ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
জেসমিন আক্তার। বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। স্বামীর হাত ধরে চা-গাছের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জেসমিন। এরপর কুমিল্লা থেকে স্বামী আবদুল বারেকের সঙ্গে চলে আসেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। কাজ নেন নেপচুন চা-বাগানে। সেখানে সংসার শুরুর পরপরই স্বামীর সঙ্গে লেগে পড়েন চা-বাগানের কাজে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের মতো জেসমিন ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন দক্ষ চা-শ্রমিক।
জেসমিনের জীবনসংগ্রামের এ অধ্যায় প্রায় চার যুগের। একটি-দুটি পাতা উত্তোলন করতে করতে এখন হয়েছেন দেশসেরা চা-শ্রমিক। টানা দ্বিতীয়বারের মতো পেলেন পাতা উত্তোলনকারী (চয়নকারী) হিসেবে পুরস্কার।
জানা গেছে, সারা দেশে সর্বোচ্চ চা-পাতা উত্তোলনকারী শ্রমিক হিসেবে জেসমিন বাংলাদেশ চা বোর্ডের এই পুরস্কার পেয়েছেন। গত বুধবার ঢাকায় জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। টানা দুবার শ্রেষ্ঠ চা-পাতা উত্তোলনকারী হওয়ায় অতিথি পর্যায়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পান জেসমিন আক্তার। তুলে ধরেন চা-শ্রমিকদের দাবিদাওয়া।
দেশসেরা হওয়ার পেছনের গল্প জানতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে জেসমিনের কর্মস্থল ফটিকছড়ির নারায়ণহাট ইউনিয়নে ইস্পাহানি গ্রুপের মালিকানাধীন নেপচুন চা-বাগানে যাওয়া হয়।
সেখানেই দেখা মেলে তাঁর। জানান সেরা হওয়ার পেছনের কথা। তিনি বলেন, ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সংসার শুরুর পরপরই স্বামীর সঙ্গে লেগে পড়েন চা-বাগানের কাজে। ৪২ বছর ধরে সেই কাজ করে চলেছেন। কীভাবে দুই পয়সা বেশি পাবেন, সে চিন্তা থেকে চেষ্টা করেন অন্যদের চেয়ে একটু বেশি চা-পাতা উত্তোলনের।
জেসমিন বলেন, দেশসেরা হতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। পুত্র-কন্যা, স্বামীসহ সংসারের আট সদস্য এ বাগানে কর্মরত। তাঁর এই অর্জনে খুশি বাগানের অন্য শ্রমিকেরা। তিনি জানান, গত বছর ৩৪ হাজার ৯৩৭ কেজি চা-পাতা উত্তোলন করতে সক্ষম হন। এ কারণে তিনি আবারও সেরা চা-পাতা উত্তোলনকারী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুব আনন্দিত। পরিবারের সবাই আনন্দিত। তবে নাতি-নাতনিদের আমাদের মতো শ্রমিক পেশায় নিতে চাই না। তাদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।’
নেপচুন চা-বাগানের ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘দেশের ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে নেপচুন চা-বাগান থেকে টানা তিনবার দেশসেরা চা-শ্রমিক বা পাতা চয়নকারী নির্বাচিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেসমিন আক্তার সেরা হয়েছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের।’
জেসমিন আক্তার। বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। স্বামীর হাত ধরে চা-গাছের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জেসমিন। এরপর কুমিল্লা থেকে স্বামী আবদুল বারেকের সঙ্গে চলে আসেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। কাজ নেন নেপচুন চা-বাগানে। সেখানে সংসার শুরুর পরপরই স্বামীর সঙ্গে লেগে পড়েন চা-বাগানের কাজে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের মতো জেসমিন ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন দক্ষ চা-শ্রমিক।
জেসমিনের জীবনসংগ্রামের এ অধ্যায় প্রায় চার যুগের। একটি-দুটি পাতা উত্তোলন করতে করতে এখন হয়েছেন দেশসেরা চা-শ্রমিক। টানা দ্বিতীয়বারের মতো পেলেন পাতা উত্তোলনকারী (চয়নকারী) হিসেবে পুরস্কার।
জানা গেছে, সারা দেশে সর্বোচ্চ চা-পাতা উত্তোলনকারী শ্রমিক হিসেবে জেসমিন বাংলাদেশ চা বোর্ডের এই পুরস্কার পেয়েছেন। গত বুধবার ঢাকায় জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। টানা দুবার শ্রেষ্ঠ চা-পাতা উত্তোলনকারী হওয়ায় অতিথি পর্যায়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পান জেসমিন আক্তার। তুলে ধরেন চা-শ্রমিকদের দাবিদাওয়া।
দেশসেরা হওয়ার পেছনের গল্প জানতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে জেসমিনের কর্মস্থল ফটিকছড়ির নারায়ণহাট ইউনিয়নে ইস্পাহানি গ্রুপের মালিকানাধীন নেপচুন চা-বাগানে যাওয়া হয়।
সেখানেই দেখা মেলে তাঁর। জানান সেরা হওয়ার পেছনের কথা। তিনি বলেন, ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সংসার শুরুর পরপরই স্বামীর সঙ্গে লেগে পড়েন চা-বাগানের কাজে। ৪২ বছর ধরে সেই কাজ করে চলেছেন। কীভাবে দুই পয়সা বেশি পাবেন, সে চিন্তা থেকে চেষ্টা করেন অন্যদের চেয়ে একটু বেশি চা-পাতা উত্তোলনের।
জেসমিন বলেন, দেশসেরা হতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। পুত্র-কন্যা, স্বামীসহ সংসারের আট সদস্য এ বাগানে কর্মরত। তাঁর এই অর্জনে খুশি বাগানের অন্য শ্রমিকেরা। তিনি জানান, গত বছর ৩৪ হাজার ৯৩৭ কেজি চা-পাতা উত্তোলন করতে সক্ষম হন। এ কারণে তিনি আবারও সেরা চা-পাতা উত্তোলনকারী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুব আনন্দিত। পরিবারের সবাই আনন্দিত। তবে নাতি-নাতনিদের আমাদের মতো শ্রমিক পেশায় নিতে চাই না। তাদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।’
নেপচুন চা-বাগানের ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘দেশের ১৬৮টি চা-বাগানের মধ্যে নেপচুন চা-বাগান থেকে টানা তিনবার দেশসেরা চা-শ্রমিক বা পাতা চয়নকারী নির্বাচিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেসমিন আক্তার সেরা হয়েছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের।’
এবার কোরবানির ঈদে ময়মনসিংহে পশুর চাহিদা ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৯টি। প্রস্তুত হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৮টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ। ফলে জেলায় ৫৮ হাজার ৯৯টি পশু উদ্বৃত্ত থাকছে। জেলার ১৩টি উপজেলায় খামারির সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৩৫ জন। কোরবানির জন্য ১৫২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট বসবে।
২১ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের হাজীনগর গ্রামে বাচ্চাদের জুতা চুরিকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের মধ্যে সংঘর্ষে ওয়াহিদ আলী (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এসময় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ হাজীনগর গ্রামের মৃত খুরশিদ আলীর...
২৪ মিনিট আগেপবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারে কোরবানির জন্য ৮০ হাজারেরও বেশি দেশীয় গবাদিপশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলার সাতটি উপজেলায় খামারিরা ইতোমধ্যে পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঈদের এখনও প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছেন।
২৮ মিনিট আগেভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলগী গ্রামে ‘ঐকতান এগ্রো’ নামের খামারে দেখা যায়, মালিক মো. ওসমান গনী নিজেই গরুগুলোকে কাঁচা ঘাস খাওয়াচ্ছেন। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে চরাঞ্চল থেকে গরু কিনে এনে দেশীয় উপায়ে মোটাতাজাকরণ করে আসছেন। খামারে বর্তমানে রয়েছে ২৬টি গরু, এর মধ্যে ২২টি মাংসের ও ৪টি দুধের গরু...
১ ঘণ্টা আগে