খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে চলছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। আজ বাংলা ২৯ চৈত্র (বুধবার) সকালে চেঙ্গী নদীতে ফুল দিয়ে পূজার মাধ্যমে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পাহাড়ে হাজারো মানুষ অংশ নিয়ে মেতে ওঠে এ উৎসবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এই আয়োজন হয়ে যায়। ভোরের আলো ফুটতেই খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ও মাইনী নদীতে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। রীতি অনুযায়ী পুরোনো বছরের জরা-দুঃখ ভুলে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় গঙ্গা দেবী ও উপগুপ্ত বুদ্ধের উদ্দ্যেশে ফুল দিয়ে পূজা করে চাকমা তরুণ–তরুণীরা। এ সময় চাকমা তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বন থেকে সংগ্রহ করা বিজু, মাধবীলতা, রঙ্গনসহ নানা রকমের ফুল দিয়ে পূজা করে। পরে নদীর পাড়ে গঙ্গা দেবীর উদ্দ্যেশ্যে প্রার্থনা করা হয়।
এ সময় কথা হয় ফুল বিজুতে অংশ নেওয়া নূপুর চাকমা নামের এক তরুণীর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের যত দুঃখ কষ্ট গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিব। প্রতিবছর আমরা এখানে জড়ো হই।’
উৎসবে অংশ নেওয়া রাজষী চাকমা, ‘ফুল দিয়ে উপগুপ্ত বুদ্ধকে পূজা করি। ফুল দিয়ে ঘর সাজাই। নতুন বছরকে বরণ করি এবং পুরোনো বছরকে বিদায় জানাই।’
পাহাড়ে এই উৎসব দেখতে যোগ দেয় পর্যটকেরাও। ফুল ভাসানো বা ফুল বিজু চাকমাদের উৎসব হলেও সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধনে এই উৎসব সর্বজনীন রূপ নেয়। ফুল বিজুতে অংশ নিতে আসা রেহানা ফেরদৌসী নামের এক নারী পর্যটক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই উৎসবের কথা বিভিন্ন জায়গায় শুনেছি। আজকে প্রথমবারের মতো এখানে আসার সুযোগ হয়েছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে এসেছি। আমার খুবই ভালো লাগছে। এমন বর্ণিল আয়োজন সত্যিই মুগ্ধ করে।’
ফুল বিজুর মাধ্যমে পাহাড়ে যে উৎসব শুরু হয়েছে তার মধ্য দিয়ে পাহাড়ের মানুষদের ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় প্রত্যাশা বৃহত্তর খবংপুড়িয়া বিজু উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ধীমান খীসার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ বছর ধরে এখানে ফুল বিজু উদ্যাপন করি। নতুন বছরকে বরণ করতেই আমরা নদীতে ফুল দিয়ে পূজা করি। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ের মানুষদের ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় প্রত্যাশা বলে রাখি।’
সকালে ফুল বিজুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ধরনের উৎসবের মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শান্তি দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। আমাদের অনুভূতি অসাধারণ। শান্তি ও সম্প্রীতি আরও উন্নত হবে, আরও মজবুত হবে।’
এ দিকে এ উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। ফুল বিজু উৎসবে অংশ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক বলেন, ‘অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। পুলিশের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ নিরাপত্তায় কাজ করছে।’
খাগড়াছড়িতে চলছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। আজ বাংলা ২৯ চৈত্র (বুধবার) সকালে চেঙ্গী নদীতে ফুল দিয়ে পূজার মাধ্যমে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পাহাড়ে হাজারো মানুষ অংশ নিয়ে মেতে ওঠে এ উৎসবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এই আয়োজন হয়ে যায়। ভোরের আলো ফুটতেই খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ও মাইনী নদীতে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। রীতি অনুযায়ী পুরোনো বছরের জরা-দুঃখ ভুলে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় গঙ্গা দেবী ও উপগুপ্ত বুদ্ধের উদ্দ্যেশে ফুল দিয়ে পূজা করে চাকমা তরুণ–তরুণীরা। এ সময় চাকমা তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বন থেকে সংগ্রহ করা বিজু, মাধবীলতা, রঙ্গনসহ নানা রকমের ফুল দিয়ে পূজা করে। পরে নদীর পাড়ে গঙ্গা দেবীর উদ্দ্যেশ্যে প্রার্থনা করা হয়।
এ সময় কথা হয় ফুল বিজুতে অংশ নেওয়া নূপুর চাকমা নামের এক তরুণীর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের যত দুঃখ কষ্ট গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিব। প্রতিবছর আমরা এখানে জড়ো হই।’
উৎসবে অংশ নেওয়া রাজষী চাকমা, ‘ফুল দিয়ে উপগুপ্ত বুদ্ধকে পূজা করি। ফুল দিয়ে ঘর সাজাই। নতুন বছরকে বরণ করি এবং পুরোনো বছরকে বিদায় জানাই।’
পাহাড়ে এই উৎসব দেখতে যোগ দেয় পর্যটকেরাও। ফুল ভাসানো বা ফুল বিজু চাকমাদের উৎসব হলেও সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধনে এই উৎসব সর্বজনীন রূপ নেয়। ফুল বিজুতে অংশ নিতে আসা রেহানা ফেরদৌসী নামের এক নারী পর্যটক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই উৎসবের কথা বিভিন্ন জায়গায় শুনেছি। আজকে প্রথমবারের মতো এখানে আসার সুযোগ হয়েছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে এসেছি। আমার খুবই ভালো লাগছে। এমন বর্ণিল আয়োজন সত্যিই মুগ্ধ করে।’
ফুল বিজুর মাধ্যমে পাহাড়ে যে উৎসব শুরু হয়েছে তার মধ্য দিয়ে পাহাড়ের মানুষদের ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় প্রত্যাশা বৃহত্তর খবংপুড়িয়া বিজু উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ধীমান খীসার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ বছর ধরে এখানে ফুল বিজু উদ্যাপন করি। নতুন বছরকে বরণ করতেই আমরা নদীতে ফুল দিয়ে পূজা করি। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ের মানুষদের ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় প্রত্যাশা বলে রাখি।’
সকালে ফুল বিজুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ধরনের উৎসবের মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শান্তি দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। আমাদের অনুভূতি অসাধারণ। শান্তি ও সম্প্রীতি আরও উন্নত হবে, আরও মজবুত হবে।’
এ দিকে এ উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। ফুল বিজু উৎসবে অংশ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক বলেন, ‘অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। পুলিশের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ নিরাপত্তায় কাজ করছে।’
‘ফাতেমা আমাদের কলিজার টুকরা ছিল। ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় থাকত, মায়ের সাথে। আমাদের সবার ইচ্ছে ছিল বড় হলে সে চিকিৎসক হবে। সব আশা স্বপ্ন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।’ এভাবেই বিলাপ করছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশার (৯) চাচি মুক্তা বেগম। অদূরেই ভাগ্নে ওসমানকে কোলে
০১ জানুয়ারি ১৯৭০গজারিয়ায় বাল্কহেড থেকে নদীতে পড়ে আল আমিন (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদীর একটি শাখায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ সূত্র আজ বিবিসিকে জানায়, ‘আমরা আশা করছি, দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক–যাঁদের বার্ন ইউনিটে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁরা নার্সদের একটি ছোট দল নিয়ে আজই (মঙ্গলবার) ঢাকায় পৌঁছে যাবেন।’
১০ মিনিট আগেতিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে নয়, বরং প্রযুক্তির মাধ্যমে অতিক্রম করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। এই প্রকল্পকে একটি ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ও একাডেমিয়াকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ জন্য উন্নয়নাধীন বাংলা ভাষায় স্ক্রিন রিডার, ব্রেইল কনভার্টার ও ইশারা ভাষা ডিজিটাইজেশনভিত্তিক সফটওয়্যার
১৪ মিনিট আগে