Ajker Patrika

কাপ্তাইয়ের ৮১ বছর বয়সী এক বটগাছের গল্প

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
কাপ্তাইয়ের ৮১ বছর বয়সী এক বটগাছের গল্প

নিজের স্মৃতি পৃথিবীতে ধরে রাখতে ১৯৪০ সালের ১ জুলাই তৎকালীন চাকমা সার্কেলের রাজা অংশু রায় একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজবাড়ীর সন্নিকটে কর্ণফুলী নদীর তীরে একটি বটগাছ রোপণ করেন। রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির কাপ্তাই লেক সংলগ্ন সুইমিংপুলে ওই গাছটির বয়স ৮১ বছর।

গাছটি লাগানোর পর প্রতিদিন শত শত উপজাতীয় লোকজন নৌকাযোগে কর্ণফুলী নদীতে এসে পুণ্য স্নান করে পবিত্র হয়ে এই গাছের নিচে পূজা দিয়ে রাজাকে সাক্ষাৎ দিত। গাছটি ছিল নৃগোষ্ঠীদের কাছে দেবতা স্বরূপ। 

১৯৫৮ সালে কাপ্তাই বাঁধ দেওয়ার পর রাজার লাগানো গাছটি কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। কথিত আছে 'এক রাতে রাজা অংশু রায় স্বপ্নে দেখেন, গাছটি বাঁচার জন্য তাঁর কাছে আকুতি করছে। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে রাজা গাছটিকে ওই স্থান থেকে তুলে বর্তমান স্থানে রোপণ করেন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত গাছটি ওই এলাকার নৃগোষ্ঠীদের তীর্থস্থান ছিল। পরে কাপ্তাই নৌ ঘাঁটির পরিচর্চায় গাছটি বিশাল সৌন্দর্যময় আকৃতি ধারণ করেছে। কাপ্তাই নৌ ঘাঁটিতে আসা দেশ বিদেশের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক লোকজনও গাছটির সৌন্দর্য উপভোগ করে মুগ্ধ হন। 

বিভিন্ন ওষধি গুণাবলির জন্য আদিযুগ থেকেই পাহাড়ি অধিবাসীদের কাছে বটগাছ একটি পূজনীয় বৃক্ষ। বট একটি চিরহরিৎ ঘন সবুজ পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষ। এর বাকল মসৃণ ও পুরু। গাছের কাণ্ড গোল। ডালপালা বৃত্তাকারে বিস্তৃত। পাতা ঘন সবুজ ও চকচকে। গাছটি ৪০-৫০ ফুট উচ্চতা ও প্রসারিত শিকড় বিশিষ্ট। শোভাবর্ধক ও ছায়াদানকারী বৃক্ষ হিসেবে এর খ্যাতি রয়েছে। গাছের শাখা হতে অসংখ্য বায়বীয় মূল গজিয়ে নিচের দিকে মাটিতে স্পর্শ করে সহায়ক কাণ্ডের সৃষ্টি করে। এর পত্রফলকের অগ্রভাগ গোলাকার এবং ছোট প্লেটে বিভক্ত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত