Ajker Patrika

প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষায় এগিয়ে চাকেরা

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষায় এগিয়ে চাকেরা

প্রতিকূলতার মধ্যেই পাহাড়ে শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে চাকেরা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে কম জনসংখ্যার দিক দিয়ে চতুর্থ এই নৃগোষ্ঠী।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ১৪টি পাড়ায় চাকদের বসবাস। এ ছাড়া রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে কয়েকটি পরিবার অন্য নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে বসবাস করলেও নিজেদের কোনো পাড়া নেই। চাকদের নিজস্ব ভাষা তু। নিজস্ব বর্ণমালাও আছে। এরা মূলত বৌদ্ধধর্ম অনুসারী।

২০১১ সালে জরিপ অনুযায়ী, চাকদের জনসংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। বর্তমানে এই সংখ্যা ৪ থেকে ৫ হাজার বলে ধারণা চাকদের। অনেকে একই মনে করলেও চাক ও চাকমা আলাদা নৃগোষ্ঠী।

চাকদের মতে, তাঁদের শিক্ষার হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। চাকদের ৫০ জনের বেশি স্নাতক ও ১০ জনের বেশি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ৬ জন এমবিবিএস ডাক্তার আছে চাক গোষ্ঠীতে। এর মধ্যে ১ জন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার।

সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তা হয়েছেন ১ জন। শিক্ষিতদের অধিকাংশই ব্যাংকিং, শিক্ষকতা, এনজিওকর্মী ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত।

চাকদের জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৪ হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) আছেন। কোনো চেয়ারম্যান না থাকলেও ইউপি সদস্য আছেন ৪ জন। চাকদের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ক্যনে ওয়ান চাক।

ক্যনে ওয়ান চাক বলেন, ‘প্রতিকূলতার ভিড় ঠেলে চাকেরা তাদের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। সরকার আরও সহায়ক হলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব। চাকরিতে বিশেষ কোটা না থাকায় লেখাপড়া করে বেকার থাকছেন আমাদের ছেলেরা। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে ব্যবসাও করতে পারছেন না।’

চাক সম্প্রদায়ের নেতা চিংহ্লা মং চাক বলেন, পাকিস্তান আমলে ২টি ও পার্বত্য চুক্তির পর ৩টি চাক গ্রাম উচ্ছেদের শিকার হয়েছে। আরও ৩-৪টি চাক গ্রাম উচ্ছেদের আশঙ্কা রয়েছে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের রাবারবাগান কোম্পানি এর নেতৃত্ব দিচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত