নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌর এলাকায় একটি সাততলা ভবন পাশের আরেকটি ছয়তলা ভবনের গায়ে হেলে পড়ার সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জেনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দ্রুত আমলে নিয়েছি। আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে এ সংক্রান্ত একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। গঠিত কমিটি দ্রুত পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। সেই আলোকে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে থাকা লোকজনকে নিরাপদে সরে থাকাই উত্তম।’
পরিদর্শনের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ, ফটিকছড়ি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মালিক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কিছুদিন আগে দুটি ভবনের মাঝে এক হাতের মতো ফাঁকা ছিল। কিন্তু এখন সাততলা ভবনটি অন্যটির গায়ে হেলে পড়েছে। বিষয়টি মালিক জানার পরও দীর্ঘদিন ধরে এমনটি হয়ে আসছে।
সদরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের বিপরীতে ১০০ গজ সামনেই বিএস ৭৮৫৫ নম্বর দাগের ওপর পৌরসভার বাসিন্দা মো. আবদুল খালেক ৩১ শতক নাল জমিতে নির্মাণ করেছেন সাততলা ভবনটি, যেটি ইতিমধ্যে আরেকটির ওপর ঠেকে আছে।
বাসিন্দাদের দাবি, পৌর কর্তৃপক্ষ ভবনটির নকশা এখনো বাতিল করেনি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।
তথ্যমতে, মালিক আবদুল খালেক ২০১৯ সালে ফটিকছড়ি পৌরসভা থেকে ছয়তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে সাততলা ভবন নির্মাণ করেন। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া আরও একতলা অতিরিক্ত নির্মাণ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এতে বাধা দেয়নি। ২০২১-২২ সাল থেকে বাড়ির মালিক সেখানে ২১টি পরিবারকে ভাড়া দেন। ইতোমধ্যে ভবনটি প্রায় ১৮-২০ ইঞ্চি হেলে আরেকটি ভবনের গায়ে হেলে পড়েছে। ফলে আশপাশের ভবনের বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ওই ভবনের পাশে বসবাসরত মো. তসলিম বলেন, ‘এটির অবস্থা খুবই খারাপ। এটি বর্তমানে ঝুঁকে পড়েছে প্রায় ১৮-২০ ইঞ্চি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে বহু লোক থাকলেও দেখার কেউ নেই। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।’
ফটিকছড়ি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া বলেন, ‘ভবনটির ছয়তলার অনুমোদন আছে। পরে অন্যায়ভাবে তিনি সাততলা করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ঝুঁকিমুক্ত’ সনদ দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
ভবনটির মালিক মো. আবদুল খালেক প্রবাসে থাকেন। চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ভবনটির তত্ত্বাবধান করেন স্বজন মো. নেজাম উদ্দিন বুলবুল। যোগাযোগ করা হলে নেজাম উদ্দিন বুলবুল বলেন, ‘ভবনটি করার আগে কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মাণ হয়েছে।’
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘জেনেছি ভবনটি কিঞ্চিৎ হেলে পড়েছে। যেহেতু এখনো কোনো স্ট্রাকচারের ক্ষতি হয়নি, তাই বাসিন্দারা এখনো আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পেলে বিষয়টি দেখা হবে। তবে বিষয়টি পুরোই ইউএনওর এখতিয়ার।’
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌর এলাকায় একটি সাততলা ভবন পাশের আরেকটি ছয়তলা ভবনের গায়ে হেলে পড়ার সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জেনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দ্রুত আমলে নিয়েছি। আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে এ সংক্রান্ত একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। গঠিত কমিটি দ্রুত পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। সেই আলোকে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে থাকা লোকজনকে নিরাপদে সরে থাকাই উত্তম।’
পরিদর্শনের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ, ফটিকছড়ি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মালিক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কিছুদিন আগে দুটি ভবনের মাঝে এক হাতের মতো ফাঁকা ছিল। কিন্তু এখন সাততলা ভবনটি অন্যটির গায়ে হেলে পড়েছে। বিষয়টি মালিক জানার পরও দীর্ঘদিন ধরে এমনটি হয়ে আসছে।
সদরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের বিপরীতে ১০০ গজ সামনেই বিএস ৭৮৫৫ নম্বর দাগের ওপর পৌরসভার বাসিন্দা মো. আবদুল খালেক ৩১ শতক নাল জমিতে নির্মাণ করেছেন সাততলা ভবনটি, যেটি ইতিমধ্যে আরেকটির ওপর ঠেকে আছে।
বাসিন্দাদের দাবি, পৌর কর্তৃপক্ষ ভবনটির নকশা এখনো বাতিল করেনি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।
তথ্যমতে, মালিক আবদুল খালেক ২০১৯ সালে ফটিকছড়ি পৌরসভা থেকে ছয়তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে সাততলা ভবন নির্মাণ করেন। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া আরও একতলা অতিরিক্ত নির্মাণ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এতে বাধা দেয়নি। ২০২১-২২ সাল থেকে বাড়ির মালিক সেখানে ২১টি পরিবারকে ভাড়া দেন। ইতোমধ্যে ভবনটি প্রায় ১৮-২০ ইঞ্চি হেলে আরেকটি ভবনের গায়ে হেলে পড়েছে। ফলে আশপাশের ভবনের বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ওই ভবনের পাশে বসবাসরত মো. তসলিম বলেন, ‘এটির অবস্থা খুবই খারাপ। এটি বর্তমানে ঝুঁকে পড়েছে প্রায় ১৮-২০ ইঞ্চি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে বহু লোক থাকলেও দেখার কেউ নেই। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।’
ফটিকছড়ি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া বলেন, ‘ভবনটির ছয়তলার অনুমোদন আছে। পরে অন্যায়ভাবে তিনি সাততলা করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ঝুঁকিমুক্ত’ সনদ দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
ভবনটির মালিক মো. আবদুল খালেক প্রবাসে থাকেন। চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ভবনটির তত্ত্বাবধান করেন স্বজন মো. নেজাম উদ্দিন বুলবুল। যোগাযোগ করা হলে নেজাম উদ্দিন বুলবুল বলেন, ‘ভবনটি করার আগে কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মাণ হয়েছে।’
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘জেনেছি ভবনটি কিঞ্চিৎ হেলে পড়েছে। যেহেতু এখনো কোনো স্ট্রাকচারের ক্ষতি হয়নি, তাই বাসিন্দারা এখনো আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পেলে বিষয়টি দেখা হবে। তবে বিষয়টি পুরোই ইউএনওর এখতিয়ার।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যাত্রীদের যানবাহনে ওঠানামার সুবিধার্থে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করা ১২টি যাত্রীছাউনি বেহাল হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ছাউনির ধাতব কাঠামো খুলে নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনোটিতে চলছে ইট-বালুর ব্যবসা। কোথাও আবার মাইক্রোস্ট্যান্ড ও দোকান বানানো হয়েছে। সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের শিবালয়ে যমুনা ও ইছামতী নদী সংযুক্ত কান্তাবতী নদীর মাঝে বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে স্থানীয় একটি চক্র অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম শহরের আধুনিক পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য ২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রথম প্রকল্পটি সাত বছর পার করেও এখনো অসম্পূর্ণ। মাত্র ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও এবার নতুন সংকটে পড়েছে প্রকল্পটি। দীর্ঘ পাঁচ মাসের পাওনা পরিশোধ না করায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রকল্পের পাইপ বসানোর...
২ ঘণ্টা আগেযশোরের চৌগাছায় একটি বটগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে মশ্যমপুর দর্গাতলা মাঠ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কাটা গাছের ডাল ও গুঁড়ি এখনো মাঠে পড়ে রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে