লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার ৬ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি পানি বেড়েছে গতকাল সোমবারের তুলনায়। পুরো জেলা এখন পানির নিচে। এখনো বাড়ি ছেড়ে মানুষ উঁচু দালান, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। এদিকে পানিবন্দী অনেক মানুষই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে আজ সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে বন্যার দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা হয়েছে। সেখানে সমাজের বিত্তবানদের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়।
ভয়াবহ বন্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার প্রতিটি এলাকাই বিপর্যস্ত। সরকারি হিসেবে অন্তত ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ত্রাণের জন্য চারদিকে এখন বানভাসি মানুষের হাহাকার। সুপেয় পানির সংকটও প্রকট।
এখন পর্যন্ত ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষের কেউ কেউ খাবার, ওষুধ, স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের কথা জানিয়েছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রে না আসা পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ আরও বেশি। কোথাও হাঁটু, কোথাও কামর এবং কোথাও গলা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। অনেকেই ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। সবচেয়ে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে প্রসূতি, শিশু এবং বৃদ্ধরা।
প্রায় এক সপ্তাহ হলো জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এর আগে টানা বৃষ্টি ও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৪০টি এলাকা প্লাবিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য উপজেলা প্লাবিত হয়। গত কয়েক দিন ধরে ফেনী ও নোয়াখালীর বন্যার পানি রহমতখালী ও ডাকাতিয়া নদী হয়ে লক্ষ্মীপুরে ঢুকে পড়ছে। কোথাও কোথাও প্রায় চার থেকে ৬ ফুট পানিতে ডুবে আছে জনপদ। এতে করে সরকারি হিসাবে প্রায় ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কিন্তু বাস্তবে সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে।
সদর উপজেলার বাসিন্দা সেলিম ও আমিন উল্যাহসহ কয়েকজন পানিবন্দী বলেন, ‘সবকিছু ডুবে যাওয়ায় রান্না করা যাচ্ছে না। কিছু শুকানো খাবার থাকলেও তা শেষ হয়েছে দুই দিন আগে। গত তিন দিনে দুবেলা ভাত খেয়েছেন। পানির জন্য কোথাও যেতে পারছেন না। খাটের ওপর খাট দিয়ে কোনো রকম জীবন পার করছেন। এখনো কোনো সরকারি বা বেসরকারি ত্রাণসহায়তা পাওয়া যায়নি। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন, সোমবারের তুলনায় জেলায় পানি বেড়েছে ৬ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি। প্রচুর পানি নামছে। কিন্তু এর পরও বন্যার উন্নতি নেই। এখনো বন্যার অবনতি হচ্ছে। আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, একই ব্যক্তি যেন বারবার ত্রাণ না পায় এবং বিতরণে কোনো সমন্বয়হীনতা না ঘটে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি এখনো বন্যার কোনো উন্নতি নেই। দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিদিন আশ্রয় নেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ রয়েছে। সঠিকভাবে বণ্টন করতে পারলে সমস্যা হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার ৬ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি পানি বেড়েছে গতকাল সোমবারের তুলনায়। পুরো জেলা এখন পানির নিচে। এখনো বাড়ি ছেড়ে মানুষ উঁচু দালান, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। এদিকে পানিবন্দী অনেক মানুষই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে আজ সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে বন্যার দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা হয়েছে। সেখানে সমাজের বিত্তবানদের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়।
ভয়াবহ বন্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার প্রতিটি এলাকাই বিপর্যস্ত। সরকারি হিসেবে অন্তত ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ত্রাণের জন্য চারদিকে এখন বানভাসি মানুষের হাহাকার। সুপেয় পানির সংকটও প্রকট।
এখন পর্যন্ত ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষের কেউ কেউ খাবার, ওষুধ, স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের কথা জানিয়েছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রে না আসা পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ আরও বেশি। কোথাও হাঁটু, কোথাও কামর এবং কোথাও গলা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। অনেকেই ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। সবচেয়ে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে প্রসূতি, শিশু এবং বৃদ্ধরা।
প্রায় এক সপ্তাহ হলো জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এর আগে টানা বৃষ্টি ও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৪০টি এলাকা প্লাবিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য উপজেলা প্লাবিত হয়। গত কয়েক দিন ধরে ফেনী ও নোয়াখালীর বন্যার পানি রহমতখালী ও ডাকাতিয়া নদী হয়ে লক্ষ্মীপুরে ঢুকে পড়ছে। কোথাও কোথাও প্রায় চার থেকে ৬ ফুট পানিতে ডুবে আছে জনপদ। এতে করে সরকারি হিসাবে প্রায় ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কিন্তু বাস্তবে সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে।
সদর উপজেলার বাসিন্দা সেলিম ও আমিন উল্যাহসহ কয়েকজন পানিবন্দী বলেন, ‘সবকিছু ডুবে যাওয়ায় রান্না করা যাচ্ছে না। কিছু শুকানো খাবার থাকলেও তা শেষ হয়েছে দুই দিন আগে। গত তিন দিনে দুবেলা ভাত খেয়েছেন। পানির জন্য কোথাও যেতে পারছেন না। খাটের ওপর খাট দিয়ে কোনো রকম জীবন পার করছেন। এখনো কোনো সরকারি বা বেসরকারি ত্রাণসহায়তা পাওয়া যায়নি। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন, সোমবারের তুলনায় জেলায় পানি বেড়েছে ৬ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি। প্রচুর পানি নামছে। কিন্তু এর পরও বন্যার উন্নতি নেই। এখনো বন্যার অবনতি হচ্ছে। আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, একই ব্যক্তি যেন বারবার ত্রাণ না পায় এবং বিতরণে কোনো সমন্বয়হীনতা না ঘটে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি এখনো বন্যার কোনো উন্নতি নেই। দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিদিন আশ্রয় নেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ রয়েছে। সঠিকভাবে বণ্টন করতে পারলে সমস্যা হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নগরের হালিশহর এইচ-ব্লক জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আবছার গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে তাঁর এক বক্তব্যে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি রমজান মাস ঘিরে এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি চেয়ে নিকটবর্তী থানায় একটি আবেদন করেছিলেন
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাটারিচালিত মেশিনের সাহায্যে রাতে অসাধু ব্যক্তিরা নদীর বিভিন্ন অংশে মাছ শিকার করছেন। এতে মাছের পোনা, ডিমসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীও মারা যাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে সরকারি প্রকল্পে বালু ভরাটের নামে নদীতে অবৈধভাবে খননযন্ত্র বসিয়ে বালু লুটের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে। তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে খননযন্ত্রে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে অবাধে বালু লুট করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে ২০০৮ সালে বিভিন্ন খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল ২১টি আয়রন সেতু। এই সেতুগুলো নির্মাণে ঠিকাদারির কাজ করেছিলেন হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধা। গত আট মাসে এর ১০টি সেতু ভেঙে পড়েছে। এসব সেতু ভেঙে
৪ ঘণ্টা আগে