নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা-হাতাহাতির পর আজ রোববার পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে তারা। সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফির অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর বিকেলে একই জায়গায় অপর সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ অনুসারীরা মানববন্ধন করেন। এ সময় একে-অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন উভয় পক্ষের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে নারী সমন্বয়ক ফাতেমা খানম লিজা অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল ওয়াসায় আমাদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হান্নান মাসুউদ উপস্থিতিতে একটি অভ্যন্তরীণ ঘটনা ঘটে। ওখান থেকে যখন ফিরে আসছিলাম তখন দেখি—তানভীর শরীফ, ওমর ফারুক, আরিফ মহিউদ্দিন, রাসেল, শরীফ, নিজাম সিদ্দিকীসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে কিছু টোকাই শ্রেণির লোকজন হাতে লাঠিসোঁটা, কিরিচ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
‘ওরা আমাদের দিকে দৌড়ে আসে। তখন আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা সরে যায়। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
‘এরপর আমাকে ছাত্রলীগ, ডট গ্যাং নারী সদস্য বলে ট্যাগ দিয়ে স্লোগান দেয়। তারপর আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও হেনস্তা করে। ইনবক্সে আমাকে বাজে বাজে ম্যাসেজ দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই হামলায় যারাই জড়িত থাকবে—সেটা সমন্বয়ক কিংবা ছাত্রদল যারাই হোক, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।’
বিকেলে মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ ও নির্বাহী সদস্য রাসেল আহমেদকে জিম্মি করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করে অপর পক্ষ। এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রিদোয়ান সিদ্দিকী, সাইফুর রুদ্র, সিয়াম ইলাহী, মিনহাজ রহমান, নিলা আফরোজ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউর রহমানের প্রশ্রয়ে ‘ডট গ্যাং’ গতকাল এমন হামলা চালিয়েছে। তাঁরা ডট গ্যাংকে ছাত্রলীগের কিশোর গ্রুপ দাবি করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ডট গ্যাংয়ের সাদিক আরমানকে ব্যবহার করে রাফি এবং রিজাউর চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে অভিযোগ করে তাঁদের এই পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
এ ছাড়া নারী সমন্বয়কের অভিযোগ করে বলেন, ডট গ্যাং দিয়ে নারীদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার করা হচ্ছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীদের নানাভাবে হয়রানি করছে গ্রুপটি। আর এর জন্য রাফি ও রিজাউরকে অভিযুক্ত করেন তাঁরা।
এর আগে গতকাল শনিবার নগরীর ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরে ওয়াসা মোড়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসে সমন্বয়কেরা আলোচনায় বসলে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার জেরে রাতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ। তিনি হামলার জন্য সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউর রহমানের অনুসারীদের দায়ী করেন।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন তালাত মাহমুদ রাফির অনুসারীরা। পরে রাফি বক্তব্য দিতে চাইলে রাসেলের অনুসারীরা তাঁকে বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর চট্টগ্রামে সমন্বয়কদের দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।
চট্টগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা-হাতাহাতির পর আজ রোববার পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে তারা। সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফির অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর বিকেলে একই জায়গায় অপর সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ অনুসারীরা মানববন্ধন করেন। এ সময় একে-অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন উভয় পক্ষের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে নারী সমন্বয়ক ফাতেমা খানম লিজা অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল ওয়াসায় আমাদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হান্নান মাসুউদ উপস্থিতিতে একটি অভ্যন্তরীণ ঘটনা ঘটে। ওখান থেকে যখন ফিরে আসছিলাম তখন দেখি—তানভীর শরীফ, ওমর ফারুক, আরিফ মহিউদ্দিন, রাসেল, শরীফ, নিজাম সিদ্দিকীসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে কিছু টোকাই শ্রেণির লোকজন হাতে লাঠিসোঁটা, কিরিচ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
‘ওরা আমাদের দিকে দৌড়ে আসে। তখন আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা সরে যায়। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
‘এরপর আমাকে ছাত্রলীগ, ডট গ্যাং নারী সদস্য বলে ট্যাগ দিয়ে স্লোগান দেয়। তারপর আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও হেনস্তা করে। ইনবক্সে আমাকে বাজে বাজে ম্যাসেজ দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই হামলায় যারাই জড়িত থাকবে—সেটা সমন্বয়ক কিংবা ছাত্রদল যারাই হোক, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।’
বিকেলে মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ ও নির্বাহী সদস্য রাসেল আহমেদকে জিম্মি করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করে অপর পক্ষ। এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রিদোয়ান সিদ্দিকী, সাইফুর রুদ্র, সিয়াম ইলাহী, মিনহাজ রহমান, নিলা আফরোজ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউর রহমানের প্রশ্রয়ে ‘ডট গ্যাং’ গতকাল এমন হামলা চালিয়েছে। তাঁরা ডট গ্যাংকে ছাত্রলীগের কিশোর গ্রুপ দাবি করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ডট গ্যাংয়ের সাদিক আরমানকে ব্যবহার করে রাফি এবং রিজাউর চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে অভিযোগ করে তাঁদের এই পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
এ ছাড়া নারী সমন্বয়কের অভিযোগ করে বলেন, ডট গ্যাং দিয়ে নারীদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার করা হচ্ছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীদের নানাভাবে হয়রানি করছে গ্রুপটি। আর এর জন্য রাফি ও রিজাউরকে অভিযুক্ত করেন তাঁরা।
এর আগে গতকাল শনিবার নগরীর ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরে ওয়াসা মোড়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসে সমন্বয়কেরা আলোচনায় বসলে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার জেরে রাতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ। তিনি হামলার জন্য সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউর রহমানের অনুসারীদের দায়ী করেন।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন তালাত মাহমুদ রাফির অনুসারীরা। পরে রাফি বক্তব্য দিতে চাইলে রাসেলের অনুসারীরা তাঁকে বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর চট্টগ্রামে সমন্বয়কদের দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।
শেখ পরিবারের সবাই চোর-ডাকাত। শেখ মুজিবের ছেলে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম ব্যাংক ডাকাতি করেছে। তার মেয়ে ১৪টি ব্যাংক ডাকাতি করেছে। সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের কাজ না করে বিল তুলে নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে। শুধু পিরোজপুরের রাস্তাঘাটের কাজ না করেই ছাব্বিশ শ’ কোটি টাকা চুরি করে নিয়েছে তারা।
১৫ মিনিট আগেছেলে হারানোর শোক, ক্ষোভ ও অভিমানে আশাদুল ইসলাম আর ঢাকায় ফেরেনি। আশাদুল ইসলাম বলেন, সন্তান হারানোর কষ্ট কেবল বাবা-মা বুঝে। আমার ছেলে মারা যাওয়ার পরে সরকারি সহযোগীতা ছাড়া অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছে। কিন্তু কোন কিছুতেই সুখ শান্তি পাচ্ছি না। ভালোভাবে খাওয়া—দাওয়া করতে পারি না। শরীর ফুলে যাচ্ছে।
১৯ মিনিট আগেগুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে এক পশলা। আবার দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের। এরইমধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয়েছে দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা ‘এদেশ আমার
৩৭ মিনিট আগেআমার কর্মস্থল আজকের পত্রিকা অফিস বনশ্রী এলাকার এক মাথায়। বাসা আরেক মাথায়। অনেকেই হয়তো জানেন, বনশ্রী-রামপুরা ছিল রাজধানীতে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সেই সময়ের ‘হটস্পটগুলোর’ একটি। প্রতিদিন আমি এই হটস্পট পাড়ি দিয়ে অফিসে যাতায়াত করতাম। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শেষ কয়েক দিনের নানা ছবি মনের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে
১ ঘণ্টা আগে