নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে একাধিক হত্যা মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়ে আবার পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট বারৈয়পাড়া একটি বাসা থেকে তামান্নাকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানার পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আবার তাঁকে বায়েজিদ থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারের পর তামান্নার আইনজীবী আসামি জামিনে থাকার কাগজপত্র দেখালে যাচাই-বাছাই শেষে পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে একটি আটকাদেশ থাকায় তাঁকে ভিন্ন একটি থানা (বায়েজিদ) পুলিশ পরে হেফাজতে নেন।
তামান্না চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট রোডের মো. শফি মাঝির মেয়ে।
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও জোড়া খুনের মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি তামান্না এত দিন হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন ছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। আমরা যখন তাঁকে গ্রেপ্তার করি; তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ ও পুনরায় জামিনের কথা বলেন, কিন্তু তখন তিনি কোনো কাগজপত্র আমাদের দেখাতে পারেননি। পরে তাঁকে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় আনা হয়।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘রোববার তামান্নার আইনজীবী এই খুনের মামলাটিতে আদালতে তাঁর জামিন-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখান। তাঁর আইনজীবী জানান, গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশে আসামি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় নিম্ন আদালত আগামী ১৫ মে জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে আসামি অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ হওয়ায় তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানির আগ পর্যন্ত যাতে মামলাটিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হয়, সেই নির্দেশনা দেন। সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষে পরে আসামি তামান্নাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বায়েজিদ থানায় তামান্নার বিরুদ্ধে একটি আটকাদেশ রয়েছে। পরে ওখানকার থানা-পুলিশের কাছে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তামান্নার ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের একটি আটকাদেশ রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য (রোববার বিকেল ৫টা) অনুযায়ী খবরে জানা গেছে, সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না বর্তমানে বায়েজিদ থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়। পরদিন তাঁর স্ত্রী তামান্না প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ‘কাড়ি কাড়ি’ টাকা খরচ করে সাজ্জাদকে জামিনে বের করে আনার কথা বলেন। পাশাপাশি তাঁর বিরোধী পক্ষকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা।’ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তামান্না তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি শেয়ার করলেও পরে তা সরিয়ে নেন।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের বায়েজিদ জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার মো. আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তামান্নার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া খুনের মামলায় তিনি উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে জামিনে আছেন। তাই মামলাটিতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় যে আটকাদেশ রয়েছে, সেটার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের ঊর্ধ্বতনরা বসে এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। ওনারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। আপাতত তিনি আমাদের হেফাজতে আছেন।’
এর আগে বাকলিয়া থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের সময় তামান্নাকে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় থানায় হেঁটে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
সন্ত্রাসী সাজ্জাদ গ্রেপ্তার ও তামান্নার ভিডিও ভাইরাল ঘটনার পর গত ২৯ মার্চ রাতে সাজ্জাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে নগরের বাকলিয়া এলাকায় প্রাইভেট কার ধাওয়া দিয়ে গুলি করে দুজনকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় নিহতদের একজনের মা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, তাঁর স্ত্রী তামান্নাসহ সাতজনকে এজাহারনামীয় ও ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই জোড়া খুনের মামলায় গত ৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
চট্টগ্রামে একাধিক হত্যা মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়ে আবার পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট বারৈয়পাড়া একটি বাসা থেকে তামান্নাকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানার পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আবার তাঁকে বায়েজিদ থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারের পর তামান্নার আইনজীবী আসামি জামিনে থাকার কাগজপত্র দেখালে যাচাই-বাছাই শেষে পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে একটি আটকাদেশ থাকায় তাঁকে ভিন্ন একটি থানা (বায়েজিদ) পুলিশ পরে হেফাজতে নেন।
তামান্না চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট রোডের মো. শফি মাঝির মেয়ে।
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও জোড়া খুনের মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি তামান্না এত দিন হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন ছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। আমরা যখন তাঁকে গ্রেপ্তার করি; তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ ও পুনরায় জামিনের কথা বলেন, কিন্তু তখন তিনি কোনো কাগজপত্র আমাদের দেখাতে পারেননি। পরে তাঁকে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় আনা হয়।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘রোববার তামান্নার আইনজীবী এই খুনের মামলাটিতে আদালতে তাঁর জামিন-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখান। তাঁর আইনজীবী জানান, গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশে আসামি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় নিম্ন আদালত আগামী ১৫ মে জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে আসামি অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ হওয়ায় তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানির আগ পর্যন্ত যাতে মামলাটিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হয়, সেই নির্দেশনা দেন। সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষে পরে আসামি তামান্নাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বায়েজিদ থানায় তামান্নার বিরুদ্ধে একটি আটকাদেশ রয়েছে। পরে ওখানকার থানা-পুলিশের কাছে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তামান্নার ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের একটি আটকাদেশ রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য (রোববার বিকেল ৫টা) অনুযায়ী খবরে জানা গেছে, সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না বর্তমানে বায়েজিদ থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়। পরদিন তাঁর স্ত্রী তামান্না প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ‘কাড়ি কাড়ি’ টাকা খরচ করে সাজ্জাদকে জামিনে বের করে আনার কথা বলেন। পাশাপাশি তাঁর বিরোধী পক্ষকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা।’ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তামান্না তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি শেয়ার করলেও পরে তা সরিয়ে নেন।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের বায়েজিদ জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার মো. আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তামান্নার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া খুনের মামলায় তিনি উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে জামিনে আছেন। তাই মামলাটিতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় যে আটকাদেশ রয়েছে, সেটার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের ঊর্ধ্বতনরা বসে এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। ওনারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। আপাতত তিনি আমাদের হেফাজতে আছেন।’
এর আগে বাকলিয়া থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের সময় তামান্নাকে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় থানায় হেঁটে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
সন্ত্রাসী সাজ্জাদ গ্রেপ্তার ও তামান্নার ভিডিও ভাইরাল ঘটনার পর গত ২৯ মার্চ রাতে সাজ্জাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে নগরের বাকলিয়া এলাকায় প্রাইভেট কার ধাওয়া দিয়ে গুলি করে দুজনকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় নিহতদের একজনের মা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, তাঁর স্ত্রী তামান্নাসহ সাতজনকে এজাহারনামীয় ও ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই জোড়া খুনের মামলায় গত ৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফরিদপুরে মাকে দেখতে না দিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠা শিশু তানহা আক্তারকে (১৪ মাস) উদ্ধার করেছে র্যাব। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায়...
১০ মিনিট আগেগাইবান্ধা সদরে কালবৈশাখীর সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে র্যাবের এক সদস্য নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের সাহার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা র্যাব-১৩ ক্যাম্পে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা।
৩৭ মিনিট আগেবগুড়ার শেরপুরে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের এক নেতা থানায় হাজির হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান পলাশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
১ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে জুলাই আন্দোলনের পুরো সময় সরব থাকা গিয়াস উদ্দিন মনিরের দুটি কিডনি অচল হয়ে গেছে। আন্দোলনকালে তাঁর পায়ে লাগা আঘাত থেকে এই অবস্থা হয়েছে বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে। মনির বনপাড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি বনপাড়া পৌরসভার সদ্য সাবেক কাউন্সিলর।
১ ঘণ্টা আগে