Ajker Patrika

৯ ডিসেম্বর আ.লীগের সম্মেলন ঘিরে কর্ণফুলীতে উৎসবের আমেজ

কর্ণফুলী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪: ৩৮
৯ ডিসেম্বর আ.লীগের সম্মেলন ঘিরে কর্ণফুলীতে উৎসবের আমেজ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর আগামী ৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। 

সম্মেলন উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীরা তোরণ নির্মাণ করেছেন। সম্মেলনস্থল বড়উঠান ইউনিয়নের ফকিরনীর হাট এলাকায় সড়ক সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। রংবেরঙের পতাকা ও ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। 

সম্মেলনের মাধ্যমে কারা আসছেন নেতৃত্বে—এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে স্থানীয় ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদের নাম আলোচনায় রয়েছে। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক নেতা-কর্মীরা জানান, সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কর্ণফুলী আওয়ামী লীগে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুব কম। থাকবে না নতুন নেতৃত্বের চমকও। তবু ধারাবাহিকতার সম্মেলনে কে হচ্ছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। 

এদিকে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড পর্যন্ত লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তাঁরা। 

দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পাঁচ ইউনিয়নের তৃণমূল নেতা–কর্মীদের ভোটে মোহাম্মদ আলী সভাপতি ও হায়দার আলী রনিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে ওই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে ৫ ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১৪ সালে সৈয়দ জামাল আহমেদকে সভাপতি এবং হায়দার আলী রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। 

এ সময় অ্যাডহক কমিটি দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চললেও পূর্ণাঙ্গ করতে সেই সময়ে বেগ পেতে হয় উপজেলা আওয়ামী লীগকে। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে পাঁচ ইউনিয়নে নতুন কমিটি ঘোষণা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে নতুন উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। কমিটিতে ফারুক চৌধুরীকে সভাপতি ও হায়দার আলী রণিকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

এই সম্মেলনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। দলকে গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন নেতৃত্বে যাঁরাই আসবেন, সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে কাজ করব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির হাতকে শক্তিশালী করতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বগুড়া প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া র‍্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার রাজু শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামে তাঁর মামাতো ভাইয়ের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজু। এই খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ তাঁকে আটক করে হাতকড়া পড়ায়। এ সময় রাজুর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী পুলিশের ওপর হামলা করে রাজুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামি করে দুই শতাধিক নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে মামলা করে।

পুলিশ রাজুকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ওই গ্রামের ১১ নারী এবং ১০ জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করে। রাজু দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাজুকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নান্দাইলে শত বছর ধরে চলছে হাইত উৎসব: বলদা বিলে মাছশিকারিদের ঢল

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
নান্দাইলের বলদা বিলে আজ সকালে মাছ ধরছেন শিকারিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নান্দাইলের বলদা বিলে আজ সকালে মাছ ধরছেন শিকারিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।

নান্দাইলের বলদা বিলে আজ সকালে মাছ ধরছেন শিকারিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নান্দাইলের বলদা বিলে আজ সকালে মাছ ধরছেন শিকারিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গ্রামীণ জীবনের শত বছরের আনন্দ-ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতিবছরের মতো এবারও বলদা বিলে শুরু হলো ‘হাইত উৎসব’—শৌখিন মৎস্যশিকারিদের এই মিলনমেলা পরিণত হলো এক গণ-উৎসবে।

প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে বা কার্তিক মাসের মধ্যে যখন বলদা বিলের খালবিল ও জলাশয়গুলোর পানি কমে হাঁটু বা কোমরসমান হয়, তখনই এলাকার মানুষ দিনক্ষণ ঠিক করে এই হাইত উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবের দিনক্ষণ এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।

আয়োজনের খবর পেয়ে মাছশিকারিরা বুধবার রাতেই বলদা বিলের আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হাজার হাজার শৌখিন মাছশিকারি তাঁদের পলো, ঠেলা জাল, খড়াজাল, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাছশিকারিরা হইহুল্লোড় করতে করতে বিলে নেমে পড়েছেন। বিলের দুই পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষের ভিড়। আশপাশের উপজেলা, যেমন ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, কেন্দুয়া থেকেও মাছশিকারিরা এতে অংশ নেন। তবে এ বছর আগেই নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা বেশি মাছ শিকার করতে পারেননি।

তাই মাছশিকারিদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ লক্ষ করা গেছে। পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, ‘হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে বিলে এসে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছি।’

মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, আগের মতো হাইত উৎসবের সেই জৌলুশ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের মুরব্বিরা এই আয়োজন করেন, কিন্তু মাছশিকারিরা তেমন মাছ শিকার করতে পারেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা বলদা বিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তবে এ বছর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ শিকার করতে পারেননি।’

বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে এই মাছ শিকারের আয়োজন। মাছ কম মিললেও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মিলনমেলা গ্রামীণ মানুষের জীবনে অন্যরকম আনন্দ এনে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মহিলা মাদ্রাসার ৭ শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাওয়া কাপড় আনতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে একটি মহিলা মাদ্রাসার সাত শিক্ষার্থী ও একজন আয়া। জানালা দিয়ে বিদ্যুতের লাইনে স্পর্শ লেগে তারা আহত হয়। আহত আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ভাদুঘর এলাকায় দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়। বিদ্যুতের তার থেকে সৃষ্ট আগুন বাষ্পীয় হয়ে দ্রুত রুমের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং কাছাকাছি থাকা ছাত্রীদের শরীরে লাগে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলো নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১০), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (০৫) এবং মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা ভাদুঘর এলাকার তুফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী আলেয়া (৩০)।

দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসার কারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সদর হাসপাতালের নিয়ে এসেছি। ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাচ্ছি। বাকি দুজনকেও ঢাকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান বলেন, ‘মাদ্রাসার আট ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। তারা সবাই বার্নের পেশেন্ট। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর দুজন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর নিচ্ছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুরে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ বিএনপি নেতার ভাই-ভাতিজা আটক

গাজীপুর প্রতিনিধি
বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ আটক বাবা-ছেলে। ছবি: সংগৃহীত
বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ আটক বাবা-ছেলে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) নাওজোর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরজন তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিম (২৭)। তাঁরা দুজনই গাজীপুর মহানগর বিএনপির বাসন থানার সভাপতি তানভীর সিরাজের ভাই ও ভাতিজা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সেনাক্যাম্প (১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি) থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টা পর্যন্ত গাজীপুর সেনাক্যাম্পের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বাসন থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাওজোর এলাকায় মো. তসলিম সিরাজের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) ও তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিমকে (২৭) আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮টি বড় ছোরা, ১৯টি ছোট ছোরা, ৫টি বড় চাপাতি, ৫টি ছোট চাপাতি, ২টি হাঁসুয়া, ৫টি রামদা, ১টি সোজা রামদা এবং ২৭টি নকল ডায়মন্ড (অস্ত্র ধার করার উপকরণ)। এ ছাড়াও প্রায় ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

অভিযান শেষে যৌথ বাহিনী আটক দুজনকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় হস্তান্তর করে।

জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, গাঁজাসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত