নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গাড়িচালকের ছদ্মবেশে বিশ বছর পালিয়ে থাকার পর গ্রেপ্তার হয়েছে লোহাগাড়ার ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি জসিম উদ্দিন (৫০)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থানাধীন নিমতলা বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭।
আজ শুক্রবার র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জসিম ২০ বছর আগে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের মৃত বেলায়েত আলীর ছেলে।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি একই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি সৈয়দ আহম্মেদকে নগরীর আকবর শাহ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনিও ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ সকালে ব্যবসায়ী জানে আলমকে (৪৮) নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রামে লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত এ মামলায় জসিম উদ্দিনসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়া ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করলে আদালত জসিমসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২ জনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেন।
নুরুল আবছার আরও বলেন, জমির বিরোধ নিয়ে ২০০১ সালের ৯ নভেম্বর জানে আলমের ছোট ভাই মাহমুদুল হক খুন হন। ওই ঘটনায় করা একটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। ছোট ভাইয়ের এই খুনে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন জানে আলম। মূলত মাহমুদুল খুনের পর জানে আলমই মামলা মোকাদ্দমাসহ সবকিছু পরিচালনা করতেন।
আসামিরা ভেবেছিলেন জানে আলমকে হত্যা করলে প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী থাকবে না। আর নিহতের পরিবারও আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। এ জন্য ২০০২ সালের ৩০ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার আগে প্রকাশ্য দিবালোকে এক বছর বয়সী শিশু সন্তানের সামনে জানে আলমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
মাহমুদুল খুনের পর অন্য আসামিদের মতো জসিম উদ্দিন এলাকা ছেড়ে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ফকিরহাট এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে ট্রাক চালাতেন। ওই এলাকাটিতে থাকার সময় তিনি লোহাগাড়ায় এসে জানে আলম হত্যায় অংশ নেন।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, জানে আলম হত্যার পর ডবলমুরিং ফকিরহাট এলাকায় তিন বছর থাকেন জসিম উদ্দিন। পরে কালুরঘাট এলাকায় বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে আগ্রাবাদ ডেবারপাড়ে ও সর্বশেষ নিমতলা বিশ্বরোডে বাসা ভাড়া করে থাকেন। এই ২০ বছরে ট্রাক চালকের ছদ্মবেশে তিনি বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্সটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল।
জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর লোহাগাড়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
চট্টগ্রামে গাড়িচালকের ছদ্মবেশে বিশ বছর পালিয়ে থাকার পর গ্রেপ্তার হয়েছে লোহাগাড়ার ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি জসিম উদ্দিন (৫০)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থানাধীন নিমতলা বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭।
আজ শুক্রবার র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জসিম ২০ বছর আগে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের মৃত বেলায়েত আলীর ছেলে।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি একই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি সৈয়দ আহম্মেদকে নগরীর আকবর শাহ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনিও ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ সকালে ব্যবসায়ী জানে আলমকে (৪৮) নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রামে লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত এ মামলায় জসিম উদ্দিনসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়া ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করলে আদালত জসিমসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২ জনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেন।
নুরুল আবছার আরও বলেন, জমির বিরোধ নিয়ে ২০০১ সালের ৯ নভেম্বর জানে আলমের ছোট ভাই মাহমুদুল হক খুন হন। ওই ঘটনায় করা একটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। ছোট ভাইয়ের এই খুনে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন জানে আলম। মূলত মাহমুদুল খুনের পর জানে আলমই মামলা মোকাদ্দমাসহ সবকিছু পরিচালনা করতেন।
আসামিরা ভেবেছিলেন জানে আলমকে হত্যা করলে প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী থাকবে না। আর নিহতের পরিবারও আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। এ জন্য ২০০২ সালের ৩০ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার আগে প্রকাশ্য দিবালোকে এক বছর বয়সী শিশু সন্তানের সামনে জানে আলমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
মাহমুদুল খুনের পর অন্য আসামিদের মতো জসিম উদ্দিন এলাকা ছেড়ে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ফকিরহাট এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে ট্রাক চালাতেন। ওই এলাকাটিতে থাকার সময় তিনি লোহাগাড়ায় এসে জানে আলম হত্যায় অংশ নেন।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, জানে আলম হত্যার পর ডবলমুরিং ফকিরহাট এলাকায় তিন বছর থাকেন জসিম উদ্দিন। পরে কালুরঘাট এলাকায় বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে আগ্রাবাদ ডেবারপাড়ে ও সর্বশেষ নিমতলা বিশ্বরোডে বাসা ভাড়া করে থাকেন। এই ২০ বছরে ট্রাক চালকের ছদ্মবেশে তিনি বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্সটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল।
জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর লোহাগাড়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
৫ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
৫ ঘণ্টা আগে