লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ধীরগতিতে নামছে পানি। গত চার দিনে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি নেমেছে। বেশির ভাগ খালে বাঁধ থাকায় পানি নামছে ধীরগতিতে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত পানি না নামলে জলাবদ্ধতায় এই অঞ্চলের মানুষকে ভুগতে হবে। দ্রুত এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি তাঁদের।
এদিকে বন্যার পানিতে এখনো তলিয়ে রয়েছে জেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকায়। পানিবন্দী রয়েছে ১০ লাখ মানুষ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে ছোট-বড় প্রায় ১১০টি খাল রয়েছে। এসব খালে প্রায় আড়াই হাজার বাঁধ রয়েছে। বেশির ভাগ বাঁধ অবৈধভাবে দিয়ে মাছ চাষ করেছেন এক প্রভাবশালী। ফলে বন্যা বা জলাবদ্ধতার পানি চলাচল ব্যাহত হয়। বিশেষ করে ডাকাতিয়া ও ভূলুয়া নদী, রহমতখালী এবং বিরোন্দ্রখাল পানি নিষ্কাশনের অন্যতম পথ। প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী বা খাল মিশেছে মেঘনা নদীতে। এই চারটি খালের আশপাশের পানি কমছে দুই থেকে আড়াই ফুট। এ ছাড়া এখনো তলিয়ে আছে বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি।
লক্ষ্মীপুর অংশের উপকূলীয় অঞ্চলকে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পাঁচ যুগ আগে মেঘনা নদীর পাশে নির্মাণ করা হয় ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এই বেড়িবাঁধের আশপাশে রয়েছে ঘরবাড়ি ও জেগে ওঠা কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। গত চার দশকে সেই এলাকা দখল কিংবা ইজারা নিয়ে তৈরি করা হয় মাছের ঘের ও পুকুর। আর খালের ওপর নির্মিত বাঁধ তৈরি করে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। এতে বাধা হয়েছে পানি চলাচলের পথ।
মেঘনার জোয়ার, অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি নামতে না পারায় প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ। গত কয়েক দিনের আকস্মিক বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়ে বাঁধের কারণে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে থাকা জেলার ৫টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার প্রত্যেকটি এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দী।
এদিকে চার দিন ধরে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও তেমন উন্নতি হয়নি। দুর্ভোগ কাটেনি মানুষের। পানিবন্দী মানুষের দিন কাটছে অর্ধহারে-অনাহারে। কবে নাগাদ বন্যার উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হবে জনজীবন, সেটাও নিশ্চিত নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা।
রামগতির বাসিন্দা জাফর আহমদ গনি ও মজুচৌধুরীর হাটের হেলাল উদ্দিন বলেন, এবারের মতো বন্যা এর আগে দেখা যায়নি। বৃষ্টি না থাকলেও পানি নামছে ধীরগতিতে। এতে চরম দুর্ভোগে ভানবাসি মানুষ। দুই দিনে ৫-৬ ইঞ্চি পানি কমছে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে প্রভাবশালীরা ডাকাতি ও রহমতখালী খালসহ বিভিন্ন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে কয়েক গুন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্লাড ডোর্নাস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ ফারুক বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো খালের ওপর নির্মিত বাঁধগুলো উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে অপসারণ শুরু করেছে। এতে অংশ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বন্যার অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, পানি নামছে ধীরগতিতে। বিভিন্ন খাল দখল করে বহুতল ভবন ও মাছ চাষ করার কারণে মূলত পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে খালের ওপর নির্মিত বাঁধের কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক স্থানে খালের ওপর বাঁধ কেটে দেওয়া হয়। এটি অব্যাহত থাকবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন, ১১০টি ছোট-বড় খাল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। এ ছাড়া কয়েক হাজার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০টি বাঁধ কেটে দেওয়া হয়। অবৈধভাবে দখল করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। দ্রুত পানি নেমে গেলে বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ধীরগতিতে নামছে পানি। গত চার দিনে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি নেমেছে। বেশির ভাগ খালে বাঁধ থাকায় পানি নামছে ধীরগতিতে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত পানি না নামলে জলাবদ্ধতায় এই অঞ্চলের মানুষকে ভুগতে হবে। দ্রুত এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি তাঁদের।
এদিকে বন্যার পানিতে এখনো তলিয়ে রয়েছে জেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকায়। পানিবন্দী রয়েছে ১০ লাখ মানুষ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে ছোট-বড় প্রায় ১১০টি খাল রয়েছে। এসব খালে প্রায় আড়াই হাজার বাঁধ রয়েছে। বেশির ভাগ বাঁধ অবৈধভাবে দিয়ে মাছ চাষ করেছেন এক প্রভাবশালী। ফলে বন্যা বা জলাবদ্ধতার পানি চলাচল ব্যাহত হয়। বিশেষ করে ডাকাতিয়া ও ভূলুয়া নদী, রহমতখালী এবং বিরোন্দ্রখাল পানি নিষ্কাশনের অন্যতম পথ। প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী বা খাল মিশেছে মেঘনা নদীতে। এই চারটি খালের আশপাশের পানি কমছে দুই থেকে আড়াই ফুট। এ ছাড়া এখনো তলিয়ে আছে বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি।
লক্ষ্মীপুর অংশের উপকূলীয় অঞ্চলকে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পাঁচ যুগ আগে মেঘনা নদীর পাশে নির্মাণ করা হয় ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এই বেড়িবাঁধের আশপাশে রয়েছে ঘরবাড়ি ও জেগে ওঠা কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। গত চার দশকে সেই এলাকা দখল কিংবা ইজারা নিয়ে তৈরি করা হয় মাছের ঘের ও পুকুর। আর খালের ওপর নির্মিত বাঁধ তৈরি করে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। এতে বাধা হয়েছে পানি চলাচলের পথ।
মেঘনার জোয়ার, অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি নামতে না পারায় প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ। গত কয়েক দিনের আকস্মিক বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়ে বাঁধের কারণে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে থাকা জেলার ৫টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার প্রত্যেকটি এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দী।
এদিকে চার দিন ধরে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও তেমন উন্নতি হয়নি। দুর্ভোগ কাটেনি মানুষের। পানিবন্দী মানুষের দিন কাটছে অর্ধহারে-অনাহারে। কবে নাগাদ বন্যার উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হবে জনজীবন, সেটাও নিশ্চিত নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা।
রামগতির বাসিন্দা জাফর আহমদ গনি ও মজুচৌধুরীর হাটের হেলাল উদ্দিন বলেন, এবারের মতো বন্যা এর আগে দেখা যায়নি। বৃষ্টি না থাকলেও পানি নামছে ধীরগতিতে। এতে চরম দুর্ভোগে ভানবাসি মানুষ। দুই দিনে ৫-৬ ইঞ্চি পানি কমছে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে প্রভাবশালীরা ডাকাতি ও রহমতখালী খালসহ বিভিন্ন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে কয়েক গুন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্লাড ডোর্নাস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ ফারুক বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো খালের ওপর নির্মিত বাঁধগুলো উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে অপসারণ শুরু করেছে। এতে অংশ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বন্যার অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, পানি নামছে ধীরগতিতে। বিভিন্ন খাল দখল করে বহুতল ভবন ও মাছ চাষ করার কারণে মূলত পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে খালের ওপর নির্মিত বাঁধের কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক স্থানে খালের ওপর বাঁধ কেটে দেওয়া হয়। এটি অব্যাহত থাকবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন, ১১০টি ছোট-বড় খাল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। এ ছাড়া কয়েক হাজার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০টি বাঁধ কেটে দেওয়া হয়। অবৈধভাবে দখল করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। দ্রুত পানি নেমে গেলে বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
২১ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৩১ মিনিট আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৪১ মিনিট আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
১ ঘণ্টা আগে