প্রতিনিধি, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
কোরবানির পশুর চামড়ার দামে ব্যাপক ধস নেমেছে। বিক্রি করতে না পেরে এক দিন পর অনেকে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছে। কেউ আবার নদীর পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক মানুষ কোরবানির চামড়া বিক্রির জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছেন না। যাঁরা বিক্রি করতে পেরেছেন তাঁরা নামমাত্র দাম পেয়েছেন। আবার অনেকে কাঙ্ক্ষিত দাম ও ক্রেতা না পেয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন।
উপজেলার বরইচারা গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১ লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম ৩০০ টাকা চাইছিলাম। ক্রেতারা ৫০ টাকা বলে চলে গেছে। আর নিতে আসেনি। পরে বিক্রি করতে না পেরে গতকাল বৃহস্পতিবার চামড়া পানিতে ফেলে দিয়েছি।’
লিয়াকত আলী আরও বলেন, ‘সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছে ওই দামে বিক্রি করা গেলে আমার গরুর চামড়ার দাম ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পেতাম। কিন্তু দাম বলেছে মাত্র ৫০ টাকা।’
উপজেলার নুহা ডেন্টাল কেয়ারের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘খাসির চামড়ার দামই কেউ বলে না। তাই পানিতে ফেলে দিয়েছি।’
উপজেলার অরুয়াইল সিটি ট্রাভেলসের পরিচালক শাহ মিরান বলেন, ‘কোরবানির চামড়ার টাকা গরিবের হক। এই চামড়া যারা কম দামে কিনে নিচ্ছে, তারা গরিবের হক মেরে খাচ্ছে। আমি ৬৩ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। ওই গরুর চামড়ার দাম বলছে ১৫০ টাকা। তাই নিজের গরুর চামড়া নিজেই তিন গুণ বেশি দাম দিয়ে কিনে মাটিতে পুঁতে দিয়েছি।’
শাহ মিরান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু মুনাফাখোর ব্যবসায়ী কোরবানির চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়ে তারা গরিবের হক মারছে। সরকারকে এ বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী কাউসার মিয়া বলেন, ‘এলাকা থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। সরাইল ও ভৈরবের ব্যবসায়ীরা ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে নিষেধ করেছেন। তাই আমরা গড়ে একটা চামড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনেছি। প্রতি চামড়ায় ১০০-১৫০ টাকা খরচ আছে। লাভ থাকবে কি না, জানি না।’
সরাইল সদরের পুরোনো চামড়া ব্যবসায়ী ছামাদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের ট্যানারির মালিকদের কাছে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়। তাই কম দাম দিয়ে চামড়া কিনি।’ ব্যস্ততা দেখিয়ে এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
কোরবানির পশুর চামড়ার দামে ব্যাপক ধস নেমেছে। বিক্রি করতে না পেরে এক দিন পর অনেকে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছে। কেউ আবার নদীর পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক মানুষ কোরবানির চামড়া বিক্রির জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছেন না। যাঁরা বিক্রি করতে পেরেছেন তাঁরা নামমাত্র দাম পেয়েছেন। আবার অনেকে কাঙ্ক্ষিত দাম ও ক্রেতা না পেয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন।
উপজেলার বরইচারা গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১ লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম ৩০০ টাকা চাইছিলাম। ক্রেতারা ৫০ টাকা বলে চলে গেছে। আর নিতে আসেনি। পরে বিক্রি করতে না পেরে গতকাল বৃহস্পতিবার চামড়া পানিতে ফেলে দিয়েছি।’
লিয়াকত আলী আরও বলেন, ‘সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছে ওই দামে বিক্রি করা গেলে আমার গরুর চামড়ার দাম ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পেতাম। কিন্তু দাম বলেছে মাত্র ৫০ টাকা।’
উপজেলার নুহা ডেন্টাল কেয়ারের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘খাসির চামড়ার দামই কেউ বলে না। তাই পানিতে ফেলে দিয়েছি।’
উপজেলার অরুয়াইল সিটি ট্রাভেলসের পরিচালক শাহ মিরান বলেন, ‘কোরবানির চামড়ার টাকা গরিবের হক। এই চামড়া যারা কম দামে কিনে নিচ্ছে, তারা গরিবের হক মেরে খাচ্ছে। আমি ৬৩ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। ওই গরুর চামড়ার দাম বলছে ১৫০ টাকা। তাই নিজের গরুর চামড়া নিজেই তিন গুণ বেশি দাম দিয়ে কিনে মাটিতে পুঁতে দিয়েছি।’
শাহ মিরান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু মুনাফাখোর ব্যবসায়ী কোরবানির চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়ে তারা গরিবের হক মারছে। সরকারকে এ বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী কাউসার মিয়া বলেন, ‘এলাকা থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। সরাইল ও ভৈরবের ব্যবসায়ীরা ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে নিষেধ করেছেন। তাই আমরা গড়ে একটা চামড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনেছি। প্রতি চামড়ায় ১০০-১৫০ টাকা খরচ আছে। লাভ থাকবে কি না, জানি না।’
সরাইল সদরের পুরোনো চামড়া ব্যবসায়ী ছামাদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের ট্যানারির মালিকদের কাছে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়। তাই কম দাম দিয়ে চামড়া কিনি।’ ব্যস্ততা দেখিয়ে এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫টি। এসব হাসপাতালে চিকিৎসকের মোট পদ ১ হাজার ২১৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত ৫৩১ জন, পদ শূন্য ৬৮৩টি। চাহিদার অর্ধেকেরও কম জনবল থাকায় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীদের বাধ্য...
৩ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
৩ ঘণ্টা আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
৩ ঘণ্টা আগে