হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
হাতে বিষ, কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মতো পরিবেশ হয়নি, ছিল না। এটা স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় দুই ইউপির প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আয়েশা আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য রাখেন তাঁরা।
সম্প্রতি কয়েকজন প্রার্থী হাতে বিষ ও কাফনের কাপড় পরে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় বিষয়টি উঠে এলে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন স্থানীয়ভাবে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন, হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আমিন উল্যা, হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হরনী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুশফিকুর রহমান ও চানন্দী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীমসহ কয়েকজন সদস্য পদপ্রার্থী।
সভায় দুই ইউনিয়নের ছয়জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী এবং ১০ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সম্প্রতি কয়েকজন প্রার্থীর ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, হাতিয়ার এ দুটি ইউনিয়নে দীর্ঘ ৩০ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে। জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, মিছিল-মিটিং করে পরদিন সকালে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি এলাকায় আসতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত ২৭ মে হরনী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের ১০ কর্মী আহত হন। এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার এক উপপরিদর্শক আহত হন। এর পরপরই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করে। পরে পুলিশবাদী মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ঘটনা ছাড়া উল্লেখ করার মতো এ দুই ইউনিয়নে নির্বাচনকালীন তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘যে বা যাঁরাই নির্বাচন কমিশনের সামনে গিয়ে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন, তা ঠিক করেননি। আগে আপনারা জেলা প্রশাসক কিংবা আমাকে দাবি সম্পর্কে জানাতে পারতেন। আমরাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। নোয়াখালীতে কয়েকটি নির্বাচন ইতিমধ্যে আমরা শেষ করেছি। কোথাও প্রাণহানি কিংবা বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। আপনাদের এই কর্মকাণ্ডে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।’ সেই সঙ্গে আপনাদের যেকোনো অভিযোগ লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন। পরে প্রার্থীরা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াবেন না, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখবেন—এ বিষয়ে হাত তুলে শপথ করান পুলিশ সুপার।
এ সময় ঢাকায় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমরা যেন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা সুন্দরভাবে করতে পারি, সেই ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন হাতিয়ার হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নের নির্বাচন। সম্পূর্ণ ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এ দুই ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ।
হাতে বিষ, কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মতো পরিবেশ হয়নি, ছিল না। এটা স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় দুই ইউপির প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আয়েশা আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য রাখেন তাঁরা।
সম্প্রতি কয়েকজন প্রার্থী হাতে বিষ ও কাফনের কাপড় পরে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় বিষয়টি উঠে এলে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন স্থানীয়ভাবে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন, হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আমিন উল্যা, হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হরনী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুশফিকুর রহমান ও চানন্দী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীমসহ কয়েকজন সদস্য পদপ্রার্থী।
সভায় দুই ইউনিয়নের ছয়জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী এবং ১০ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সম্প্রতি কয়েকজন প্রার্থীর ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, হাতিয়ার এ দুটি ইউনিয়নে দীর্ঘ ৩০ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে। জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, মিছিল-মিটিং করে পরদিন সকালে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি এলাকায় আসতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত ২৭ মে হরনী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের ১০ কর্মী আহত হন। এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার এক উপপরিদর্শক আহত হন। এর পরপরই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করে। পরে পুলিশবাদী মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ঘটনা ছাড়া উল্লেখ করার মতো এ দুই ইউনিয়নে নির্বাচনকালীন তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘যে বা যাঁরাই নির্বাচন কমিশনের সামনে গিয়ে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন, তা ঠিক করেননি। আগে আপনারা জেলা প্রশাসক কিংবা আমাকে দাবি সম্পর্কে জানাতে পারতেন। আমরাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। নোয়াখালীতে কয়েকটি নির্বাচন ইতিমধ্যে আমরা শেষ করেছি। কোথাও প্রাণহানি কিংবা বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। আপনাদের এই কর্মকাণ্ডে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।’ সেই সঙ্গে আপনাদের যেকোনো অভিযোগ লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন। পরে প্রার্থীরা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াবেন না, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখবেন—এ বিষয়ে হাত তুলে শপথ করান পুলিশ সুপার।
এ সময় ঢাকায় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমরা যেন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা সুন্দরভাবে করতে পারি, সেই ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন হাতিয়ার হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নের নির্বাচন। সম্পূর্ণ ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এ দুই ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার তিনটি হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের ৫ মন্ত্রী ও এক সেনা কর্মকর্তাকে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসামি গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেন।
১০ মিনিট আগেনেত্রকোনার বারহাট্টায় ইউনুস নামে তিন বছর বয়সী এক শিশু বাড়ির পাশে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে মারা গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩৫ মিনিট আগেনোয়াখালী সুবর্ণচরে বাড়ি ফেরার পথে বিকাশ ব্যবসায়ীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর কাছে থাকা নগদ আড়াই লাখ টাকা ও দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেমুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানির দিন পিছিয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আগামী ৬ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে