Ajker Patrika

মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৩, ২০: ৩৮
Thumbnail image

কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ৬০০ মেগাওয়াটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন আজ শনিবার শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফলতা পাওয়া গেলে আগামী ডিসেম্বর মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে কেন্দ্রটি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী এ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ পরীক্ষামূলক উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। 

এর আগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে বঙ্গোপসাগরের কূলঘেঁষে ১ হাজার ৬০০ একর জমিতে গড়ে তোলা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি উৎপাদনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম ইউনিটটি আজ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। সফলতা আসলে আগামী ডিসেম্বর মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৫১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার অর্থ রয়েছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।

মাতারবাড়ীর কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রপ্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। শুরুতে জ্বালানি তেল দিয়ে উৎপাদন হবে। চার-পাঁচ দিন পর কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে।
মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, প্রথম দিন ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। চূড়ান্তভাবে উৎপাদনে গেলে এখান থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। 

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা মজুত করা হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার টন। আগামী ৭ আগস্ট ৬৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ মাতারবাড়ীর জেটিতে ভিড়বে। এর মধ্যে বন্দর থেকে খালাস করা কয়লা সংরক্ষণের জন্য পৃথক চারটি স্টোরের নির্মাণকাজ চলছে। একেকটি স্টোরের ধারণক্ষমতা দুই লাখ টন। ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রটি পুরোপুরি প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

অপর দিকে ৬০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও দ্রুত শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে। 
প্রকল্প সূত্র জানায়, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমিতমো করপোরেশন, তোশিবা করপোরেশন ও আইএইচআই এই প্রকল্পের নির্মাণকাজে ১ হাজার ১৫০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৮ হাজার মানুষ কাজ করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত