কক্সবাজার প্রতিনিধি
দুদিনের টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জেলার নয় উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ২০১৫ সালের পর একদিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এতে পাহাড় ধস এবং বন্যার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বর্ষণ অব্যাহত থাকায় কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের কলাতলী, প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, টেকপাড়া, কালুরদোকান, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, নুনিয়ারছড়া, সমিতিপাড়া, বাসটার্মিনাল এলাকাসহ বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরের যানচলাচল বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
জেলার সদর, রামু, উখিয়া, চকরিয়া ও টেকনাফে বন্যার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সূত্র জানা গেছে, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদী এবং খাল ও ছড়াগুলোতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তায় জানানো হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দর সমূহে ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে যেতে পারে। কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৪ জুন ৪৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন জানান, ভারী বর্ষণে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় কাচা ঘরবাড়ি ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। খোলা রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
টেকনাফ ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরীর জানান, ভারী বর্ষণে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পাহাড় ধসের ঝুঁকি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন
জেলার আট উপজেলায় উঁচু ও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে লাখো মানুষের বসতি রয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ে ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া জেলার সদর, রামু, চকরিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া ও ঈদগাঁও এলাকায় অন্তত তিন লাখ মানুষ বাস করছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, জেলার ৮ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে মাইকিং অব্যাহত আছে। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারটি পৃথক টিম মাঠে কাজ করছে। সদর উপজেলায় পাহাড় ধসে নিহত তিনজনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
দুদিনের টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জেলার নয় উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ২০১৫ সালের পর একদিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এতে পাহাড় ধস এবং বন্যার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বর্ষণ অব্যাহত থাকায় কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের কলাতলী, প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, টেকপাড়া, কালুরদোকান, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, নুনিয়ারছড়া, সমিতিপাড়া, বাসটার্মিনাল এলাকাসহ বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরের যানচলাচল বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
জেলার সদর, রামু, উখিয়া, চকরিয়া ও টেকনাফে বন্যার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সূত্র জানা গেছে, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদী এবং খাল ও ছড়াগুলোতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তায় জানানো হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দর সমূহে ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে যেতে পারে। কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৪ জুন ৪৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন জানান, ভারী বর্ষণে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় কাচা ঘরবাড়ি ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। খোলা রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
টেকনাফ ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরীর জানান, ভারী বর্ষণে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পাহাড় ধসের ঝুঁকি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন
জেলার আট উপজেলায় উঁচু ও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে লাখো মানুষের বসতি রয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ে ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া জেলার সদর, রামু, চকরিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া ও ঈদগাঁও এলাকায় অন্তত তিন লাখ মানুষ বাস করছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, জেলার ৮ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে মাইকিং অব্যাহত আছে। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারটি পৃথক টিম মাঠে কাজ করছে। সদর উপজেলায় পাহাড় ধসে নিহত তিনজনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে স্কুল সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় তারা বিক্ষোভ শুরু করে।
৩৩ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত রজনী ইসলামের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় কোস্ট গার্ডের একটি টহল টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কোস্টগার্ডের একজন সদস্য ও একজন মাঝি আহত হয়েছে। এ সময় ৩০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্টজালসহ ৩৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থান পরিদর্শন করেছেন দুই উপদেষ্টা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজও
১ ঘণ্টা আগে