Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রকল্প সমন্বয়ে ‘পিপিপি সেল’ গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) আওতাধীন সব পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্প সমন্বয়ের জন্য একটি ‘পিপিপি সেল’ গঠন করা হয়েছে। চবকের বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সেল গঠন করা হয়।

নবগঠিত সেলে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চবকের সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর কাওছার রশিদ। সেলে আহ্বায়কসহ মোট ১১ জন সদস্য রয়েছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী (সিসিপি) রাফিউল আলমকে সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সেলের অন্য সদস্যরা হলেন পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, চিফ প্ল্যানিং মো. মাহবুব মোরশেদ চৌধুরী, চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মো. ওবায়দুর রহমান, আইন কর্মকর্তা (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) শাহনেওয়াজ মনির, সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. মুস্তাহিদুল ইসলাম, উপপ্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মির্জা রাকিবুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপক (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইমাম।

সেলের আওতায় বাস্তবায়নযোগ্য পিপিপি প্রকল্প চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়ন, পিপিপি ট্রানজেকশন পরামর্শক নিয়োগ ও ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পিপিপি কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, দরপত্র আহ্বান ও চুক্তি সম্পাদন, চলমান প্রকল্পের তদারকি ও প্রতিবেদন দেওয়া হবে। ২১ অক্টোবর বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে এই পিপিপি সেল গঠনের নির্দেশনা জারি করা হয়।

চবকের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও সেলের সদস্য জাহিদুল ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারই এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ পেয়েছি। চবক, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পিপিপি কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করাই মূলত এই সেলের কাজ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশা রক্ষায় যুবকের আপ্রাণ চেষ্টার ভিডিও ভাইরাল, শনাক্ত হয়নি ছিনতাইকারীরা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় এবং কবে ঘটেছে সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।

শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ছিনতাইয়ের ভিডিওটি।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘প্রকাশিত ভিডিও দেখে মদনপুর সিএনজিস্ট্যান্ডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই অটোরিকশাটি বা ছিনতাইকারী চক্রের কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। থানায় এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগও কেউ করেননি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কক্সবাজারগামী একটি বাসের যাত্রী নাজির উদ্দিন শাহ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ভিডিওর ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, ঘটনাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় রাত ১২টা ২০ মিনিটে ধারণ করা হয়েছে।

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত সিএনজির পেছনে এক ব্যক্তি ঝুলে আছেন। ভেতর থেকে দরজা খুলে দুই ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করা ব্যক্তির দাবি, ঝুলে থাকা ব্যক্তিটি সিএনজিচালক। তাঁর অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের থেকে রক্ষায় ঝুলে আছেন। আর ভেতর থেকে ছিনতাইকারীরা তাঁকে আঘাত করে যাচ্ছে।’

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ‘ভিডিওটি আমরা দেখেছি। তবে ঘটনাস্থল শনাক্ত করতে ও সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ঘটেছে, তা যাচাই চলছে।’

তবে ভিডিওতে দেখা যায়, সিএনজি অটোরিকশাটি সড়কের একটি লেন পরিবর্তন করে সোজা এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু দূর এগোতেই ওপরে সালাম স্টিলের একটি আলোকিত বিজ্ঞাপন দেখা যায়। রাস্তা এবং বিজ্ঞাপনস্থল দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন স্থানটি মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এবং সড়কটি চট্টগ্রামমুখী।

এর আগেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড এলাকায় রাতের আঁধারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রাইভেট কার থামিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বাসযাত্রীদের মাধ্যমে।

এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও মহাসড়কে স্বস্তি ফেরেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীর দুই সীমান্ত দিয়ে ৬০ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর বিএসএফের

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
গাংনীর সীমান্ত দিয়ে ফিরে আসা বাংলাদেশিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনীর সীমান্ত দিয়ে ফিরে আসা বাংলাদেশিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনীর দুটি সীমান্ত দিয়ে ৬০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার কাজীপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১৪৭ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এঁদের মধ্যে ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলার কাথুলী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৩৩/৩-এসের কাছ দিয়ে আরও ৩০ জন ফিরে আসেন।

হস্তান্তরকৃতদের মধ্যে রয়েছেন মো. সবুর আলী (৪০), হনুফা খাতুন (২৭), নাসিমা খাতুন (৩৫), রাখি বেগম (৫০), মো. ইয়াদুন (৩৮), মো. আল আমিন (৩১), জবা আক্তার (২৩), ইয়াসমিন বেগম (২১), শাহাদাত হোসেন (২৭), কোহিনুর আক্তার (৩৩), মো. মনির হোসেন (৩৫), কুলসুম খাতুন (৫৯), নজরুল ইসলাম (৪৮), লক্ষ্মী বেগম (৪২), তাসলিমা খাতুন (৪৫), মারজিদ আলী (৪৫), মারুফা খাতুন (২৯), মুন্নি সুলতানা (২৫), মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (২৭), সুমন হোসাইন (৩০), মো. সাইম (১৯), কোহিনুর খাতুন (৩০), মোহাম্মদ নুর ইসলাম (২৪), জরিনা খাতুন (৩৬), রহিম খান (২০), আরিফুল ইসলাম (২৭) ও নুসরত খাতুন (১৯)।

পতাকা বৈঠকে কাজীপুর বিজিবির পক্ষ থেকে গাংনীর কাজীপুর বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহাবুদ্দিন এবং ভারতের পক্ষ থেকে ১১ গান্দিনা বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার এবিসন ফ্রান্কোসহ বিজিবি ও বিএসএফের বিভিন্ন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আরেকটি পতাকা বৈঠকে কাথুলী বিজিবির পক্ষ থেকে কাথুলী বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. মিজানুর রহমান ও বিএসএফের পক্ষ থেকে তেইমপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমারসহ বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, হস্তান্তরকৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। তাঁরা ভারতে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। তাঁদের সবাইকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কাজীপুর বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহাবুদ্দিন বলেন, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩০ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে তাঁদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কাথুলী বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. মিজানুর রহমান বলেন, হস্তান্তরকৃত ৩০ জনকে আইনি প্রক্রিয়ার শেষে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গাংনী থানার তদন্ত (ওসি) আল মামুন জানান, গাংনীর কাজীপুর ও কাথুলী বিজিবির সদস্যরা মোট ৬০ জনকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু

বাগেরহাট প্রতিনিধি
হানিফ হাওলাদার
হানিফ হাওলাদার

বাগেরহাটে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হানিফ হাওলাদার (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঢাকার নিউ লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত হানিফ হাওলাদার বাগেরহাট পৌরসভার পূর্ব বাসাপাটি এলাকার স্টেডিয়াম সড়কের বাসিন্দা আলম হাওলাদারের ছেলে।

হানিফের স্ত্রী সোনামণি আক্তার জানান, কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন হানিফ। প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও জ্বর না কমায় গত বুধবার বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরে প্লাটিলেট কমে ২৬ হাজারে নেমে আসায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি না নিয়ে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। নিউ লাইফ হাসপাতালে দুই দিন আইসিইউতে থাকার পর আজ ভোরে তিনি মারা যান।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, হানিফ হাওলাদার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। প্লাটিলেটের সংখ্যা খুব কম থাকায় তাঁকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

আজ দুপুরে জানাজা শেষে হানিফ হাওলাদারকে বাগেরহাটের মদিনা মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‘ভাই সব, চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করা গরুর মাংস প্রতি কেজি মাত্র ৬২০ টাকা! এখনই চলে আসুন মিঠাপুকুর বাজারে তহিদুল ভাইয়ের দোকানে!’ —কয়েক দিন ধরে মাইকে এমন প্রচারণা চলছে মিঠাপুকুর বাজারে। তবু মিলছে না ক্রেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর বাজার ও গড়েরমাথা এলাকায় গরুর মাংস বিক্রি হয়। ব্যবসায়ী লিটন জানান, ১৫-২০ দিন আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হতো। তবে মাংস খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় এখন বেচাকেনা প্রায় বন্ধ। দাম কমিয়ে প্রচারণা চালানো হলেও ক্রেতা আসছে না। বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আজ শনিবার উপজেলা সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকেও কোনো কসাই গরু জবাই করছেন না। সাড়ে ৯টার দিকে দুজন বিক্রেতাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা মাংস নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘আজ গরু জবাই হয়নি। মনে হয় গতকালের অবিক্রীত মাংস আজ বিক্রি করা হচ্ছে।’

কসাই নাজমুল বলেন, ‘পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্সে দুজনের মৃত্যু আর ইমাদপুরে ছয়জন আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ গরুর মাংস খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।’ উপজেলার কৃষক হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গরুর মাংস কিনছি না, অ্যানথ্রাক্সের ভয় আছে।’ শিক্ষক আইনুল কবির বলেন, ‘আমার স্ত্রী গরুর মাংস খুব পছন্দ করেন, কিন্তু এখন কিনি না।’

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা গোলাম ফারুক ডিয়ার বলেন, জবাইয়ের আগে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। মাংস বিক্রেতাদেরও নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গরু জবাইয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগনিয়ন্ত্রণ চিকিৎসক এম এ হালিম লাভলু বলেন, আগের তুলনায় এখন মানুষ গরুর মাংস কম খান। চর্বিজাত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর—এ সচেতনতার পাশাপাশি অ্যানথ্রাক্সের ভয়ও বিক্রিতে প্রভাব ফেলছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া জবাই করা মাংস খাওয়া উচিত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত