Ajker Patrika

বান্দরবানে নিহত সেনাসদস্য আলতাফের দাফন নোয়াখালীতে

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মে ২০২৩, ১৭: ১২
বান্দরবানে নিহত সেনাসদস্য আলতাফের দাফন নোয়াখালীতে

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. আলতাফ আহম্মদ (২৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে তাঁর দাফন হয়। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সিএমএইচ থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে এই সেনাসদস্যের মরদেহ।

নিহত আলতাফ ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এসএসসি পাসের পর ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন আলতাফ।

জানা গেছে, আলতাফের বাবা আবুল কাশেম স্থানীয় রেলগেট এলাকায় ডেকোরেশনের ব্যবসা করতেন। ২০১৭ সালে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। পরের বছর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন আলতাফ। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের জীবিকা উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন আলতাফ। এক ভাই আর এক বোনের মধ্যে আলতাফ বড়। তাঁর ছোট বোন সানজিদা সুলতানা মিম গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভাইবোন আর মাকে নিয়ে ছিল আলতাফ সংসার। সবশেষ গত রমজানের ঈদে ছুটিতে বাড়ি আসেন আলতাফ। ২৬ এপ্রিল বাড়ি থেকে কর্মস্থলে চলে যান তিনি। তিন দিন আগে শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয় তাঁর মায়ের সঙ্গে।

আলতাফের মামা জহির উদ্দিন শাহিন বলেন, ‘সব সময় হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে আলতাফের সঙ্গে আমার কথা হতো। ভয়েস মেসেজ দেওয়ার পর সময়মতো রিপ্লাই আসত। কিন্তু গত মঙ্গলবার তাকে ভয়েস মেসেজ দেওয়ার পর থেকে আর কোনো উত্তর পায়নি। পরে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি।’

জহির উদ্দিন শাহিন আরও বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতির মৃত্যুর পর ভাগনে সংসারের হাল ধরেছিল। দেশের জন্য আজ সেও জীবন দিয়ে দিল। এখন আমার বোন আর ভাগনি একা হয়ে গেল।’

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম সিএমএস থেকে তাঁর মামা জসিম উদ্দিন ও স্বজন শিপনসহ সেনাসদস্যরা আলতাফের মরদেহ নোয়াখালীতে নিয়ে আসেন। বেলা ২টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়ি পাড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা গাঁড়ার খবর আসে। এই সংবাদ পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল গত মঙ্গলবার সেখানে যায়। টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে বেলা ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলির মুখে পড়ে। এতে দুই অফিসার ও দুই সৈনিক আহত হন। আহতদের দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিএমএইচ নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যান। আহত কর্মকর্তারা বর্তমানে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত