Ajker Patrika

‘ঝড় আইলে ডর লাগে’

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২১ মে ২০২২, ২০: ৫১
‘ঝড় আইলে ডর লাগে’

‘গরমে পরাণ যাইলে কি হইবো, ঝড় আইলে কিন্তু ডর লাগে।’ ঝড় নিয়ে নিজের ভয়ের কথা এভাবেই জানালেন নাজমা বেগম। চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় থাকেন তিনি। আশপাশের বসতি থেকে বেশ উঁচু করে নির্মিত এই সড়কেই এখন কোমর পানি। ফলে সড়কের দুপাশে থাকা বাড়িগুলোর নিচতলার কথা না বললেও চলে।

বাকলিয়া থানার সৈয়দশাহ রোড বেশ উঁচু। দু পাশের প্রতিটি বাড়ির নিচতলা থেকে উঁচু এই সড়ক। ফলে মূল সড়কে কোমর সমান পানি থাকার মানে বাসাগুলোর নিচতলা পানিতে টইটুম্বুর। তাই এসব বাসার বাসিন্দারা বৃষ্টির দিনে শঙ্কায় ভোগেন। এই নিত্য শঙ্কায় ভোগা মানুষদের একজন নাজমা বেগম।

নাজমা বেগম জানান, চট্টগ্রামে অল্প বৃষ্টিতেই বাসায় পানি ঢুকে যায়। এতে আসবাবপত্র নষ্ট হয়। আর নির্ঘুম রাত কাটে তাঁদের।

আজ শনিবার সরেজমিন যখন নাজমার সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন তাঁদের শোয়ার খাট পানিতে ভাসছে। পানি থেকে বাঁচাতে বিছানাপত্র কিছু আলমারির ওপর, কিছু সানশেডে তুলে রাখা। জানা গেল সকাল থেকে রান্না হয়নি। দুপুরে সবাই মিলে হোটেলে গিয়ে খেয়েছেন।

শুধু নাজমা বেগম নন, চকবাজার হয়ে কেবি আমান আলী রোড থেকে রাহাত্তারপুল পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেকের নিচতলা ডুবে গেছে। বড়মিয়া মসজিদের নিচতলায়ও পানি উঠেছে। মুসল্লিরা এখন নামাজ পড়ছেন ওপরতলায়।

চট্টগ্রামে শনিবার মাত্র ৩ ঘণ্টা বৃষ্টিতে এই অবস্থা হয়েছে। খুব কি বৃষ্টি হয়েছে? না, মাত্র ৪৮ মিলিমিটার। কেবি আমান আলী রোড ছাড়াও চট্টগ্রাম দুই নম্বর গেট, বাদুরতলা, জঙ্গি শাহ মাজার গেট, হারেজ শাহ মাজার গেট, বড় গ্যারেজ, ডিসি সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই সব জায়গা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বাসা ও দোকানেও ঢুকে পড়েছে পানি। নালা আটকে থাকায় বিভিন্ন উঁচু এলাকার সড়কেও পানি জমতে দেখা গেছে। ফলে বর্ষার আগেই অনিয়মিত এই বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোবারক আলী বলেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সিডিএর একটি চুক্তি হয়েছিল। কথা ছিল, বর্ষার আগে চাক্তাই খাল, মির্জা খাল, টেকপাড়া খালসহ আরও কয়েকটি খালের বাঁধ তারা খুলে দেবে। কিন্তু সেগুলো এখনো খুলে না দেওয়ায় সামন্য বৃষ্টিতে পানি জমে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যদিও এখন বর্ষাকাল নয়। আশা করি তারা বর্ষার আগেই বাঁধগুলো খুলে দেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত