Ajker Patrika

কুবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে দুই পক্ষের উত্তেজনা, ভোট গ্রহণ বন্ধ

কুবি প্রতিনিধি
কুবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে দুই পক্ষের উত্তেজনা, ভোট গ্রহণ বন্ধ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ‘বিতর্কিত’ নির্বাচন ঘিরে নীল দলের দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষকদের বৃহৎ একটি অংশ দাবি করছে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শিক্ষকদের দুই গ্রুপ এখানে মুখোমুখি অবস্থান করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রক্টোরিয়াল বডি আসলে সহকারী প্রক্টর কাজী এম আনিছুল ইসলামের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা জড়িয়ে পড়েন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: শামীমুল ইসলাম এবং গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমান মাহবুব। 

এ সময় অনেক শিক্ষককে বলতে শুনা যায়, আজকে কোথায় নির্বাচন হবে তা তাদের জানানো হয়নি। শিক্ষকদের একটি গ্রুপ মিলে নিজেরা নিজেদের মতো এই নির্বাচনের আয়োজন করছে। 

কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘যখন দেখলাম এখানে হট্টগোল হচ্ছে তখন আমার দায়িত্ব থেকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে পরিস্থিতি দেখতে আসি। এ সময় খুব বিনয়ের সঙ্গে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা দুজন শিক্ষককে বলি আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা আমাকে ঢুকতে না দিয়ে উল্টো বাগ্‌বিতণ্ডা জড়িয়ে পড়েন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই আমি প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হয়েছি।’ 

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (আনিছুল ইসলাম) এসে আমাকে বলছিলেন রুমের ভেতরে যাবেন তখন রুমে ভেতরে অনেক লোক ছিল। তাই আমি উনাকে বাইরে দাঁড়াতে বলেছি।’ 

একজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের নির্বাচনে প্রক্টরের কোনো দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। আমি উনার কর্মপরিধি সম্পর্কে জানি। আমার মনে হয় না আমি ভুল কিছু করেছি।’ 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মনিরুজ্জামান এই বিষয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। তারিখ ঘোষণার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার ছিল না। এখন যদি নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে তাহলে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব না।’ 

শিক্ষকদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ১০৬ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থা পত্র দেওয়া হলেও তা আমলে না নিয়েই নির্বাচনের আয়োজন করে শিক্ষকদের একটি অংশ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত