Ajker Patrika

ছেলের ফল ফেসবুকে ফাঁস করে বিপাকে চবির উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

চবি প্রতিনিধি
ছেলের ফল ফেসবুকে ফাঁস করে বিপাকে চবির উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার একদিন আগে ছেলের ফলাফল ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও গোপনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে ফলাফল প্রকাশের একদিন আগে কর্মকর্তার হাতে ফলাফল কীভাবে গেল, এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। 

আজ সোমবার দুপুরে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। ঘোষিত ফলাফলে ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। এর আগেই গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নিজের ছেলের ফলাফল ফেসবুকে জানিয়ে পোস্ট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্টটি সরিয়ে নেন তিনি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবকিছুই সর্বোচ্চ গোপনীয়তার সঙ্গে করতে হয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের একদিন আগেই এভাবে ফলাফল বাইরে চলে আসা ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমকে চরম প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’ 

এ বিষয়ে জানতে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফেসবুকে যখন পোস্ট করা হয়, তখন আমরা ইউনিট প্রধানসহ ফলাফল ক্রস চেক করছিলাম। আমাদের থেকে ফলাফল বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওই অভিভাবক প্রকাশের আগেই কীভাবে ফলাফল পেয়েছেন, সেটা আমি জানি না। তিনি অন্য কোথাও থেকে জেনে থাকতে পারেন।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়ক ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁকে (কর্মকর্তা) জিজ্ঞাসাবাদ করতেছি। তিনি কোথায় পেলেন, কীভাবে পেলেন তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। তাঁর আইডিসহ সবকিছু চেক করতেছি।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি (কর্মকর্তা) ফলাফল কীভাবে পেলেন তা আমরা জানি না। এ বিষয়ে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত