থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
‘আমাদের পাড়া ও বাজারে বিদ্যুতের খুঁটি, তার ও ট্রান্সফরমারসহ সব স্থাপন করা হয়েছে। শুধু আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। তিন বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছি ঘরে কবে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে।’ এসব কথা বলেন বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ক্রানিংঅং মারমা।
ক্রানিংঅং মারমা আরও বলেন, ‘গত বছর বান্দরবানের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নেপচুন খীসা আমাদের পাড়া পরিদর্শনে আসেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, “শিগগিরই বাজার, পাড়া, ইউনিয়ন পরিষদ, বিজিবি ক্যাম্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ” কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো জ্বলে না বিদ্যুতের আলো।’
তিন্দু গ্রোপিং পাড়া ও তিন্দু বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রকল্প বিভাগের অর্থায়নে থানচি উপজেলা সদর থেকে তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি, সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাইন্দারী পাড়া ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যামনি পাড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহের সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়। কিন্তু এই দুই পাড়ায় প্রায় ২০০ পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। তবে তিন্দু বাজার ও গ্রোপিং পাড়া, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি বিজিবি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিষয়ের ঠিকাদার সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ সম্পাদন চূড়ান্ত কাগজ হস্তান্তর করেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে জানা গেছে, তিন্দু গ্রোপিং পাড়া দোতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও একই এলাকায় একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদেরকে গরমের মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিদ্যুতের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা।
তিন্দু গ্রোপিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উচসিং মারমা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে গরমে কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকেরা জুম মেটিংয়ের জন্য ঠিকমতো ল্যাপটপ চালাতে ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।’
তিন্দু বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অংশৈথুই মারমা ও মংসাইন মারমা বলেন, দুই বছর আগেই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে সোলার প্যানেল বিতরণের সময় বিদ্যুৎ দেবে বলে গ্রোপিং পাড়া বাজার, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদে সোলার প্যানেলের নামের তালিকা থেকে বাদ দেয়। প্রায় আড়াই শ পরিবার ও দোকান ব্যবসায়ীরা এখন অন্ধকারে বসবাস করছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ ঘোষ বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। থানচি উপজেলায় যাওয়া হয়নি। তাই এ বিষয়ে বলা সম্ভব নয়।’
সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ‘প্রকল্প বিভাগ থেকে বিতরণ বিভাগকে এখনো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হস্তান্তর করা হয়নি। সুতারাং বিতরণ বিভাগের কোনো কাজ নেই। যেসব এলাকায় ট্রান্সফরমার রয়েছে সেসব এলাকায় আমরা মিটার বিতরণ করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সুযোগ করে দিয়েছি। থানচি উপজেলায় দুই ইউনিয়নের বর্তমানে এক হাজারে বেশি গ্রাহক আছেন।’
এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে কল করা হলে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রকল্প বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন বলেন, ‘আমার বক্তব্য নিতে হলে থানচি থেকে ৮০ কিলোমিটার অতিক্রম করে বান্দরবান সদরের অফিসে আসুন, তখন পাবেন।’
‘আমাদের পাড়া ও বাজারে বিদ্যুতের খুঁটি, তার ও ট্রান্সফরমারসহ সব স্থাপন করা হয়েছে। শুধু আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। তিন বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছি ঘরে কবে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে।’ এসব কথা বলেন বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ক্রানিংঅং মারমা।
ক্রানিংঅং মারমা আরও বলেন, ‘গত বছর বান্দরবানের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নেপচুন খীসা আমাদের পাড়া পরিদর্শনে আসেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, “শিগগিরই বাজার, পাড়া, ইউনিয়ন পরিষদ, বিজিবি ক্যাম্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ” কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো জ্বলে না বিদ্যুতের আলো।’
তিন্দু গ্রোপিং পাড়া ও তিন্দু বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রকল্প বিভাগের অর্থায়নে থানচি উপজেলা সদর থেকে তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি, সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাইন্দারী পাড়া ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যামনি পাড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহের সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়। কিন্তু এই দুই পাড়ায় প্রায় ২০০ পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। তবে তিন্দু বাজার ও গ্রোপিং পাড়া, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি বিজিবি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিষয়ের ঠিকাদার সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ সম্পাদন চূড়ান্ত কাগজ হস্তান্তর করেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে জানা গেছে, তিন্দু গ্রোপিং পাড়া দোতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও একই এলাকায় একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদেরকে গরমের মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিদ্যুতের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা।
তিন্দু গ্রোপিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উচসিং মারমা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে গরমে কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকেরা জুম মেটিংয়ের জন্য ঠিকমতো ল্যাপটপ চালাতে ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।’
তিন্দু বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অংশৈথুই মারমা ও মংসাইন মারমা বলেন, দুই বছর আগেই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে সোলার প্যানেল বিতরণের সময় বিদ্যুৎ দেবে বলে গ্রোপিং পাড়া বাজার, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদে সোলার প্যানেলের নামের তালিকা থেকে বাদ দেয়। প্রায় আড়াই শ পরিবার ও দোকান ব্যবসায়ীরা এখন অন্ধকারে বসবাস করছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ ঘোষ বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। থানচি উপজেলায় যাওয়া হয়নি। তাই এ বিষয়ে বলা সম্ভব নয়।’
সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ‘প্রকল্প বিভাগ থেকে বিতরণ বিভাগকে এখনো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হস্তান্তর করা হয়নি। সুতারাং বিতরণ বিভাগের কোনো কাজ নেই। যেসব এলাকায় ট্রান্সফরমার রয়েছে সেসব এলাকায় আমরা মিটার বিতরণ করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সুযোগ করে দিয়েছি। থানচি উপজেলায় দুই ইউনিয়নের বর্তমানে এক হাজারে বেশি গ্রাহক আছেন।’
এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে কল করা হলে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রকল্প বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন বলেন, ‘আমার বক্তব্য নিতে হলে থানচি থেকে ৮০ কিলোমিটার অতিক্রম করে বান্দরবান সদরের অফিসে আসুন, তখন পাবেন।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৩ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে