Ajker Patrika

চৌদ্দগ্রামে ১ কেজি আমন ধানও সংগ্রহ করা হয়নি

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩, ১৩: ৪৮
চৌদ্দগ্রামে ১ কেজি আমন ধানও সংগ্রহ করা হয়নি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বছর শেষ হয়ে গেলেও চলতি মৌসুমে সরকারের আমন ধান সংগ্রহ ১ কেজিও হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, খোলাবাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করেননি। 

খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, সরকার চলতি মৌসুমের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আমন ধান ও চাল সংগ্রহ করে থাকে। এজন্য কৃষকদের সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হতো। চলতি মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ টন ৪৫ কেজি, চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ টন ৯৫ কেজি।

এর মধ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যগুদামে ১ কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি। শুধু ৩৭৬ কেজি চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। 

কর্মকর্তারা জানান, সরকার এবার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা করে প্রতি মণ ১ হাজার ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আর খোলাবাজারে কৃষকেরা ১ হাজার ২২০ টাকার ঊর্ধ্বে বিক্রি করছেন। কৃষকদের দাবি, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়েও তারা খোলাবাজারে দাম বেশি পাচ্ছেন। তাই তাঁরা সরকারের নির্ধারিত দামে খাদ্যগুদামে বিক্রি করতে রাজি নন বলে কর্মকর্তারা দাবি করছেন। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১ হাজার ৬১০ জন কৃষকের তালিকা করে খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়েছিল। এবার উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষকের কোনো তালিকা না চাওয়ায় তারাও কোনো তালিকা সরবরাহ করেনি। এবং কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণাও করা হয়নি। এ কারণে কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শুভ্রত রায় বলেন, গত বছর খোলাবাজারের চেয়েও সরকার কৃষকদের ধানের দাম বেশি দেওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করেছেন। এবার খোলাবাজারে ধানের দাম বেশি। আর সরকারি দাম কম হওয়ায় কৃষকরা ধান বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ হয়নি। 

উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সিরাজী বলেন, গত বছরে খাদ্যগুদামে ধান সংগহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ টন ৪১ কেজি। সংগ্রহ হয়েছে ১০ টন ৫২০ কেজি। এবার লক্ষ্যমাত্রা ৯ টন ৪৫ কেজি। ধানের ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী আদ্রতা থাকতে হয় শতকরা ১৪ ভাগ। আবার গত বছরের চেয়েও এবারের ধানে সরকারের ক্রয়মূল্য ছিল কম, যার কারণে কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি না করে বাইরে বিক্রি করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিলাম। তার পরও বছর শেষ হয়ে গেলেও কোনো ধান সংগ্রহ করা যায়নি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন ছুটিতে থাকায় দায়িত্ব পালনকারী সহকারী কমিশনার তমালিকা পাল বলেন, ধান সংগ্রহের বিষয়টি ইউএনও স্যার আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত