আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
পাহাড়ি সবুজ ঘাস ও খড়ে লালন-পালন করা ষাঁড় ও বলদের চাহিদা বাড়ায় কোরবানির হাট জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে। গতকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাটে সমতল এলাকার পাইকারদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। তাঁরা পাহাড়ি গরুর খোঁজে হাটবাজার ঘুরে পছন্দসই গরু কিনছেন।
এ বছর উপজেলার ছোট-বড় মিলে প্রায় ৫০টি খামার এবং ১৫০-১৭০টি পরিবারে কোরবানির জন্য প্রায় তিন হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব পশুকে ৭০ শতাংশ সবুজ ঘাস ও খড় এবং ৩০ শতাংশ খৈল-ভুসি খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। ফলে এ গরুগুলোর মাংস তুলনামূলকভাবে সুস্বাদু এবং চর্বিমুক্ত বলে দাবি করছেন খামারিরা।
গতকাল উপজেলার বৃহত্তম হাট তিনটহরীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় দেড় হাজার গরু ও শতাধিক ছাগল বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকার ও ক্রেতারা গরুর রং, আকার ও স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে দরদাম করছেন।
একসত্যাপাড়া থেকে আসা খামারি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, তাঁর ৫৫০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড়ের জন্য এক পাইকার ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্য দুটি বলদের ওজন ৬৫০ ও ৭০০ কেজি—যার জন্য তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার প্রস্তাব। তবে তিনি বলছেন, “ষাঁড়টি ৩ লাখ আর বলদ দুটো সাড়ে ৬ লাখ হলে ছেড়ে দেব।”
স্থানীয় গৃহস্থ মো. কামাল হোসেন বলেন, “এখনো বাজার পুরোপুরি জমেনি। চাঁদ ওঠার পর বড় গরুর কেনাবেচা বাড়বে। আজ বাজার ঘুরে দেখলাম, চট্টগ্রামের ক্রেতাদের নজর পাহাড়ি লাল ষাঁড়-বলদের দিকে বেশি।”
তিনটহরী গরু বাজারের ইজারাদার মো. কামাল হোসেন বলেন, “এ হাটে হাসিল মাত্র ২ শতাংশ হওয়ায় এখানে ক্রেতা বেশি ভিড় করেন। আজ অনেক পাইকার শহরের জন্য গরু কিনেছেন।”
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে গরু কিনতে আসা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, “পাহাড়ের ঘাস ও খড়ে মোটাতাজা করা গরুর মাংসের স্বাদই আলাদা। নিজের পছন্দমতো পশু কেনার সুযোগও আছে এখানে। আজ দেখে গেলাম, ঈদের ৪/৫ দিন আগে এসে কিনব।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, “পাহাড়ের সবুজ ঘাস ও খড়ের কারণে গরু মোটাতাজা করা সহজ। এ খাদ্যতালিকা গরুকে তেলতেলে ও সুস্বাদু মাংস দিতে সহায়তা করে। এবার উপজেলায় প্রায় ১,৮০০টি কোরবানি উপযোগী গরু ও ৪৬০টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে।” তিনি আরও জানান, খামারিদের সহায়তায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর নিয়মিত পরিদর্শন, পরামর্শ এবং অনলাইন-অফলাইন সেবা দিচ্ছে। বাজারে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মেডিকেল টিমও কাজ করছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, “কোরবানির হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি বাজারে পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত টহলও চলছে।”
পাহাড়ি সবুজ ঘাস ও খড়ে লালন-পালন করা ষাঁড় ও বলদের চাহিদা বাড়ায় কোরবানির হাট জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে। গতকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাটে সমতল এলাকার পাইকারদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। তাঁরা পাহাড়ি গরুর খোঁজে হাটবাজার ঘুরে পছন্দসই গরু কিনছেন।
এ বছর উপজেলার ছোট-বড় মিলে প্রায় ৫০টি খামার এবং ১৫০-১৭০টি পরিবারে কোরবানির জন্য প্রায় তিন হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব পশুকে ৭০ শতাংশ সবুজ ঘাস ও খড় এবং ৩০ শতাংশ খৈল-ভুসি খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। ফলে এ গরুগুলোর মাংস তুলনামূলকভাবে সুস্বাদু এবং চর্বিমুক্ত বলে দাবি করছেন খামারিরা।
গতকাল উপজেলার বৃহত্তম হাট তিনটহরীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় দেড় হাজার গরু ও শতাধিক ছাগল বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকার ও ক্রেতারা গরুর রং, আকার ও স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে দরদাম করছেন।
একসত্যাপাড়া থেকে আসা খামারি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, তাঁর ৫৫০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড়ের জন্য এক পাইকার ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্য দুটি বলদের ওজন ৬৫০ ও ৭০০ কেজি—যার জন্য তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার প্রস্তাব। তবে তিনি বলছেন, “ষাঁড়টি ৩ লাখ আর বলদ দুটো সাড়ে ৬ লাখ হলে ছেড়ে দেব।”
স্থানীয় গৃহস্থ মো. কামাল হোসেন বলেন, “এখনো বাজার পুরোপুরি জমেনি। চাঁদ ওঠার পর বড় গরুর কেনাবেচা বাড়বে। আজ বাজার ঘুরে দেখলাম, চট্টগ্রামের ক্রেতাদের নজর পাহাড়ি লাল ষাঁড়-বলদের দিকে বেশি।”
তিনটহরী গরু বাজারের ইজারাদার মো. কামাল হোসেন বলেন, “এ হাটে হাসিল মাত্র ২ শতাংশ হওয়ায় এখানে ক্রেতা বেশি ভিড় করেন। আজ অনেক পাইকার শহরের জন্য গরু কিনেছেন।”
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে গরু কিনতে আসা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, “পাহাড়ের ঘাস ও খড়ে মোটাতাজা করা গরুর মাংসের স্বাদই আলাদা। নিজের পছন্দমতো পশু কেনার সুযোগও আছে এখানে। আজ দেখে গেলাম, ঈদের ৪/৫ দিন আগে এসে কিনব।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, “পাহাড়ের সবুজ ঘাস ও খড়ের কারণে গরু মোটাতাজা করা সহজ। এ খাদ্যতালিকা গরুকে তেলতেলে ও সুস্বাদু মাংস দিতে সহায়তা করে। এবার উপজেলায় প্রায় ১,৮০০টি কোরবানি উপযোগী গরু ও ৪৬০টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে।” তিনি আরও জানান, খামারিদের সহায়তায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর নিয়মিত পরিদর্শন, পরামর্শ এবং অনলাইন-অফলাইন সেবা দিচ্ছে। বাজারে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মেডিকেল টিমও কাজ করছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, “কোরবানির হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি বাজারে পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত টহলও চলছে।”
শ্যামপুর থানা সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া লিপুর (৪৯) বিরুদ্ধে শ্যামপুর ও ওয়ারী থানায় হত্যাচেষ্টা, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন।
৮ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক পাভেল চাকমাকে অপহরণ করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগেপার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘পার্বত্য এলাকার মধ্যে বান্দরবান অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তার জন্য সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে এই মন্ত্রণালয়। পার্বত্য এলাকায় গুণগত শিক্ষা, আর্থ সামাজিক ও টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।’ আজ রোববার সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে...
১৭ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার খোকসায় বিয়ের আগের দিন কনের পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে বিধান রায়ের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিকের দাবি, নগদ টাকাসহ তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে