রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটি শহরের পূর্ব ট্রাইবেল আদামে বটগাছ কাটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে এলাকাবাসী ও প্রশাসন। এর আগেও তথ্য ভবন নির্মাণের জন্য ৩ বার গাছটি কাটার চেষ্টা করেছে প্রশাসন। গাছ কাটার খবর পেলেই দলবদ্ধভাবে এসে বাধা দেন গ্রামের মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকালে চতুর্থবারের মতো গাছটি কাটতে গেলে আবারও এলাকাবাসীর বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
এলাকাবাসীর দাবি, বটগাছটি তাঁদের আবেগ। বটগাছের ছায়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ জড়ো হন, আড্ডা ও গল্প করেন। এ বটগাছটি পুরো এলাকায় অক্সিজেন সরবরাহ করে বলে দাবি তাঁদের।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ট্রাইবেল আদামের নবরূপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কৃষি বিভাগ অতিরিক্ত পরিচালক কার্যালয়ের পূর্ব পাশে বটতলা এলাকায় ৫০ শতাংশ জমি তথ্য ভবনের জন্য প্রশাসন অধিগ্রহণ করে। সম্প্রতি তথ্য ভবন নির্মাণে শতবর্ষী বটগাছটি কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু গাছ কাটতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেন।
ওই এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের ধারণা—বটগাছটি দেড় শ থেকে আড়াই শ বছর পুরোনো। তবে সঠিক বয়সটি কেউ বলতে পারেনি।
তাঁরা জানান, তথ্য ভবন নির্মাণ করতে চাইলে বটগাছটি না কেটে করা যায়। অধিগৃহীত জমির বাইরে বটগাছটি। শুধু কিছু ডাল ওই জমিতে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গাছ কাটতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেন। এ সময় শত শত মানুষ জড়ো হন। পরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুর ইসলাম ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বিজয় কুমার জোয়ার্দার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ফিরে আসেন।
পূর্ব ট্রাইবেল আদামের বাসিন্দা রাসেল দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রশাসন বটগাছটি কাটতে চারবার এসেছে। গ্রামের শত শত লোকজনের বাধার মুখে কাটতে পারেনি।’
জমির মালিকের পক্ষে আসা প্রিয় জ্যোতি চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও তাঁর দুই বোনের নামের ৫০ শতক জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। নিজেদের জমিতে ভবন নির্মাণে জন্য গাছ কাটবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এলাকাবাসী অযথা ঝামেলা করছেন। জমি পরিমাপ করে ২ শতক কম পাওয়া যায়, বটগাছটি কাটলে সেই ২ শতক জমি বের হয়ে আসবে।’
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক গঙ্গা প্রসাদ চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা গাছটি কাটতে চাচ্ছে, তারা বন বিভাগের কাছে কোনো আবেদন করেনি। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোক ট্রাইবেল আদামে গেছেন। গাছটি শত বছরের পুরোনো গাছ। বন বিভাগ গাছটি কাটার অনুমতি দেবে না। কেউ কাটলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।’
রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ গাছ কাটা বিষয়ে আমি জানি না। আমি জানি সারা দেশে ২৬টি জেলায় তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। তার মধ্যে রাঙামাটি জেলাও আছে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণ, ভবন নির্মাণ এসব বিষয় জেলা প্রশাসক দেখছেন, সেটা জানি। এর বাইরে আমার কোনো কিছু জানা নেই।’
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘এ বটগাছ কাটা বিষয়টি প্রশাসনের অনুমোদন নেওয়ার বিষয় নয়। গাছটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন গেছে, পরিস্থিতি যেন অবনতি না হয় তা দেখতে। গাছ কাটতে নয়।’
রাঙামাটি শহরের পূর্ব ট্রাইবেল আদামে বটগাছ কাটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে এলাকাবাসী ও প্রশাসন। এর আগেও তথ্য ভবন নির্মাণের জন্য ৩ বার গাছটি কাটার চেষ্টা করেছে প্রশাসন। গাছ কাটার খবর পেলেই দলবদ্ধভাবে এসে বাধা দেন গ্রামের মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকালে চতুর্থবারের মতো গাছটি কাটতে গেলে আবারও এলাকাবাসীর বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
এলাকাবাসীর দাবি, বটগাছটি তাঁদের আবেগ। বটগাছের ছায়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ জড়ো হন, আড্ডা ও গল্প করেন। এ বটগাছটি পুরো এলাকায় অক্সিজেন সরবরাহ করে বলে দাবি তাঁদের।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ট্রাইবেল আদামের নবরূপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কৃষি বিভাগ অতিরিক্ত পরিচালক কার্যালয়ের পূর্ব পাশে বটতলা এলাকায় ৫০ শতাংশ জমি তথ্য ভবনের জন্য প্রশাসন অধিগ্রহণ করে। সম্প্রতি তথ্য ভবন নির্মাণে শতবর্ষী বটগাছটি কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু গাছ কাটতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেন।
ওই এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের ধারণা—বটগাছটি দেড় শ থেকে আড়াই শ বছর পুরোনো। তবে সঠিক বয়সটি কেউ বলতে পারেনি।
তাঁরা জানান, তথ্য ভবন নির্মাণ করতে চাইলে বটগাছটি না কেটে করা যায়। অধিগৃহীত জমির বাইরে বটগাছটি। শুধু কিছু ডাল ওই জমিতে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গাছ কাটতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেন। এ সময় শত শত মানুষ জড়ো হন। পরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুর ইসলাম ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বিজয় কুমার জোয়ার্দার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ফিরে আসেন।
পূর্ব ট্রাইবেল আদামের বাসিন্দা রাসেল দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রশাসন বটগাছটি কাটতে চারবার এসেছে। গ্রামের শত শত লোকজনের বাধার মুখে কাটতে পারেনি।’
জমির মালিকের পক্ষে আসা প্রিয় জ্যোতি চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও তাঁর দুই বোনের নামের ৫০ শতক জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। নিজেদের জমিতে ভবন নির্মাণে জন্য গাছ কাটবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এলাকাবাসী অযথা ঝামেলা করছেন। জমি পরিমাপ করে ২ শতক কম পাওয়া যায়, বটগাছটি কাটলে সেই ২ শতক জমি বের হয়ে আসবে।’
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক গঙ্গা প্রসাদ চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা গাছটি কাটতে চাচ্ছে, তারা বন বিভাগের কাছে কোনো আবেদন করেনি। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোক ট্রাইবেল আদামে গেছেন। গাছটি শত বছরের পুরোনো গাছ। বন বিভাগ গাছটি কাটার অনুমতি দেবে না। কেউ কাটলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।’
রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ গাছ কাটা বিষয়ে আমি জানি না। আমি জানি সারা দেশে ২৬টি জেলায় তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। তার মধ্যে রাঙামাটি জেলাও আছে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণ, ভবন নির্মাণ এসব বিষয় জেলা প্রশাসক দেখছেন, সেটা জানি। এর বাইরে আমার কোনো কিছু জানা নেই।’
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘এ বটগাছ কাটা বিষয়টি প্রশাসনের অনুমোদন নেওয়ার বিষয় নয়। গাছটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন গেছে, পরিস্থিতি যেন অবনতি না হয় তা দেখতে। গাছ কাটতে নয়।’
খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে আজ রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত অভিযান চলে।
৮ মিনিট আগেসমন্বিত উদ্যোগে মাত্র ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে রাজধানী ঢাকার বিস্তৃত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যারা ঘামের বিনিময়ে এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখেন, তাঁরা আমাদের নীরব নায়ক।
১৬ মিনিট আগেখুলনার রূপসায় একটি ঘর থেকে সুমাইয়া খাতুন জান্নাত (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার আইচগাতীর উত্তর পাড়া এলাকায় প্রবাসী শাওন শেখের বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়। তিনি শাওন শেখের স্ত্রী।
২৫ মিনিট আগেজোরেশোরে ঘোষণার পরেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করতে পারেনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। এতে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের দিন রাত ৮টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কথা থাকলেও পরদিন রোববার দুপুর পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণে কাজ করতে দেখা যায় সিটি
১ ঘণ্টা আগে