কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর পায়রার নির্মাণকাজ। ২০২৩ সালে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এর কার্যক্রম। বন্দর থেকে রেল ও সড়কপথে দ্রুত সময়ে স্বল্প খরচে পণ্য সরবরাহের সম্ভাব্যতায় ব্যবসায়ীদের কাছে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, সড়ক পরিবহন, জলযান ক্রয়, ভবন নির্মাণসহ পায়রা বন্দরের পুরো কার্যক্রম শেষ হলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করছেন স্থানীয়সহ সংশ্লিষ্টরা।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা বন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। পরে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এরপরই বন্দরে আসতে শুরু করে পণ্যবাহী জাহাজ। অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১৬০টি মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ আয় করেছে ৩১৯ কোটি টাকা।
পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে সার্ভিস জেটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার চুক্তিমূল্য ৬৭ কোটি টাকা। বর্তমানে ৬৫০ বিঘা জেটি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে, যার অগ্রগতি ২৭ শতাংশ। ইয়ার্ড নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে, যার অগ্রগতি ২৭.৫ শতাংশ। ইতিমধ্যে বানাতিপাড়ার সঙ্গে কানেকটিভিটির জন্য রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে, যার ১.৩ কিলোমিটার কাজ চলমান রয়েছে। বন্দর পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে তাঁরা ইকুয়েভমেন্ট ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দুটি স্টেজ ক্রেন এবং দুটি মোবাইল হার্ভার ক্রেন ক্রয় করব। বহির্নোঙরে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার লক্ষ্যে বিজিএমআইর সিস্টেম ক্রয় করতে দরপত্র আহ্বান করব। এ ছাড়া পায়রা বন্দর এলাকায় অধিগ্রহণকৃত ভূমির মধ্যে অবস্থিত এবং আশপাশের এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীসংলগ্ন যেসব বেড়িবাঁধ ভেঙা হয়েছে, তা নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। ৬.৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা খরচ হবে। আমাদের কাজ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রা বন্দর চালু করা সম্ভব হবে।
পায়রা বন্দরের যুগ্ম-সচিব, পরিচালক (প্রশাসন) মহিউদ্দিন আহম্মেদ খান আজকের পত্রিকাকে জানান, বন্দরের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে ইতিমধ্যে সাড়ে ৪ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ, অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাড়ে ৩ হাজার গৃহ নির্মাণ, সাতটি জলযান ক্রয়, এক লাখ বর্গফুট ইয়ার্ড নির্মাণ, সাড়ে চার কিলোমিটারের চার লেন শেখ হাসিনা সড়ক নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, নিরাপত্তা ভবন, অফিসার ডর্মেটরি, স্টাফ ডর্মেটরি, অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ ও মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রমত্তা রাবনাবাদ নদের মোহনাঘেঁষা লালুয়ায় ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে প্রথম অত্যাধুনিক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। এই টার্মিনালের সঙ্গে ৯১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি জেটিও নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জেটিতে একসঙ্গে তিনটি বড় জাহাজের পণ্য খালাস করা যাবে। এ ছাড়া টার্মিনালের সঙ্গে মহাসড়কের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সাড়ে ছয় কিলোমিটারের ছয় লেন সড়ক। চলমান রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ও মেইন্টেনিং ড্রেজিংয়ের কাজ। খুব শিগগিরই আন্ধারমানিক নদে ৬৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হচ্ছে ১১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৪ মিটার প্রস্থের ছয় লেন সেতু নির্মাণের কাজ এবং লালুয়ার চান্দুপাড়া গ্রামে ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ। বন্দর উন্নয়নে সরকারের আরও মহাপরিকল্পনা রয়েছে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ সিকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের ধরন পাল্টে যেতে শুরু করেছে। পুরো কার্যক্রম শুরু হলে এই অঞ্চলের সব দুঃখ-দুর্দশা ঘুচে যাবে।
দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর পায়রার নির্মাণকাজ। ২০২৩ সালে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এর কার্যক্রম। বন্দর থেকে রেল ও সড়কপথে দ্রুত সময়ে স্বল্প খরচে পণ্য সরবরাহের সম্ভাব্যতায় ব্যবসায়ীদের কাছে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, সড়ক পরিবহন, জলযান ক্রয়, ভবন নির্মাণসহ পায়রা বন্দরের পুরো কার্যক্রম শেষ হলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করছেন স্থানীয়সহ সংশ্লিষ্টরা।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা বন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। পরে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এরপরই বন্দরে আসতে শুরু করে পণ্যবাহী জাহাজ। অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১৬০টি মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ আয় করেছে ৩১৯ কোটি টাকা।
পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে সার্ভিস জেটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার চুক্তিমূল্য ৬৭ কোটি টাকা। বর্তমানে ৬৫০ বিঘা জেটি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে, যার অগ্রগতি ২৭ শতাংশ। ইয়ার্ড নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে, যার অগ্রগতি ২৭.৫ শতাংশ। ইতিমধ্যে বানাতিপাড়ার সঙ্গে কানেকটিভিটির জন্য রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে, যার ১.৩ কিলোমিটার কাজ চলমান রয়েছে। বন্দর পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে তাঁরা ইকুয়েভমেন্ট ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দুটি স্টেজ ক্রেন এবং দুটি মোবাইল হার্ভার ক্রেন ক্রয় করব। বহির্নোঙরে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার লক্ষ্যে বিজিএমআইর সিস্টেম ক্রয় করতে দরপত্র আহ্বান করব। এ ছাড়া পায়রা বন্দর এলাকায় অধিগ্রহণকৃত ভূমির মধ্যে অবস্থিত এবং আশপাশের এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীসংলগ্ন যেসব বেড়িবাঁধ ভেঙা হয়েছে, তা নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। ৬.৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা খরচ হবে। আমাদের কাজ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রা বন্দর চালু করা সম্ভব হবে।
পায়রা বন্দরের যুগ্ম-সচিব, পরিচালক (প্রশাসন) মহিউদ্দিন আহম্মেদ খান আজকের পত্রিকাকে জানান, বন্দরের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে ইতিমধ্যে সাড়ে ৪ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ, অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাড়ে ৩ হাজার গৃহ নির্মাণ, সাতটি জলযান ক্রয়, এক লাখ বর্গফুট ইয়ার্ড নির্মাণ, সাড়ে চার কিলোমিটারের চার লেন শেখ হাসিনা সড়ক নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, নিরাপত্তা ভবন, অফিসার ডর্মেটরি, স্টাফ ডর্মেটরি, অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ ও মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রমত্তা রাবনাবাদ নদের মোহনাঘেঁষা লালুয়ায় ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে প্রথম অত্যাধুনিক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। এই টার্মিনালের সঙ্গে ৯১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি জেটিও নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জেটিতে একসঙ্গে তিনটি বড় জাহাজের পণ্য খালাস করা যাবে। এ ছাড়া টার্মিনালের সঙ্গে মহাসড়কের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সাড়ে ছয় কিলোমিটারের ছয় লেন সড়ক। চলমান রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ও মেইন্টেনিং ড্রেজিংয়ের কাজ। খুব শিগগিরই আন্ধারমানিক নদে ৬৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হচ্ছে ১১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৪ মিটার প্রস্থের ছয় লেন সেতু নির্মাণের কাজ এবং লালুয়ার চান্দুপাড়া গ্রামে ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ। বন্দর উন্নয়নে সরকারের আরও মহাপরিকল্পনা রয়েছে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ সিকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের ধরন পাল্টে যেতে শুরু করেছে। পুরো কার্যক্রম শুরু হলে এই অঞ্চলের সব দুঃখ-দুর্দশা ঘুচে যাবে।
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
১ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
১ ঘণ্টা আগে