জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
‘ঠিক সময়ে ছাড়বে। ঠিক সময়ে পৌঁছাবে। খাবার ও সেবা হবে উন্নত মানের।’ এমন প্রত্যয় নিয়ে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালুর আশ্বাস দিয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। কিন্তু যাত্রার প্রথম দিনেই যাত্রীদের নানা অভিযোগ। অত্যন্ত নিম্নমানের সেবা, পচা-বাসি খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করেছেন বহু যাত্রী। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে শিগগির সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার ১২টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার নির্দেশনা থাকলেও ১০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। নির্ধারিত সময় বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারেনি এই ট্রেন। বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা থাকলেও ১৮ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। রেলওয়ের কন্ট্রোল অফিস ও সরেজমিন পরিদর্শন করে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ তো গেল টাইম-টেবিলের অবস্থা। সরেজমিন যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে এক গাদা অভিযোগ; বিশেষ করে খাবার নিয়ে। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌঁছায় বিকেল ৪টায়। এই ট্রেনের ‘গ’ বগির ১৭ নম্বর সিটের যাত্রী শহীদুল ইসলাম ফিরোজ। তিনি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, একটি চা অর্ডার দেওয়ার দুই ঘণ্টা পরও দিতে পারেনি। ‘গ’ বগিতে কোনো কর্মচারীকে দেখা যায়নি। অনেকটা বাধ্য হয়ে খারাপ ব্যবহার করে চা আনিয়েছেন তিনি।
আরেক যাত্রী আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার পর থেকে পেটে গোলমাল শুরু হয়। শিশুসন্তানেরও অবস্থা খারাপ। ওই খাবার বাসি ও পচা ছিল। চিকেনের সাদা অংশ দেখা গেছে।’ একই অভিযোগ ওই বগির যাত্রী রশিদ ও মো. নাঈমের।
অভিযোগের সূত্র ধরে ‘ঘ’, ‘ঙ’, ‘চ’ ও ‘ছ’ বগির যাত্রীদের সঙ্গেও কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সব যাত্রীর অভিযোগ, ট্রেনের খাবার পচা ও বাসি। বিশেষ করে চিকেন বিরিয়ানি। ‘ঘ’ বগির যাত্রী রাশিদা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে চিকেন বিরিয়ানির অর্ডার দিই। দাম নেয় পানিসহ ১৯০ টাকা। খাওয়ার সময় দেখি, এই বিরিয়ানি থেকে বাসি গন্ধ বের হচ্ছে। চিকেন ছিঁড়ে দেখি, ভেতরের অংশ সাদা। পরে চিকেন কাটলেট অর্ডার দিই, সেটিরও একই অবস্থা।’
এই ট্রেনের খাবারের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব আছেন মো. ইমন। তিনি যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ফ্রেশ খাবার দিয়েছি। বাসি খাবার দেওয়া হয়নি।’
তবে রেলের মার্কেটিং বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেসের মতো এই ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিচ্ছে রেলওয়ে ক্যাটারিং ও ট্যুরিজম সেল। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা রেলের সাবেক কর্মকর্তা। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটিও তাঁদের দিয়ে দেন পূর্বাঞ্চলের কমার্শিয়াল বিভাগের বর্তমানের একজন কর্মকর্তা। খারাপ খাবার সরবরাহ দিয়ে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন তাঁরা।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, খাবার বিক্রি করে সোনার বাংলা ট্রেন থেকে প্রতি মাসে চার লাখ টাকা, বনলতা ট্রেন থেকে প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস থেকে দুই লাখ টাকা, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস থেকে দুই লাখ টাকা ও বেনাপোল এক্সপ্রেস থেকে দুই লাখ টাকা আয় করছেন তাঁরা। এক বছরে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এই পাঁচটি ট্রেন থেকে লভ্যাংশ নিয়ে থাকে এই সিন্ডিকেট। অথচ এই বিশাল লাভ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রতিবছর লাইসেন্স ফি বাবদ মাত্র চার লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা রেলের এক সাবেক উপপরিচালকসহ চার-পাঁচজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভাগ করে নেন।
যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়টি জানালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে প্রথম দিনেই ব্যস্ত থাকায় যাত্রীর সেবার দিকে খেয়াল দিতে পারিনি। পচা-বাসি খাবার দেওয়া কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। আমরা অবশ্যই এটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।’
‘ঠিক সময়ে ছাড়বে। ঠিক সময়ে পৌঁছাবে। খাবার ও সেবা হবে উন্নত মানের।’ এমন প্রত্যয় নিয়ে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালুর আশ্বাস দিয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। কিন্তু যাত্রার প্রথম দিনেই যাত্রীদের নানা অভিযোগ। অত্যন্ত নিম্নমানের সেবা, পচা-বাসি খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করেছেন বহু যাত্রী। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে শিগগির সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার ১২টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার নির্দেশনা থাকলেও ১০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। নির্ধারিত সময় বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারেনি এই ট্রেন। বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা থাকলেও ১৮ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। রেলওয়ের কন্ট্রোল অফিস ও সরেজমিন পরিদর্শন করে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ তো গেল টাইম-টেবিলের অবস্থা। সরেজমিন যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে এক গাদা অভিযোগ; বিশেষ করে খাবার নিয়ে। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌঁছায় বিকেল ৪টায়। এই ট্রেনের ‘গ’ বগির ১৭ নম্বর সিটের যাত্রী শহীদুল ইসলাম ফিরোজ। তিনি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, একটি চা অর্ডার দেওয়ার দুই ঘণ্টা পরও দিতে পারেনি। ‘গ’ বগিতে কোনো কর্মচারীকে দেখা যায়নি। অনেকটা বাধ্য হয়ে খারাপ ব্যবহার করে চা আনিয়েছেন তিনি।
আরেক যাত্রী আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার পর থেকে পেটে গোলমাল শুরু হয়। শিশুসন্তানেরও অবস্থা খারাপ। ওই খাবার বাসি ও পচা ছিল। চিকেনের সাদা অংশ দেখা গেছে।’ একই অভিযোগ ওই বগির যাত্রী রশিদ ও মো. নাঈমের।
অভিযোগের সূত্র ধরে ‘ঘ’, ‘ঙ’, ‘চ’ ও ‘ছ’ বগির যাত্রীদের সঙ্গেও কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সব যাত্রীর অভিযোগ, ট্রেনের খাবার পচা ও বাসি। বিশেষ করে চিকেন বিরিয়ানি। ‘ঘ’ বগির যাত্রী রাশিদা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে চিকেন বিরিয়ানির অর্ডার দিই। দাম নেয় পানিসহ ১৯০ টাকা। খাওয়ার সময় দেখি, এই বিরিয়ানি থেকে বাসি গন্ধ বের হচ্ছে। চিকেন ছিঁড়ে দেখি, ভেতরের অংশ সাদা। পরে চিকেন কাটলেট অর্ডার দিই, সেটিরও একই অবস্থা।’
এই ট্রেনের খাবারের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব আছেন মো. ইমন। তিনি যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ফ্রেশ খাবার দিয়েছি। বাসি খাবার দেওয়া হয়নি।’
তবে রেলের মার্কেটিং বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেসের মতো এই ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিচ্ছে রেলওয়ে ক্যাটারিং ও ট্যুরিজম সেল। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা রেলের সাবেক কর্মকর্তা। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটিও তাঁদের দিয়ে দেন পূর্বাঞ্চলের কমার্শিয়াল বিভাগের বর্তমানের একজন কর্মকর্তা। খারাপ খাবার সরবরাহ দিয়ে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন তাঁরা।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, খাবার বিক্রি করে সোনার বাংলা ট্রেন থেকে প্রতি মাসে চার লাখ টাকা, বনলতা ট্রেন থেকে প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস থেকে দুই লাখ টাকা, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস থেকে দুই লাখ টাকা ও বেনাপোল এক্সপ্রেস থেকে দুই লাখ টাকা আয় করছেন তাঁরা। এক বছরে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এই পাঁচটি ট্রেন থেকে লভ্যাংশ নিয়ে থাকে এই সিন্ডিকেট। অথচ এই বিশাল লাভ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রতিবছর লাইসেন্স ফি বাবদ মাত্র চার লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা রেলের এক সাবেক উপপরিচালকসহ চার-পাঁচজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভাগ করে নেন।
যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়টি জানালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে প্রথম দিনেই ব্যস্ত থাকায় যাত্রীর সেবার দিকে খেয়াল দিতে পারিনি। পচা-বাসি খাবার দেওয়া কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। আমরা অবশ্যই এটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।’
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
৫ ঘণ্টা আগে