ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাগনি জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পারিবারিক জটিলতা সৃষ্টির পরামর্শ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রেপ্তারকৃত যুবক এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবকের নাম—জহিরুল ইসলাম (২৫)। তিনি মাধবদী থানা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। জহিরুল সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী, নিহত জেকী আক্তারের ভাগনি জামাই।
বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা। এতে বক্তব্য রাখেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সোনাহর আলী শরীফ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে নিহত জেকী আক্তারের ভাগনি জামাই জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আজ (বুধবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতে জহিরুল ইসলামের দেওয়া জবানবন্দির বরাতে সিরাজুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকে পারিবারিকভাবে অশান্তিতে ছিলেন জহিরুল। শ্বশুরবাড়ি থেকে নানাভাবে তাকে চাপে রাখা হতো। আর শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর খালা শাশুড়ি জেকী আক্তারের পরামর্শে চলতেন। পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির সহায়তার জন্য গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালা শাশুড়ি জেকী আক্তারের বাসায় যান। জহিরুল তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিষয়ে বিরোধ নিয়ে আলোচনার সময় জেকী আক্তারের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জহিরুল বটি দিয়ে জেকী আক্তারের মাথার পেছনে ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ সময় ঘুমিয়ে জেকী আক্তারের বড় ছেলে মাহিন (১৪) জেগে উঠে এ ঘটনা দৃশ্য দেখে চিৎকার দিয়ে জহিরুলকে থামাতে গেলে তাকেও বটি দিয়ে কোপানো হয়। মাহিন বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধের চেষ্টা ও চিৎকার করতে থাকলে তাকে টেনে হিঁচড়ে মায়ের পাশে ফেলে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন জহিরুল। মাহিন তখনো উচ্চ স্বরে চিৎকার করতে থাকলে তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে উপর্যুপরি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি।
একপর্যায়ে শিশু মহিনের (৭) ঘুম ভেঙে গেলে সে অসহায়ের মতো দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। মহিন তাকে চেনে, এবং সে বলে দিতে পারে চিন্তা করে মাহিনের ঘর থেকে বাটাল নিয়ে মহিনকেও হত্যা করতে উদ্যত হন জহিরুল। এ সময় শিশু মহিন ভয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলে বাথরুমে ঢুকে মহিনের মাথার ডান পার্শ্বে বাটাল ঢুকিয়ে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখানেই ফেলে রাখেন।
পরে আবারও একই বাটাল দিয়ে মাহিনের ডান চোখের কোণে ও ঘাড়ে এবং জেকী আক্তারের মাথায় ও পেটে বাটাল ঢুকিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন জহিরুল।
উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকার সৌদিপ্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকী আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিনের (৭) গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাগনি জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পারিবারিক জটিলতা সৃষ্টির পরামর্শ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রেপ্তারকৃত যুবক এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবকের নাম—জহিরুল ইসলাম (২৫)। তিনি মাধবদী থানা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। জহিরুল সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী, নিহত জেকী আক্তারের ভাগনি জামাই।
বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা। এতে বক্তব্য রাখেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সোনাহর আলী শরীফ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে নিহত জেকী আক্তারের ভাগনি জামাই জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আজ (বুধবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতে জহিরুল ইসলামের দেওয়া জবানবন্দির বরাতে সিরাজুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকে পারিবারিকভাবে অশান্তিতে ছিলেন জহিরুল। শ্বশুরবাড়ি থেকে নানাভাবে তাকে চাপে রাখা হতো। আর শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর খালা শাশুড়ি জেকী আক্তারের পরামর্শে চলতেন। পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির সহায়তার জন্য গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালা শাশুড়ি জেকী আক্তারের বাসায় যান। জহিরুল তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিষয়ে বিরোধ নিয়ে আলোচনার সময় জেকী আক্তারের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জহিরুল বটি দিয়ে জেকী আক্তারের মাথার পেছনে ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ সময় ঘুমিয়ে জেকী আক্তারের বড় ছেলে মাহিন (১৪) জেগে উঠে এ ঘটনা দৃশ্য দেখে চিৎকার দিয়ে জহিরুলকে থামাতে গেলে তাকেও বটি দিয়ে কোপানো হয়। মাহিন বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধের চেষ্টা ও চিৎকার করতে থাকলে তাকে টেনে হিঁচড়ে মায়ের পাশে ফেলে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন জহিরুল। মাহিন তখনো উচ্চ স্বরে চিৎকার করতে থাকলে তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে উপর্যুপরি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি।
একপর্যায়ে শিশু মহিনের (৭) ঘুম ভেঙে গেলে সে অসহায়ের মতো দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। মহিন তাকে চেনে, এবং সে বলে দিতে পারে চিন্তা করে মাহিনের ঘর থেকে বাটাল নিয়ে মহিনকেও হত্যা করতে উদ্যত হন জহিরুল। এ সময় শিশু মহিন ভয়ে বাথরুমের দিকে দৌড় দিলে বাথরুমে ঢুকে মহিনের মাথার ডান পার্শ্বে বাটাল ঢুকিয়ে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখানেই ফেলে রাখেন।
পরে আবারও একই বাটাল দিয়ে মাহিনের ডান চোখের কোণে ও ঘাড়ে এবং জেকী আক্তারের মাথায় ও পেটে বাটাল ঢুকিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন জহিরুল।
উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকার সৌদিপ্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকী আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিনের (৭) গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
১ সেকেন্ড আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৮ মিনিট আগে‘আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি।’ এটুকু বলেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন ব্যবসায়ী তহুরুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের বাবা। রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার...
১৫ মিনিট আগে