Ajker Patrika

দেবিদ্বারে রাহিম হত্যার ঘটনায় ৩ জন কারাগারে

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
দেবিদ্বারে রাহিম হত্যার ঘটনায় ৩ জন কারাগারে

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জে রাহিম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে রাহিমের বাবা জীবন মিয়া বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় হালিম নামের স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ নারায়ণপুর (ছগুরা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ নারায়ণপুর (ছগুরা) গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. কামাল হোসেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে দক্ষিণ নারায়ণপুর গ্রামে এক কিশোর মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এতে স্থানীয় মামুন নামের এক যুবক শাসন করতে গিয়ে ওই কিশোরকে একটি চর মারেন। ওই চর মারাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রাহিম নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সংঘর্ষ থামাতে গেলে উত্তেজিত লোকজন তাঁকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেন।

এ দিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাহিমকে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে (কুমেক) নিয়ে যান। অবস্থার আরও অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

 এ নিয়ে জানতে চাইলে রাহিমের বাবা জীবন মিয়া বলেন, ‘ইউপি সদস্য হালিমের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের নামে মামলা করেছি।’ 

আজ রোববার সকালে সরেজমিনে দক্ষিণ নারায়ণপুর গ্রামে গেলে দেখা যায়, সর্বত্রে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে পুরুষ শূন্য হয়েছে পড়েছে পুরো গ্রাম। এ নিয়ে রাহিমের স্বজন ছাড়া প্রতিবেশীরা কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। 

এ নিয়ে জানতে চাইলে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘রাহিমের হত্যাকাণ্ডের মামলার এজহারে উল্লেখিত তিন জনকে আজ রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রাহিমের বাবা জীবন মিয়া ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে। প্রকৃত আসামিদের খুঁজে বের করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত