চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার চান্দিনায় পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরেই দাখিল পরীক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের পিটিয়ে তিনটি স্কেল ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিনে চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রের ৯ ও ১০ নম্বর কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।
পরীক্ষার্থীদের দাবি, কোরআন মাজিদ বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী প্রোগ্রামার মো. সালাউদ্দীন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
পরীক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীনকে পরিবর্তন করে অন্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা।
আজ শনিবার চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেদিন ১১ জন পরীক্ষার্থীকে পেটানো হয়েছিল। এদের মধ্যে চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ৮ জন, উপজেলার আবেদা নূর ফাজিল মাদ্রাসার ৩ জন। তারা জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা কেন্দ্র সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানায়, কোরআন মাজিদ বিষয়ে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা চলাকালে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) সেট কোডের বৃত্ত ভরাট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীন স্কেল দিয়ে পিটিয়েছেন।
পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই ঘটনার পর তাঁদের সন্তানেরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ওই কেন্দ্রের ৯ নম্বর কক্ষের প্রত্যবেক্ষক শিক্ষক রুজিনা আক্তার বলেন, ‘এমসিকিউ পরীক্ষার সময় ২০ মিনিট। ১৫ মিনিট অতিবাহিত হলেও কোনো পরীক্ষার্থী সেট কোড ভরাট করেনি। শিক্ষার্থীরা আমাদের কথাও শুনছিল না। এ বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীদের নির্দেশ দিলেও তারা হট্টগোল করে। একপর্যায়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে একজনকে স্কেল দিয়ে প্রহার করেন।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী প্রোগ্রামার মো. সালাউদ্দীন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘কোনো পরীক্ষার্থীদের পিটানোর ঘটনা ঘটেনি। সেট কোড ভরাট না করায় আমি শুধুমাত্র ধমক দিয়েছি।’
প্রত্যাহারের বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেটিও আমার জানা নেই। ইউএনও মহোদয় আমাকে তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য বলেছেন। আমি শনিবার ইউএনওর সঙ্গে ছিলাম। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার আমি স্বচ্ছতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করছিলাম। সে কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রসচিব ও আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন বলেন, ‘আমি লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করি। আজকে (শনিবার) তিনি ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিবর্তে অন্য অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’
এ ঘটনায় চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, ‘অফিসার সালাউদ্দীন পরীক্ষার ভিজিল্যান্স টিমের সদস্য। তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়নি। পরীক্ষার কাজে শনিবার অন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে দেখব।’
কুমিল্লার চান্দিনায় পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরেই দাখিল পরীক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের পিটিয়ে তিনটি স্কেল ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিনে চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রের ৯ ও ১০ নম্বর কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।
পরীক্ষার্থীদের দাবি, কোরআন মাজিদ বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী প্রোগ্রামার মো. সালাউদ্দীন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
পরীক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীনকে পরিবর্তন করে অন্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা।
আজ শনিবার চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেদিন ১১ জন পরীক্ষার্থীকে পেটানো হয়েছিল। এদের মধ্যে চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ৮ জন, উপজেলার আবেদা নূর ফাজিল মাদ্রাসার ৩ জন। তারা জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা কেন্দ্র সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানায়, কোরআন মাজিদ বিষয়ে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা চলাকালে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) সেট কোডের বৃত্ত ভরাট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীন স্কেল দিয়ে পিটিয়েছেন।
পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই ঘটনার পর তাঁদের সন্তানেরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ওই কেন্দ্রের ৯ নম্বর কক্ষের প্রত্যবেক্ষক শিক্ষক রুজিনা আক্তার বলেন, ‘এমসিকিউ পরীক্ষার সময় ২০ মিনিট। ১৫ মিনিট অতিবাহিত হলেও কোনো পরীক্ষার্থী সেট কোড ভরাট করেনি। শিক্ষার্থীরা আমাদের কথাও শুনছিল না। এ বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীদের নির্দেশ দিলেও তারা হট্টগোল করে। একপর্যায়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে একজনকে স্কেল দিয়ে প্রহার করেন।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী প্রোগ্রামার মো. সালাউদ্দীন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘কোনো পরীক্ষার্থীদের পিটানোর ঘটনা ঘটেনি। সেট কোড ভরাট না করায় আমি শুধুমাত্র ধমক দিয়েছি।’
প্রত্যাহারের বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেটিও আমার জানা নেই। ইউএনও মহোদয় আমাকে তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য বলেছেন। আমি শনিবার ইউএনওর সঙ্গে ছিলাম। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার আমি স্বচ্ছতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করছিলাম। সে কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রসচিব ও আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন বলেন, ‘আমি লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করি। আজকে (শনিবার) তিনি ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিবর্তে অন্য অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’
এ ঘটনায় চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, ‘অফিসার সালাউদ্দীন পরীক্ষার ভিজিল্যান্স টিমের সদস্য। তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়নি। পরীক্ষার কাজে শনিবার অন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে দেখব।’
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৮ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
৮ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগে