Ajker Patrika

এবার কুতুপালংয়ে আগুনে ৩ রোহিঙ্গার মৃত্যু, নাশকতার অভিযোগ

প্রতিনিধি, উখিয়া (কক্সবাজার)
এবার কুতুপালংয়ে আগুনে ৩ রোহিঙ্গার মৃত্যু, নাশকতার অভিযোগ

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প–সংলগ্ন কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ডে তিনজন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুতুপালং বাজারের বখতিয়ার মার্কেটে আগুন লাগে। এসময় ১০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো ১০টি। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুল লাগলে দোকানে অবস্থান করা পাঁচ রোহিঙ্গার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন– বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ফয়েজুল ইসলাম, আনসার উল্লাহ ও মোহাম্মদ আয়াজ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইমদাদুল হক বলেন, গভীর রাতে আগুনের সূত্রপাত হলে দোকানের ভেতরে থাকা ঘুমন্ত পাঁচ জনের মধ্যে দুই জন বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। বাকি তিন জন দোকানের ভেতরে বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলে সেখানেই পুড়ে মারা যান।

পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলতে চাননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মী।

ছবি: আজকের পত্রিকাস্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে আমি ঘটনাস্থলে আসি, ঘণ্টাখানেক পর সবার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আমার বেশ কয়েকটি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে এখনও বলা যাচ্ছে না, কী কারণে আগুন লেগেছে।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা মনে করছেন এ আগুন পরিকল্পিত। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক নুরুল বশর বলেন, আগুন কেউ পরিকল্পিতভাবে লাগিয়েছেআগুনের তীব্রতা দেখে মনে হচ্ছে, কেরোসিন বা পেট্রলের মতো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে।

উদ্বীগ্ন কুতুপালং বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা এখানে কোটি টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করছি। এভাবে বারবার আগুনের ঘটনায় আমরা শংকায় আছি।

গত ২২ মার্চ বালুখালীর পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ হাজার ৩০০টি ঘর পুড়ে যায়। এতে প্রাণ হারায় ১১ জন। চার দিন আগেও টেকনাফের লেদা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় আগুনে পুড়েছে একটি এনজিওর কার্যালয়।

বারবার এমন অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত