নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
যে ঘরে কুকুর থাকার কথা সেই ঘরেই বসবাস করছে মানুষ। কুকুরের জেলখানায় প্রায় এক বছর ধরে সংসার পেতে বসবাস করছে একটি পরিবার।
নগরীর বায়জিদ বোস্তামী থানা এলাকার আরেফিন নগরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্মিত বেওয়ারিশ কুকুরের জেলখানায় গেলে মানুষের বসবাসের এ দৃশ্যটি দেখা যায়। এখনে বসবাস করছেন সেলিম ও তাঁর পরিবার।
সেলিম বলেন, 'ডাম্পিং এ ময়লা-আবর্জনা কুড়িয়ে আমার সংসার চলে। কি করব কোথায় যাবো তা ভেবে পাই না। গরিব বলে এখানে থাকি। আরেফিন নগরে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং থেকে প্লাস্টিক, বোতল, কাচের বোতলসহ নানা দ্রব্য আমি সংগ্রহ করি। পরে ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করি। এখানে উৎকট দুর্গন্ধ, তবুও থাকতে থাকতে আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।'
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩৫ ফুট প্রস্থ আর ৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য আয়তনের বেওয়ারিশ কুকুরের জেলখানাটি নির্মাণ করা হয় আরফিন নগরের চসিকের ময়লা-আবর্জনার ডাম্পিংয়ের পাশে। মূলত নগরীতে পাগলা কুকুরের উৎপাত কমাতে, তাদের না মেরে ধরে এনে এ ঘরটিতে বন্দী রাখার কথা। সে জন্য ২০১৪ সালের দিকে ঘরটি নির্মাণ করা হয়।
ময়লার ডিপোতে যাওয়ার সময় হাতের বাম পাশে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান এ হাজত খানার। পায়ে হেঁটে ওপরে যেতেই দেখা যায় আবর্জনার থেকে কুড়ানো প্লাস্টিকের স্তূপ। যা সাপ্লাই দেওয়ার জন্য প্যাকেটে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। পুরো এলাকা দুর্গন্ধে ভরা। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের লোহার গ্রিলের এ ঘর ইটের সেমি পাকা। এক পাশে গ্রিলের দরজা। এ ঘরের ভেতরে তিনটি রুম করা। রুমে খাট, আলমারি ও নিচের ফ্লোরে বিছানা পাতা। আছে সামান্য কিছু আসবাবপত্রও।
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের পর থেকেই অনেকটা পরিত্যক্ত পড়েছিল গৃহটি। এ ঘরে কোন কুকুরকে রাখতে দেখা যায়নি কোনো দিন। এ সুযোগে সেখানে ঘর সংসার পাতেন এ সেলিম।
দোকানদার হাবিবুল্লাহ বলেন, এখানে সিটি করপোরেশনের দারোয়ানরা সব দেখভাল করেন। তারাই বলতে পারবে এখানে তারা কীভাবে থাকে? কত টাকা ভাড়া দেয়?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, কুকুরের ঘরটি এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত। তবে সেখানে বসবাসের নিয়ম নেই। এখন সেখানে কেউ আছে বা থাকে কিনা, বিষয়টি আমি দেখব।
যে ঘরে কুকুর থাকার কথা সেই ঘরেই বসবাস করছে মানুষ। কুকুরের জেলখানায় প্রায় এক বছর ধরে সংসার পেতে বসবাস করছে একটি পরিবার।
নগরীর বায়জিদ বোস্তামী থানা এলাকার আরেফিন নগরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্মিত বেওয়ারিশ কুকুরের জেলখানায় গেলে মানুষের বসবাসের এ দৃশ্যটি দেখা যায়। এখনে বসবাস করছেন সেলিম ও তাঁর পরিবার।
সেলিম বলেন, 'ডাম্পিং এ ময়লা-আবর্জনা কুড়িয়ে আমার সংসার চলে। কি করব কোথায় যাবো তা ভেবে পাই না। গরিব বলে এখানে থাকি। আরেফিন নগরে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং থেকে প্লাস্টিক, বোতল, কাচের বোতলসহ নানা দ্রব্য আমি সংগ্রহ করি। পরে ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করি। এখানে উৎকট দুর্গন্ধ, তবুও থাকতে থাকতে আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।'
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩৫ ফুট প্রস্থ আর ৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য আয়তনের বেওয়ারিশ কুকুরের জেলখানাটি নির্মাণ করা হয় আরফিন নগরের চসিকের ময়লা-আবর্জনার ডাম্পিংয়ের পাশে। মূলত নগরীতে পাগলা কুকুরের উৎপাত কমাতে, তাদের না মেরে ধরে এনে এ ঘরটিতে বন্দী রাখার কথা। সে জন্য ২০১৪ সালের দিকে ঘরটি নির্মাণ করা হয়।
ময়লার ডিপোতে যাওয়ার সময় হাতের বাম পাশে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান এ হাজত খানার। পায়ে হেঁটে ওপরে যেতেই দেখা যায় আবর্জনার থেকে কুড়ানো প্লাস্টিকের স্তূপ। যা সাপ্লাই দেওয়ার জন্য প্যাকেটে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। পুরো এলাকা দুর্গন্ধে ভরা। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের লোহার গ্রিলের এ ঘর ইটের সেমি পাকা। এক পাশে গ্রিলের দরজা। এ ঘরের ভেতরে তিনটি রুম করা। রুমে খাট, আলমারি ও নিচের ফ্লোরে বিছানা পাতা। আছে সামান্য কিছু আসবাবপত্রও।
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের পর থেকেই অনেকটা পরিত্যক্ত পড়েছিল গৃহটি। এ ঘরে কোন কুকুরকে রাখতে দেখা যায়নি কোনো দিন। এ সুযোগে সেখানে ঘর সংসার পাতেন এ সেলিম।
দোকানদার হাবিবুল্লাহ বলেন, এখানে সিটি করপোরেশনের দারোয়ানরা সব দেখভাল করেন। তারাই বলতে পারবে এখানে তারা কীভাবে থাকে? কত টাকা ভাড়া দেয়?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, কুকুরের ঘরটি এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত। তবে সেখানে বসবাসের নিয়ম নেই। এখন সেখানে কেউ আছে বা থাকে কিনা, বিষয়টি আমি দেখব।
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
৪ মিনিট আগেআগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা থেকে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত ১২টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সময় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন।
৮ মিনিট আগেএখন থেকে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দিন। একই সময় উপদেষ্টার দিকে বোতল ছুড়ে মারা শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারে বিরত থাকতেও বলেছেন তিনি।
২২ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে...
২৭ মিনিট আগে