নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরের কোতোয়ালি থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
এ ছাড়া আদালত এলাকায় হামলার ঘটনায় নিহত আলিফের বড় ভাই খানে আলম বাদী হয়ে ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন। আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাশ, বুজা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাস, ওমকার দাশ, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাশ, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা, দুর্লভ দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য্য। আসামিরা বেশির ভাগই নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড মেথরপট্টি সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
দণ্ডবিধির ১৪৭ / ১৪৮ / ১৪৯ / ৩০২ / ৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, একই সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম।
আলিফ হত্যার ঘটনায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে আসামিরপক্ষের ইসকনপন্থী আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় বিভিন্ন আজেবাজে মন্তব্য করেন এবং আদালতে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। তখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রিজন ভ্যানের সামনে অবস্থান করে দায়িত্বরত পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, প্রিজন ভ্যানের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করলে আদালত চত্বর ত্যাগের সময় সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ বাসায় যাওয়ার সময় আসামিরা তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তারা বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে জয়ধ্বনি দেয়।
মামলার বাদী জামান উদ্দিন এজাহারে জানান, স্থানীয় লোকজন ও ছেলের সহকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তিনি জেনেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধনে আসামিরা তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে। ছেলের দাফন-কাফন ও জানাজার নামাজ সম্পন্ন করে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
এর আগে, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ১৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার বাদী জামান উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছি। এ হত্যায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় বিএনপির সাবেক এক নেতার দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। তাঁরা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সাইফুল ইসলাম আলিফকে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরের কোতোয়ালি থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
এ ছাড়া আদালত এলাকায় হামলার ঘটনায় নিহত আলিফের বড় ভাই খানে আলম বাদী হয়ে ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন। আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাশ, বুজা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাস, ওমকার দাশ, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাশ, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা, দুর্লভ দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য্য। আসামিরা বেশির ভাগই নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড মেথরপট্টি সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
দণ্ডবিধির ১৪৭ / ১৪৮ / ১৪৯ / ৩০২ / ৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, একই সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম।
আলিফ হত্যার ঘটনায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে আসামিরপক্ষের ইসকনপন্থী আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় বিভিন্ন আজেবাজে মন্তব্য করেন এবং আদালতে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। তখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রিজন ভ্যানের সামনে অবস্থান করে দায়িত্বরত পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, প্রিজন ভ্যানের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করলে আদালত চত্বর ত্যাগের সময় সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ বাসায় যাওয়ার সময় আসামিরা তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তারা বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে জয়ধ্বনি দেয়।
মামলার বাদী জামান উদ্দিন এজাহারে জানান, স্থানীয় লোকজন ও ছেলের সহকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তিনি জেনেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধনে আসামিরা তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে। ছেলের দাফন-কাফন ও জানাজার নামাজ সম্পন্ন করে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
এর আগে, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ১৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার বাদী জামান উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছি। এ হত্যায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় বিএনপির সাবেক এক নেতার দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। তাঁরা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সাইফুল ইসলাম আলিফকে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরের কোতোয়ালি থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
এ ছাড়া আদালত এলাকায় হামলার ঘটনায় নিহত আলিফের বড় ভাই খানে আলম বাদী হয়ে ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন। আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাশ, বুজা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাস, ওমকার দাশ, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাশ, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা, দুর্লভ দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য্য। আসামিরা বেশির ভাগই নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড মেথরপট্টি সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
দণ্ডবিধির ১৪৭ / ১৪৮ / ১৪৯ / ৩০২ / ৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, একই সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম।
আলিফ হত্যার ঘটনায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে আসামিরপক্ষের ইসকনপন্থী আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় বিভিন্ন আজেবাজে মন্তব্য করেন এবং আদালতে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। তখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রিজন ভ্যানের সামনে অবস্থান করে দায়িত্বরত পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, প্রিজন ভ্যানের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করলে আদালত চত্বর ত্যাগের সময় সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ বাসায় যাওয়ার সময় আসামিরা তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তারা বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে জয়ধ্বনি দেয়।
মামলার বাদী জামান উদ্দিন এজাহারে জানান, স্থানীয় লোকজন ও ছেলের সহকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তিনি জেনেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধনে আসামিরা তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে। ছেলের দাফন-কাফন ও জানাজার নামাজ সম্পন্ন করে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
এর আগে, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ১৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার বাদী জামান উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছি। এ হত্যায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় বিএনপির সাবেক এক নেতার দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। তাঁরা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সাইফুল ইসলাম আলিফকে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরের কোতোয়ালি থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
এ ছাড়া আদালত এলাকায় হামলার ঘটনায় নিহত আলিফের বড় ভাই খানে আলম বাদী হয়ে ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন। আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাশ, বুজা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাস, ওমকার দাশ, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাশ, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা, দুর্লভ দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য্য। আসামিরা বেশির ভাগই নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড মেথরপট্টি সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
দণ্ডবিধির ১৪৭ / ১৪৮ / ১৪৯ / ৩০২ / ৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, একই সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম।
আলিফ হত্যার ঘটনায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে আসামিরপক্ষের ইসকনপন্থী আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় বিভিন্ন আজেবাজে মন্তব্য করেন এবং আদালতে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। তখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রিজন ভ্যানের সামনে অবস্থান করে দায়িত্বরত পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, প্রিজন ভ্যানের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করলে আদালত চত্বর ত্যাগের সময় সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ বাসায় যাওয়ার সময় আসামিরা তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তারা বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে জয়ধ্বনি দেয়।
মামলার বাদী জামান উদ্দিন এজাহারে জানান, স্থানীয় লোকজন ও ছেলের সহকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তিনি জেনেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধনে আসামিরা তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে। ছেলের দাফন-কাফন ও জানাজার নামাজ সম্পন্ন করে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
এর আগে, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ১৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার বাদী জামান উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছি। এ হত্যায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় বিএনপির সাবেক এক নেতার দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। তাঁরা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সাইফুল ইসলাম আলিফকে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরের কোতোয়ালি থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরের কোতোয়ালি থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরের কোতোয়ালি থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজ্জাদ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হিরাকান্দা গ্রামের মো. আলমের ছেলে। তিনি নগরের তক্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে ভাড়া থাকতেন। সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহর ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, সোমবার রাতে সাজ্জাদসহ কিছু যুবদল কর্মী একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় সোহেল, বোরহান ও দেলোয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মেয়রের ছবিযুক্ত ওই ব্যানার ছিল সোহেল-বোরহান গ্রুপের। এই সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, রাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় দুটি গ্রুপের ১৫ থেকে ২০ জন হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়। তারা আশপাশের ভবনে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। ঘটনার সময় পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরে গেছে।
চমেক হাসপাতালে নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বলেন, ‘বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমার ছেলেকে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি শুধু চাই, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার হোক।’ চমেকে উপস্থিত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেয়। যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
ছাত্রদল নেতা পরিচয়ে জি এম সালাউদ্দিন আসাদ নামের একজন বলেন, ‘যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার-পোস্টার টানায়। মেয়রের লোকেরা ব্যানার খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা খুলতে যায়। তখন তাদের মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়, এতে সাজ্জাদ নিহত হয়।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দেখতে চমেক হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আগে আওয়ামী ছত্রচ্ছায়ায় থাকলেও এখন আমার ছবি ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। আমি আগে থেকেই থানাকে জানিয়েছিলাম ও ব্যানার সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। তবু ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, নিহত সাজ্জাদের বুকে গুলি লেগেছে। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ তীব্র হয়। সোমবার রাতের ঘটনায় তারই রেশ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সোহেল ও বোরহান দীর্ঘ ১৬ বছর পটিয়ার আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁরা নগর বিএনপি নেতা গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহর গ্রুপে যোগ দেন। দেলোয়ার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু গ্রুপের অংশ।

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজ্জাদ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হিরাকান্দা গ্রামের মো. আলমের ছেলে। তিনি নগরের তক্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে ভাড়া থাকতেন। সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহর ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, সোমবার রাতে সাজ্জাদসহ কিছু যুবদল কর্মী একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় সোহেল, বোরহান ও দেলোয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মেয়রের ছবিযুক্ত ওই ব্যানার ছিল সোহেল-বোরহান গ্রুপের। এই সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, রাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় দুটি গ্রুপের ১৫ থেকে ২০ জন হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়। তারা আশপাশের ভবনে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। ঘটনার সময় পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরে গেছে।
চমেক হাসপাতালে নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বলেন, ‘বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমার ছেলেকে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি শুধু চাই, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার হোক।’ চমেকে উপস্থিত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেয়। যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
ছাত্রদল নেতা পরিচয়ে জি এম সালাউদ্দিন আসাদ নামের একজন বলেন, ‘যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার-পোস্টার টানায়। মেয়রের লোকেরা ব্যানার খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা খুলতে যায়। তখন তাদের মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়, এতে সাজ্জাদ নিহত হয়।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দেখতে চমেক হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আগে আওয়ামী ছত্রচ্ছায়ায় থাকলেও এখন আমার ছবি ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। আমি আগে থেকেই থানাকে জানিয়েছিলাম ও ব্যানার সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। তবু ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, নিহত সাজ্জাদের বুকে গুলি লেগেছে। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ তীব্র হয়। সোমবার রাতের ঘটনায় তারই রেশ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সোহেল ও বোরহান দীর্ঘ ১৬ বছর পটিয়ার আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁরা নগর বিএনপি নেতা গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহর গ্রুপে যোগ দেন। দেলোয়ার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু গ্রুপের অংশ।

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরের কোতোয়ালি থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে