Ajker Patrika

অ্যাসিডে ঝলসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ ভাই চমেক হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
Thumbnail image

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ৬ ও ৭ নম্বর কেবিনে অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়া চাচাতো দুই ভাই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে টিপু বড়ুয়ার শরীরের ২০ শতাংশ ও অন্যজন দিপক বড়ুয়ার শরীরে ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ বুধবার ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের চাচা বিমল বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্পর্কে তারা দুজন চাচাতো ভাই। কক্সবাজার রামুর সদরে দুজনের দোকান আছে। টিপু বড়ুয়ার মোটর ওয়ার্কশপ ও দিপক বড়ুয়ার প্লাস্টিকের দোকান। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে হেঁটে হেঁটে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। রামু চৌমুহনী ভিক্টর প্লাজার সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে তাঁদের গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়। এতে তাদের বুক, হাত ও মুখের এক পাশ ঝলসে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। তারপর চমেকে নেওয়া হয়। রাতেই চিকিৎসকেরা প্লাস্টার করে দিয়েছেন। 

ভুক্তভোগী দিপক বড়ুয়া ও টিপু বড়ুয়া জানান, সড়কের একপাশ ধরেই তারা হাঁটছিলেন। হঠাৎ বাম দিক থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে দ্রুত অ্যাসিড নিক্ষেপ করে সটকে যায়। প্রথমে ভেবেছিলেন পানি, কিন্তু পরে পুড়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারেন অ্যাসিড। তবে তাদের এমন ক্ষতি করার মতো কোনো শত্রু নেই ছিল না। 

ভুক্তভোগীরা জানায়, এর আগে গত মাসেও (সেপ্টেম্বর) তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। রামু মৈত্রী বিহারের সামনে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সে ঘটনায় রামু থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি রামু থানা–পুলিশ। 

টিপু বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাড়ির পাশে কয়েকজনের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়েছিল। তবে চরম লেভেলের নয়। কারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করছে, সেটিও বলতে পারছি না। পুলিশকে অভিযোগ দেব, তারা খুঁজে বের করবে।’ 

চমেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুজনের শরীরেই কেমিক্যাল ইনজুরি। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা এখানে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে পরিবার যদি চায়, ঢাকায় নিয়ে যেতে পারে।’ 

রামুতে এ রকম পর পর টার্গেট হামলার ঘটনা প্রথম বলছেন অনেকেই। রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সমাজকর্মী সুমথ বড়ুয়া বলেন, ‘হঠাৎ করে কে বা কারা এ রকম টার্গেট হামলা করছে এটা খতিয়ে দেখা জরুরি। এই হামলার রেকর্ড চারপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসতে পারে।’ 

এ ঘটনার বিষয়ে রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা এখনো আমরা জানি না। ঘটনার বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত