নোয়াখালী প্রতিনিধি
বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. আলতাফ আহম্মদ (২৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে তাঁর দাফন হয়। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সিএমএইচ থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে এই সেনাসদস্যের মরদেহ।
নিহত আলতাফ ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এসএসসি পাসের পর ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন আলতাফ।
জানা গেছে, আলতাফের বাবা আবুল কাশেম স্থানীয় রেলগেট এলাকায় ডেকোরেশনের ব্যবসা করতেন। ২০১৭ সালে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। পরের বছর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন আলতাফ। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের জীবিকা উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন আলতাফ। এক ভাই আর এক বোনের মধ্যে আলতাফ বড়। তাঁর ছোট বোন সানজিদা সুলতানা মিম গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভাইবোন আর মাকে নিয়ে ছিল আলতাফ সংসার। সবশেষ গত রমজানের ঈদে ছুটিতে বাড়ি আসেন আলতাফ। ২৬ এপ্রিল বাড়ি থেকে কর্মস্থলে চলে যান তিনি। তিন দিন আগে শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয় তাঁর মায়ের সঙ্গে।
আলতাফের মামা জহির উদ্দিন শাহিন বলেন, ‘সব সময় হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে আলতাফের সঙ্গে আমার কথা হতো। ভয়েস মেসেজ দেওয়ার পর সময়মতো রিপ্লাই আসত। কিন্তু গত মঙ্গলবার তাকে ভয়েস মেসেজ দেওয়ার পর থেকে আর কোনো উত্তর পায়নি। পরে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি।’
জহির উদ্দিন শাহিন আরও বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতির মৃত্যুর পর ভাগনে সংসারের হাল ধরেছিল। দেশের জন্য আজ সেও জীবন দিয়ে দিল। এখন আমার বোন আর ভাগনি একা হয়ে গেল।’
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম সিএমএস থেকে তাঁর মামা জসিম উদ্দিন ও স্বজন শিপনসহ সেনাসদস্যরা আলতাফের মরদেহ নোয়াখালীতে নিয়ে আসেন। বেলা ২টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়ি পাড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা গাঁড়ার খবর আসে। এই সংবাদ পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল গত মঙ্গলবার সেখানে যায়। টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে বেলা ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলির মুখে পড়ে। এতে দুই অফিসার ও দুই সৈনিক আহত হন। আহতদের দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিএমএইচ নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যান। আহত কর্মকর্তারা বর্তমানে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।
বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. আলতাফ আহম্মদ (২৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে তাঁর দাফন হয়। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সিএমএইচ থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে এই সেনাসদস্যের মরদেহ।
নিহত আলতাফ ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এসএসসি পাসের পর ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন আলতাফ।
জানা গেছে, আলতাফের বাবা আবুল কাশেম স্থানীয় রেলগেট এলাকায় ডেকোরেশনের ব্যবসা করতেন। ২০১৭ সালে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। পরের বছর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন আলতাফ। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের জীবিকা উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন আলতাফ। এক ভাই আর এক বোনের মধ্যে আলতাফ বড়। তাঁর ছোট বোন সানজিদা সুলতানা মিম গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভাইবোন আর মাকে নিয়ে ছিল আলতাফ সংসার। সবশেষ গত রমজানের ঈদে ছুটিতে বাড়ি আসেন আলতাফ। ২৬ এপ্রিল বাড়ি থেকে কর্মস্থলে চলে যান তিনি। তিন দিন আগে শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয় তাঁর মায়ের সঙ্গে।
আলতাফের মামা জহির উদ্দিন শাহিন বলেন, ‘সব সময় হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে আলতাফের সঙ্গে আমার কথা হতো। ভয়েস মেসেজ দেওয়ার পর সময়মতো রিপ্লাই আসত। কিন্তু গত মঙ্গলবার তাকে ভয়েস মেসেজ দেওয়ার পর থেকে আর কোনো উত্তর পায়নি। পরে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি।’
জহির উদ্দিন শাহিন আরও বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতির মৃত্যুর পর ভাগনে সংসারের হাল ধরেছিল। দেশের জন্য আজ সেও জীবন দিয়ে দিল। এখন আমার বোন আর ভাগনি একা হয়ে গেল।’
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম সিএমএস থেকে তাঁর মামা জসিম উদ্দিন ও স্বজন শিপনসহ সেনাসদস্যরা আলতাফের মরদেহ নোয়াখালীতে নিয়ে আসেন। বেলা ২টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়ি পাড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা গাঁড়ার খবর আসে। এই সংবাদ পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল গত মঙ্গলবার সেখানে যায়। টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে বেলা ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলির মুখে পড়ে। এতে দুই অফিসার ও দুই সৈনিক আহত হন। আহতদের দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিএমএইচ নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যান। আহত কর্মকর্তারা বর্তমানে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
২৯ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে