স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পাঁচ যুবকের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পূর্ব লালানগরের রমজান আলী সড়কটি সংস্কার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭৮০ মিটার দীর্ঘ সড়কটি ২০২০ সালে ৭৫০ মিটারের সংস্কার কাজ করা হয়। কিন্তু মহাসড়কের পাশের ৩০ মিটার সড়কের সংস্কার করা হয়নি। এতে এ সড়ক ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষায় কাদা মাটিতে একাকার সড়কটির এ অংশে খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়। চলতি মৌসুমের শুরুতে টানা ভারী বর্ষণে সড়কটির অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়ে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে এ সড়কে অ্যাম্বুলেন্সসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশে বেগ পেতে হতো। এ অবস্থায় সড়কটির সংস্কারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় পাঁচ যুবক। সড়কটির সংস্কারে তাঁরা কায়িক শ্রমের পাশাপাশি নিজেদের পাঁচ হাজার টাকায় কেনেন ইট, বালি ও কংক্রিট।

সংস্কার কাজ করা ওই পাঁচ যুবক হলেন ফজল করিম, শিপন, রায়হান, শওকত ও মেহেক। তাঁরা এ কাজে ইট, বালি ও খোয়া কিনতে খরচ হওয়া ৫ হাজার টাকা পাঁচজনে মিলে দিয়েছেন।

যুবকেরা মাটির সড়কটির ওপর বালু ফেলে এর ওপর খোয়া বিছিয়ে দেন। পরে আস্ত ইট বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন।

স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামতের কাজে নেতৃত্ব দেওয়া স্থানীয় যুবক ফজল করিম বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২০ সালে সড়কটির কার্পেটিং কাজ করা হলেও সড়কের সামনের প্রায় ৩০ মিটার অংশ সংস্কার না করে চলে যায় ঠিকাদার। এতে চলাচলে এ সড়কের ওপর নির্ভরশীল প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কিছুদিন আগে এলাকায় একজন বৃদ্ধা অসুস্থ হন। তাঁকে হাসপাতাল নিতে অ্যাম্বুলেন্স এলেও সড়কের বেহাল দশার কারণে তা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এতে অগত্যা তাঁকে কোলে করে সড়ক পার করতে হয়েছে।

স্বেচ্ছাশ্রমে পাঁচ যুবকের সড়ক মেরামতের প্রশংসা করে বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারে কোনো বরাদ্দ না থাকায় অসম্পূর্ণ কাজটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। সামনে বরাদ্দ পেলে সড়কের এ অংশটুকু মেরামত করা হবে।’