Ajker Patrika

হাত-পা বেঁধে পাঁচজনকে ফেনী নদীতে ফেলে দিল বিএসএফ

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি  
আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ১৬: ২৫
হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আটক করে হাত-পা বেঁধে ফেনী নদীতে ফেলে দিয়েছে। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে তারা কঠিন সংগ্রাম করে খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করলে বিজিবি গিয়ে হেফাজতে নেয়। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রামগড়-সাব্রুম সীমান্তের ফেনীরকুল চর এলাকার সীমান্ত দিয়ে তারা পুশইন হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলো—মো. উম্মেদ আলী (৪২), তাঁর স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫), তিন মেয়ে রুমি খাতুন (১৫),  রুম্পা খাতুন (১২) ও সুমাইয়া খাতুন (৮)।  তারা ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে প্রায় ১২ বছর ধরে বাস করছিল।

জানা গেছে, ফেনী নদী পেরিয়ে রামগড়-ফেনী সড়কের সোনাইপুল বাজারের যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটক করে। পরে মহামুনি বিজিবি ক্যাম্পে খবর দিলে বিজিবি সদস্যরা এসে পাঁচজনকে হেফাজতে নেয়।

আটক মো. উম্মেদ আলী জানান, হরিয়ানায় ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ধরে ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাত-পা বেঁধে ফেনী নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। কোনোমতে পরিবার নিয়ে তীরে উঠে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তিনি জানান, জীবিকার তাগিদে এক যুগ আগে ভারতে গিয়ে ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন।

রামগড় সীমান্ত দিয়ে পাঁচজনকে পুশইন করার তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজিবির একাধিক সূত্র। তবে ৪৩ বিজিবি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন জানান, পাঁচজনকে আপাতত রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। বিজিবি, প্রশাসন ও থানা একযোগে বিষয়টি তদন্ত করছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, পুশইন হওয়া পাঁচজন কুড়িগ্রামের চর সুপার কুটি গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় জানা গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত