Ajker Patrika

চৌদ্দগ্রামে রান্নায় গাড়ির গ্যাস ব্যবহারে দুর্ঘটনার শঙ্কা

মো. আকতারুজ্জামান চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) 
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫: ১৯
চৌদ্দগ্রামে রান্নায় গাড়ির গ্যাস ব্যবহারে দুর্ঘটনার শঙ্কা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাস রান্নার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রিফাইনিং বা পরিশোধন ছাড়াই এই গ্যাস দেশের নামী কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডারে ঢুকিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। এতে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার ৪৪ কিলোমিটার এলাকায় ১৪টি এলপিজি গ্যাসের স্টেশন রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বাইরে উপজেলার চিওড়ার নেতড়াতে আরও একটি এলপিজি গ্যাসের স্টেশন রয়েছে। এলপিজি গ্যাস স্টেশনগুলোর অনেকগুলোতেই দেশের নামীদামি কোম্পানির সিলিন্ডারে গাড়িতে ব্যবহারযোগ্য এলপিজি গ্যাস ঢুকিয়ে বাজারজাত করছেন গ্যাস স্টেশনের মালিকেরা। রান্নার কাজে ব্যবহৃত ১২ ও ৩৫ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারগুলোতে এই গ্যাস ঢোকানো হচ্ছে। তা ছাড়া এই গ্যাস সিলিন্ডারগুলো বাজারের দামের চেয়ে ৩০০-৪০০ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নামী কোম্পানিগুলোর গ্যাসের সিলিন্ডারে বাজারমূল্য নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে দ্বিধার সৃষ্টি হচ্ছে।

যমুনা এলপিজি গ্যাসের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, রান্নার কাজে এলপিজি গ্যাসে ৭০ ভাগ প্রোপেন, ৩০ ভাগ বিউটেন সংমিশ্রণ করা হয়। আর গাড়িতে ৬০ ভাগ প্রোপেন ও ৪০ ভাগ বিউটেন সংমিশ্রণ করে ব্যবহার করতে হয়। এলপিজি গ্যাস স্টেশনগুলো প্রোপেন ও বিউটেন সংমিশ্রণে গরমিল রেখেই গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল করে দিচ্ছে এবং ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন বাসাবাড়ির রান্নার কাজে। অনুপাতে তারতম্যের করণে যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে।

মো. আলা উদ্দিন আরও বলেন, ‘চৌদ্দগ্রামের নেতড়াতে এসবি এলপিজি গ্যাস স্টেশনে যমুনাসহ নামী এলপিজি গ্যাস কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডার রিফিল করে বিক্রি হচ্ছে। রিফিল করার সময় আমরা কয়েকবার সরেজমিনে গিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরলে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করে। কিন্তু আমরা চলে আসার পর তারা আবারও একই কাজ করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।’ 

বেক্সিমকো গ্রুপের এলপিজি গ্যাসের কুমিল্লা অঞ্চলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আবু আসিফ গোলাম ছিদ্দিক বলেন, ‘চৌদ্দগ্রামের নেতড়ায় এসবি এলপিজি নামক একটি প্রতিষ্ঠান আমাদেরসহ বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডারগুলো অবৈধভাবে রিফিল করে কম দামে বাজারে বিক্রি করছে। বিষয়টি আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি।’

এসবি এলপিজি গ্যাস স্টেশনের মালিক হুমায়ন পাটোয়ারীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘আমি কোনো কোম্পানির সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করলে আপনার সমস্যা আছে?’ বলে লাইন কেটে দেন।

চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘এলপিজি স্টেশনগুলোতে রান্নার কাজে গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল করা সম্পূর্ণ বেআইনি। গ্যাস সংমিশ্রণ সঠিকভাবে না হলে বিস্ফোরিত হয়ে জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি জানার পর এসবি গ্যাস স্টেশনে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ঢোকানোর ব্যাপারে কিছু প্রমাণও হাতে এসেছে। আইনগত প্রক্রিয়ার দিকে এগোচ্ছি। অন্যান্য এলপিজি গ্যাস স্টেশনকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’ 

চৌদ্দগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, ‘এসবি এলপিজি গ্যাস স্টেশনের ব্যাপারে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বঙ্গবন্ধু ও মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল থাকছে

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদায় বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত