণে অনিয়ম করছিলেন—এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সভাপতির পক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রোববার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হওয়ার সময় সভাপতি আমির হোসেন ব্যাপারী ও তাঁর অনুসারীরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান।
৩৮ মিনিট আগে