জমির উদ্দিন, বান্দরবান থেকে
রুমা উপজেলা বান্দরবান সদর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে। আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে গাড়িতে যেতে লাগে দুই ঘণ্টা। এই পথে আছে পুলিশের চারটি চেকপোস্ট, একটি আনসার, দুটি বিজিবি ক্যাম্প ও তিনটি সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।
রুমায় যেতে তিনবার এসব বাহিনীর তল্লাশির মধ্যে পড়তে হয়। ব্যাংকের যে শাখায় কেএনএফ হামলা চালায়, সেটির পাশেই আছে আবার আনসার ক্যাম্প। এত এত তল্লাশি আর নজরদারির মধ্যেও কীভাবে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ পরপর তিন দিন রুমা ও থানচি সদরে ঢুকে হামলা চালাল, তার সদুত্তর মিলছে না।
সন্ত্রাসীরা আনসারসহ শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে, রুমার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ব্যাংকের সামনের সড়কে এক ঘণ্টা ব্যারিকেডও দেয় তারা। এই সময়ে কোনো যানবাহনও চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, রুমায় হামলার ১৬ ঘণ্টা পর দিনে-দুপুরে থানচির দুটি ব্যাংকে দুটি গাড়িতে করে সশস্ত্র দল এসে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সর্বশেষ থানচি থানায়ও আক্রমণ করার চেষ্টা করে এই সন্ত্রাসী সংগঠন। এসব কিছু আঁচ করতে না পারার পেছনে গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘আত্মতুষ্টিতে ভুগছে’ বলে মনে করছেন।
গত শনিবার রুমা পরিদর্শনের সময় এ ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে কি না— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সামনে সেই প্রশ্ন তুলেন। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবকিছু দেখব। কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না, এটি বের করব। কোন জায়গা থেকে ফেল করেছে, এটি আমরা দেখব। আগে দেখে নিই, তারপর সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
তবে কেএনএফের এই হামলা আঁচ করতে না পারাকে ‘পুরোপুরি গোয়েন্দা ব্যর্থতা’ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম। তাঁর মতে গোয়েন্দারা ‘আত্মতুষ্টিতে’ ভুগছেন।
এমদাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোয়েন্দারা মনে করেছেন, কী আর দরকার আছে এমন। সব তো ঠিকঠাক আছে। কেএনএফের সঙ্গে তো আলোচনা হয়ে গেছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেছে। ওদের সাথে চূড়ান্ত বৈঠক হয়েছে। এরকম আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণে গোয়েন্দারা তাদের দিকে আর নজরদারি দেয়নি। ফলে হামলা করতে পেরেছে কেএনএফ।’
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা বাজারের সোনালী ব্যাংকের শাখায় প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। তার থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে ইডেনপাড়ায় আছে কেএনএফের কার্যালয়ও। যদিও এটির কার্যক্রম এখন বন্ধ। এর পাশেই আবার কেএনএফের প্রধান নাথান বমের বাড়ি। রুমার ওই এলাকাটি বম বা কেএনএফের আধিপত্য আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এই রকম একটি জায়গায় নজরদারি না থাকাটা অবাক করেছে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামকে।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা যদি না থাকতো কোনোভাবেই কেএনএফ হামলা করতে পারতো না। গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে বলেই রুমায় হামলার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও থানা আক্রমণ করতে পেরেছে কেএনএফ।’
শুধু কেএনএফ নয়, পাহাড়ের সব সন্ত্রাসী সংগঠনের দিকে কঠোর নজরদারি রাখা উচিত বলে মনে করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এমদাদ।
তিনি বলেন, ‘কেএনএফের প্রতিটি মুভমেন্ট নজরদারিতে রাখতে হবে। তাদের কার্যক্রম জানার জন্য কার্যকর গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। পাশাপাশি সরকারের উচিত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রাখা।’
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৮টার দিকে রুমার সোনালী ব্যাংকের শাখায় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁরা অস্ত্র লুট করে এবং ব্যাংকের ম্যানেজার মো. নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে র্যাব।
পরদিন বুধবার ভরদপুরে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তাঁরা ব্যাংক থেকে অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে থানচিতে আবার দুই দফায় সশস্ত্র হামলা হয়।
এসব ঘটনায় মোট সাতটি মামলা হয়েছে। তবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কেএনএফের নাম এলেও মামলায় এই সংগঠনের কোনো উল্লেখ নেই। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রুমা উপজেলা বান্দরবান সদর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে। আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে গাড়িতে যেতে লাগে দুই ঘণ্টা। এই পথে আছে পুলিশের চারটি চেকপোস্ট, একটি আনসার, দুটি বিজিবি ক্যাম্প ও তিনটি সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।
রুমায় যেতে তিনবার এসব বাহিনীর তল্লাশির মধ্যে পড়তে হয়। ব্যাংকের যে শাখায় কেএনএফ হামলা চালায়, সেটির পাশেই আছে আবার আনসার ক্যাম্প। এত এত তল্লাশি আর নজরদারির মধ্যেও কীভাবে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ পরপর তিন দিন রুমা ও থানচি সদরে ঢুকে হামলা চালাল, তার সদুত্তর মিলছে না।
সন্ত্রাসীরা আনসারসহ শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে, রুমার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ব্যাংকের সামনের সড়কে এক ঘণ্টা ব্যারিকেডও দেয় তারা। এই সময়ে কোনো যানবাহনও চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, রুমায় হামলার ১৬ ঘণ্টা পর দিনে-দুপুরে থানচির দুটি ব্যাংকে দুটি গাড়িতে করে সশস্ত্র দল এসে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সর্বশেষ থানচি থানায়ও আক্রমণ করার চেষ্টা করে এই সন্ত্রাসী সংগঠন। এসব কিছু আঁচ করতে না পারার পেছনে গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘আত্মতুষ্টিতে ভুগছে’ বলে মনে করছেন।
গত শনিবার রুমা পরিদর্শনের সময় এ ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে কি না— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সামনে সেই প্রশ্ন তুলেন। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবকিছু দেখব। কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না, এটি বের করব। কোন জায়গা থেকে ফেল করেছে, এটি আমরা দেখব। আগে দেখে নিই, তারপর সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
তবে কেএনএফের এই হামলা আঁচ করতে না পারাকে ‘পুরোপুরি গোয়েন্দা ব্যর্থতা’ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম। তাঁর মতে গোয়েন্দারা ‘আত্মতুষ্টিতে’ ভুগছেন।
এমদাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোয়েন্দারা মনে করেছেন, কী আর দরকার আছে এমন। সব তো ঠিকঠাক আছে। কেএনএফের সঙ্গে তো আলোচনা হয়ে গেছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেছে। ওদের সাথে চূড়ান্ত বৈঠক হয়েছে। এরকম আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণে গোয়েন্দারা তাদের দিকে আর নজরদারি দেয়নি। ফলে হামলা করতে পেরেছে কেএনএফ।’
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা বাজারের সোনালী ব্যাংকের শাখায় প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। তার থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে ইডেনপাড়ায় আছে কেএনএফের কার্যালয়ও। যদিও এটির কার্যক্রম এখন বন্ধ। এর পাশেই আবার কেএনএফের প্রধান নাথান বমের বাড়ি। রুমার ওই এলাকাটি বম বা কেএনএফের আধিপত্য আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এই রকম একটি জায়গায় নজরদারি না থাকাটা অবাক করেছে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামকে।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা যদি না থাকতো কোনোভাবেই কেএনএফ হামলা করতে পারতো না। গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে বলেই রুমায় হামলার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও থানা আক্রমণ করতে পেরেছে কেএনএফ।’
শুধু কেএনএফ নয়, পাহাড়ের সব সন্ত্রাসী সংগঠনের দিকে কঠোর নজরদারি রাখা উচিত বলে মনে করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এমদাদ।
তিনি বলেন, ‘কেএনএফের প্রতিটি মুভমেন্ট নজরদারিতে রাখতে হবে। তাদের কার্যক্রম জানার জন্য কার্যকর গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। পাশাপাশি সরকারের উচিত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রাখা।’
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৮টার দিকে রুমার সোনালী ব্যাংকের শাখায় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁরা অস্ত্র লুট করে এবং ব্যাংকের ম্যানেজার মো. নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে র্যাব।
পরদিন বুধবার ভরদপুরে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তাঁরা ব্যাংক থেকে অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে থানচিতে আবার দুই দফায় সশস্ত্র হামলা হয়।
এসব ঘটনায় মোট সাতটি মামলা হয়েছে। তবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কেএনএফের নাম এলেও মামলায় এই সংগঠনের কোনো উল্লেখ নেই। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন ও নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের নারিচা সড়ক থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ইসলামপুর ভূতেরগাড়ি মহল্লার মো. আকরাম হোসেনের ছেলে শাহান হোসেন (২৩) এবং...
২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শাহেদুল ইসলাম অনিক (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আবু সাঈদ (২৩) নামের আরেকজন।
৬ মিনিট আগে৬ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ভোলার চরফ্যাশনে মাওলানা রুহুল আমিন নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে বিএনপির অফিসে আটকে মারধরের পর সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই শিক্ষক বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন।
৮ মিনিট আগেভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ৮ আগস্ট (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে শিশুটি প্রাইভেট পড়া শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার একটি নির্জন এলাকায় গুলজার হোসেন (৪৮) নামের এক ব্যক্তি শিশুটিকে কোলে তুলে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে গুলজার পালিয়ে যান
২২ মিনিট আগে