Ajker Patrika

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারায় বন্ধ বাস চলাচল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ০৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারায় বন্ধ বাস চলাচল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই সময় ও স্থানে বিএনপি ও ছাত্রলীগের ডাকা সমাবেশের কারণে পুরো পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পৌর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ১৪৪ ধারা জারির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সব বাসের কাউন্টারগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে। শহরের ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনাল থেকেও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি বাস কাউন্টারের কর্মকর্তারা জানান, ভোরে কাউন্টারগুলো খোলা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর এসে পুলিশের পক্ষ থেকে কাউন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ জানান, বাস চলাচল বন্ধে মালিক সমিতি কোনো নির্দেশনা দেয়নি। শহরে ১৪৪ ধারা জারির মাইকিং শুনে হয়তো শ্রমিকেরা বাস চালাচ্ছেন না। 

জেলা শহরের ৫৬টি পয়েন্টে ৫১০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে গণপরিবহন। বন্ধ রয়েছে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সভা-সমাবেশে ও গণজমায়েত। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বাস কাউন্টার বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। 

উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে যাওয়ার দাবিতে ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে শনিবার দুপুরে সমাবেশ ডাকে জেলা বিএনপি। একই সময়ে এবং একই স্থানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগও ছাত্র সমাবেশ ডাকে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দেয়। 

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান এবং সদস্য জহিরুল হক খোকন ও সিরাজুল ইসলাম এবং পৌর বিএনপি সদস্যসচিব মিজানুর রহমানকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত